লাফিয়ে বাড়ছে গো-খাদ্যের দাম, বিপাকে খামারিরা
- আপডেটের সময় : ০১:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর ২০২১
- / ৩২২ টাইম ভিউ
ভুসি, খৈল, চিটাগুড়সহ সব ধরণের গো-খাদ্যের দাম লাফিয়ে বাড়ছে রংপুরে। গত একমাসে ২৫ কেজির এক বস্তা ফিডের দাম বেড়ে গেছে দুইশ টাকা পর্যন্ত।
লাফিয়ে বাড়ছে গো-খাদ্যের দাম, বিপাকে খামারিরা
রতন সরকার
করোনাকালের সংকট কাটিয়ে উঠতে না উঠতে খাদ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। অনেকে গরু বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। ডেইরি সমিতির অভিযোগ, অন্যতম গো-খাদ্য সয়াবিনের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ না হওয়া সত্ত্বেও ভারতে রপ্তানি করার প্রভাব পড়েছে।
ফিড ও আনুসাঙ্গিক পশুখাদ্য দিতে না পেরে গরুকে খড় খাওয়াতে হচ্ছে বলে জানালেন খামারিদের অনেকে। তাদের অভিযোগ দুধের দাম না বাড়লেও ২৫ কেজির বস্তাপ্রতি ফিডের দাম এক মাসে দুইশ টাকা বেড়েছে। সরিষা ও তিলের খৈল, চালের খুদ, চিটাগুড়ের দামও প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে।
খামারিরা অভিযোগ করে বলেন, খড়ের দাম বেশি, ঘাসের দাম বেশি। দিন গেলেই প্রতিবস্তায় ৫০ টাকা করে বাড়ছে ভুসির দাম। কিন্তু গরুকে তো খাওয়াতে হবে। এই প্রাণীগুলোকে তো না খাইয়ে রাখা সম্ভব নয়। তাই বাধ্য হয়ে শুধু খড় খাওয়া হচ্ছে। এভাবে গো-খাদ্যের দাম বাড়লে আমাদের পক্ষে খামার পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
ডেইরি সমিতির অভিযোগ, অন্যতম পশুখাদ্য সয়াবিনের রপ্তানির কারণেই এই সংকট।
মৌলভীবাজারের ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা বলেন, গো-খাদ্যের তৈরির অন্যতম উপাদান সোয়াবিন দানা। কিন্তু সেই সোয়াবিন এখন ভারতসহ অন্যান্য দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এতে করে গো-খাদ্য উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। আর সেই সুযোগ নিয়ে গো-খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ধাপে ধাপে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা।
যেখানে আমাদের দেশেই সোয়াবিনের সংকট সেখানে এই পণ্যটি কীভাবে বাইরে রপ্তানি হচ্ছে এটা আমার বোধগম্য নয়।