পাহাড়ি ও পর্যটন অধ্যুষিত মৌলভীবাজারে ঈদ উপলক্ষে লাখো পর্যটকদের ঢল নামে। এবারের ঈদেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সবুজ-শ্যামল আর পাহাড়প্রেমী পর্যটকেরা করোনা ভাইরাস ডিঙ্গিয়ে দেশের বৃহত্তম জলপ্রপাত মাধবকুন্ড ও লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ভ্রমনে এসেছেন। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সেই লকডাউন থেকে বন্ধ ঘোষণা করায় এখনো ঠিক আগের মত তালাবদ্ধ রয়েছে মূল ফটকটি। মাধবকুন্ড জলপ্রপাতেরও একই দশা। পাহাড়ি ও টিলা বেষ্টিত মাধবকুন্ড জলপ্রপাত এলাকা দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ থাকায় মানুষের আবাদে বিচরণ বন্ধ হয়ে যায়। মানুষবিহীন বড়লেখা উপজেলার ওই ঝর্ণা ধারায় বিষাক্ত সাপ, বানরসহ নানা ধরনের জীব জন্তু অবাধে বিচরণ শুরু করছে এখন।
কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়ার বনের ভেতরও একই অবস্থা। সর্প, উল্লুক, বানর, প্িক্ষকুল যেন মেতে উঠেছে আপন মনে। এদিকে ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোভিড-১৯ না মেনে সিলেট বিভাগের হাজারো পর্যটকেরা আসেন ওই উদ্যানটিতে। তাদের যেন দমিয়ে রাখতে পারেনি কোভিড-১৯। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লাউয়াছড়ায় আসা রাজনগর উপজেলার কয়েকজন পর্যটক জানান, ফটক খোলা থাকলে লাউয়াছড়ার বনের ভেতরে এসে সবুজ প্রকৃতি উপভোগ করে প্রফুল্ল হতাম। এরপরও বাইরে ঘুরাঘুরি করে অন্তত দেখে যাচ্ছি। ঈদ উপলক্ষে মাধবকুন্ডের ফটক সম্মুখে লোকে লোকারন্য।
এদিকে পর্যটন জেলা মৌলভীবাজারে হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট এলাকায় গেল ৪ মাস ধরে দেশ-বিদেশী পর্যটক শুন্য। এক সূত্রে জানা গেছে, শ্রীমঙ্গলস্থ গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফ ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার দোসাই রিসোর্ট এন্ড স্পাসহ অর্ধ্বডজন রিসোর্টে প্রায় ২ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফ’র এজিমএম আরমান খান জানান, বৈশি^ক মহামারি করোনায় আমাদের মোটা অংকের একটা ক্ষতি হয়ে গেল।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান মঙ্গলবার জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে মৌলভীবাজার পর্যটন এলাকা খুলে দেবার জন্য ইতিপূর্বে আমরা পর্যটন কর্পোরেশন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছোট পরিসরে ওই স্পর্টগুলো খুলে দেয়া হবে এমন আশ্বাসও পেয়েছি। তবে এখনো খোলার অনুমতি পাইনি।
deshdiganto.com © 2019 কপিরাইট এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত
design and development by : http://webnewsdesign.com