গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত মাদারস্ ফাস্ট এইড ইনস্টিটিউট মেডিকেল সার্ভিসেস লিঃ শমশেরনগর শাখার ব্যবস্থাপনায় ও শরীফপুর ইউনিয়নের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান হাজী নসিবুর রহমান নাসিমের অর্থায়নে ও উদ্দ্যোগে ধারাবাহিক ফ্রি চিকিৎসা ও বিনামূল্যে ঔষধ বিতরনের অংশ হিসাবে ৪র্থ দিনের মতো গত ৭ই এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শরীফপুর ইউনিয়নে চানপুর, পূর্বভাগ, তেলিবিল, বাগজুর সহ বেশ কয়েক জায়গায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রায় ১শত পরিবারের মধ্যে ফ্রী চিকিৎসা সেবা, বিনামূল্যে ঔষধ ও সরকারের স্বাস্থ্য নীতি মেনে চলার জন্য সবাইকে সচেতনতা মূলক লিপলেট বিতরন করা হয়। এসময় প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডাঃ মোঃ কামরুজ্জামান সিমুর নেতৃত্বে মেডিকেল টিমে অংশ গ্রহন করে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন কুলাউড়া পল্লী চিকিৎসক সমিতির সাধারন সম্পাদক ডাঃ মোঃ আহমদ আলী, শমশেরনগর পল্লী চিকিৎসক সমিতির সহ সভাপতি ডাঃ চাম্পা লাল দে, মেডিকেল স্টুডেন্ট মুজাহিরুল ইসলাম জনি, সহযোগিতা করেন জুনেদ মিয়া, মাওঃ মাছুম আহমদ, মোঃ সালেহ আহমদ। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে অপর মেডিকেল টিমে রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন ডাঃ আব্দুল মোক্তাদির, ডাঃ মোঃ আবু তাহের, ডাঃ মুরাদ আহমদ, এ বিষয়ে সহযোগিতা করেন জালাল আহমদ, নাজির আহমদ, হাবিবুর রহমান। এ সময় উপস্থিত থেকে জনগনকে সতর্কমূলক পরামর্শ প্রদান করেন শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান হাজী নছিবুর রহমান নাসিম, ইউপি সদস্য মোঃ ইসমাঈল আলী, সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন, আজিজুর রহমান জনি। এ এব্যাপারে মাদারস্ ফাস্ট এইড ইনস্টিটিউট মেডিকেল সার্ভিসেস লিঃ শমশেরনগর শাখার পরিচালক ডাঃ কামরুজ্জামান সিমু বলেন লক ডাউনের কারনে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এবং আতংক ও গুজবের কারনে সাধারন মানুষ হাসপাতাল বা ডাক্তারের চেম্বারে যেতে পারছে না যার কারনে সাধারন জ্বর সর্দি কাশিতে অনেক মানুষ আক্রান্ত। আমাদের প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ডাঃ মামুনুর রশীদের নির্দেশনায় দেশের এই দূর্যোগে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জ্বর, সর্দি ও কাশির চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। যেহেতু দেশে সরকার লক ডাউন ঘোষনা করেছে তাই কেউ বাড়ী থেকে বের হচ্ছে না এবং সঠিক চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে না সেই জন্য আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফ্রী চিকিৎসা সেবা ও বিনামূল্যে ঔষধ বিতরন করে যাচ্ছি। করোনা মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি আমরা সারা দেশের ১ লক্ষ ৪০ হাজার পল্লী চিকিৎসক কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন সামনের দিন গুলো আমাদের দেশের জন্য বিপদজনক হয়ে দাড়াতে পারে যদি আমরা সতর্ক না হই, আতংকিত না হয়ে সচেতনতার মাধ্যমে আমরা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রতিরোধ করা সম্ভব। আমাদের দেশের জনগন সরকারের স্বাস্থ্য নীতি মেনে আরো কয়েক টা দিন ঘরে থাকতে পারলে মরনব্যাধি করোনার করাল গ্রাস থেকে আমরা বাঁচতে পারবো।