ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
গ্রিন সিলেট ট্রাভেলসের আয়োজনে বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস/কনসুলেট চেয়ে খোলা চিঠি স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা

লাফিয়ে বাড়ছে গো-খাদ্যের দাম, বিপাকে খামারিরা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০১:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর ২০২১
  • / ৩২২ টাইম ভিউ

ভুসি, খৈল, চিটাগুড়সহ সব ধরণের গো-খাদ্যের দাম লাফিয়ে বাড়ছে রংপুরে। গত একমাসে ২৫ কেজির এক বস্তা ফিডের দাম বেড়ে গেছে দুইশ টাকা পর্যন্ত।
লাফিয়ে বাড়ছে গো-খাদ্যের দাম, বিপাকে খামারিরা
রতন সরকার

করোনাকালের সংকট কাটিয়ে উঠতে না উঠতে খাদ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। অনেকে গরু বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। ডেইরি সমিতির অভিযোগ, অন্যতম গো-খাদ্য সয়াবিনের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ না হওয়া সত্ত্বেও ভারতে রপ্তানি করার প্রভাব পড়েছে।

ফিড ও আনুসাঙ্গিক পশুখাদ্য দিতে না পেরে গরুকে খড় খাওয়াতে হচ্ছে বলে জানালেন খামারিদের অনেকে। তাদের অভিযোগ দুধের দাম না বাড়লেও ২৫ কেজির বস্তাপ্রতি ফিডের দাম এক মাসে দুইশ টাকা বেড়েছে। সরিষা ও তিলের খৈল, চালের খুদ, চিটাগুড়ের দামও প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে।

খামারিরা অভিযোগ করে বলেন, খড়ের দাম বেশি, ঘাসের দাম বেশি। দিন গেলেই প্রতিবস্তায় ৫০ টাকা করে বাড়ছে ভুসির দাম। কিন্তু গরুকে তো খাওয়াতে হবে। এই প্রাণীগুলোকে তো না খাইয়ে রাখা সম্ভব নয়। তাই বাধ্য হয়ে শুধু খড় খাওয়া হচ্ছে। এভাবে গো-খাদ্যের দাম বাড়লে আমাদের পক্ষে খামার পরিচালনা করা সম্ভব নয়।

ডেইরি সমিতির অভিযোগ, অন্যতম পশুখাদ্য সয়াবিনের রপ্তানির কারণেই এই সংকট।

মৌলভীবাজারের ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা বলেন, গো-খাদ্যের তৈরির অন্যতম উপাদান সোয়াবিন দানা। কিন্তু সেই সোয়াবিন এখন ভারতসহ অন্যান্য দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এতে করে গো-খাদ্য উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। আর সেই সুযোগ নিয়ে গো-খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ধাপে ধাপে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা।

যেখানে আমাদের দেশেই সোয়াবিনের সংকট সেখানে এই পণ্যটি কীভাবে বাইরে রপ্তানি হচ্ছে এটা আমার বোধগম্য নয়।

পোস্ট শেয়ার করুন

লাফিয়ে বাড়ছে গো-খাদ্যের দাম, বিপাকে খামারিরা

আপডেটের সময় : ০১:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর ২০২১

ভুসি, খৈল, চিটাগুড়সহ সব ধরণের গো-খাদ্যের দাম লাফিয়ে বাড়ছে রংপুরে। গত একমাসে ২৫ কেজির এক বস্তা ফিডের দাম বেড়ে গেছে দুইশ টাকা পর্যন্ত।
লাফিয়ে বাড়ছে গো-খাদ্যের দাম, বিপাকে খামারিরা
রতন সরকার

করোনাকালের সংকট কাটিয়ে উঠতে না উঠতে খাদ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। অনেকে গরু বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। ডেইরি সমিতির অভিযোগ, অন্যতম গো-খাদ্য সয়াবিনের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ না হওয়া সত্ত্বেও ভারতে রপ্তানি করার প্রভাব পড়েছে।

ফিড ও আনুসাঙ্গিক পশুখাদ্য দিতে না পেরে গরুকে খড় খাওয়াতে হচ্ছে বলে জানালেন খামারিদের অনেকে। তাদের অভিযোগ দুধের দাম না বাড়লেও ২৫ কেজির বস্তাপ্রতি ফিডের দাম এক মাসে দুইশ টাকা বেড়েছে। সরিষা ও তিলের খৈল, চালের খুদ, চিটাগুড়ের দামও প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে।

খামারিরা অভিযোগ করে বলেন, খড়ের দাম বেশি, ঘাসের দাম বেশি। দিন গেলেই প্রতিবস্তায় ৫০ টাকা করে বাড়ছে ভুসির দাম। কিন্তু গরুকে তো খাওয়াতে হবে। এই প্রাণীগুলোকে তো না খাইয়ে রাখা সম্ভব নয়। তাই বাধ্য হয়ে শুধু খড় খাওয়া হচ্ছে। এভাবে গো-খাদ্যের দাম বাড়লে আমাদের পক্ষে খামার পরিচালনা করা সম্ভব নয়।

ডেইরি সমিতির অভিযোগ, অন্যতম পশুখাদ্য সয়াবিনের রপ্তানির কারণেই এই সংকট।

মৌলভীবাজারের ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা বলেন, গো-খাদ্যের তৈরির অন্যতম উপাদান সোয়াবিন দানা। কিন্তু সেই সোয়াবিন এখন ভারতসহ অন্যান্য দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এতে করে গো-খাদ্য উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। আর সেই সুযোগ নিয়ে গো-খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ধাপে ধাপে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা।

যেখানে আমাদের দেশেই সোয়াবিনের সংকট সেখানে এই পণ্যটি কীভাবে বাইরে রপ্তানি হচ্ছে এটা আমার বোধগম্য নয়।