ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতেবিভিন্ন চক্রান্তে লিপ্ত আ’লীগ গ্রিন সিলেট ট্রাভেলসের আয়োজনে বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস/কনসুলেট চেয়ে খোলা চিঠি স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া

রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমার রাজি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : ১১:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৭
  • / ১০৩০ টাইম ভিউ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, গত দু’মাসে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে মিয়ানমার রাজি হয়েছে।

নেপিডোতে মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লে. কর্নেল চ সুয়ি এবং পুলিশ প্রধানের সাথে বৈঠকের পর আসাদুজ্জামান খান টেলিফোনে বিবিসি বাংলার মিজানুর রহমান খানকে বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে দুই দেশের সমান সংখ্যক প্রতিনিধি নিয়ে খুব শিগগিরই একটি যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হবে। নভেম্বরের ৩০ তারিখের মধ্যে এই যৌথ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছেন তিনি।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন তিনি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে বলেছেন কফি আনান কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে যৌথ এই কমিটি ঠিক করবে রোহিঙ্গাদের কিভাবে ফিরিয়ে নেয়া হবে।

‘তারা ফেরত নেয়ার কথা বলেছে, তারা জানিয়েছে তাদের সরকারপ্রধান কফি আনান কমিশন বাস্তবায়নের জন্য কয়েকটি কমিটি তৈরি করেছেন.. কিন্তু আমরা বলেছি বাংলাদেশের সমান সংখ্যক প্রতিনিধি নিয়ে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির তত্বাবধানেই কফি আনান কমিশনের বাস্তবায়ন হতে হবে।’

জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিবের ওই কমিশন রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার দেয়ার সুপারিশ করেছে যা নিয়ে মিয়ানমার সরকারের ঘোরতর আপত্তি রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, তিনি রাখাইনে নির্যাতন বন্ধের দাবি করেছেন যাতে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়। ‘তারা বলেছেন কোনো নির্যাতন হচ্ছে না, তারা (রোহিঙ্গারা) নিজেরাই চলে যাচ্ছে। আমি বলেছি চলে যাওয়া ঠেকান আপনারা।’

এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী স্বীকার করেন, তিনি নিজে রাখাইনে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ইতিবাচক সাড়া পাননি।

মন্ত্রী বলেন, সীমান্তে মাইন পাতার প্রসঙ্গ তোলার পর, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ‘অন্যদের’ দোষারোপ করেছে। ‘তবে মিয়ানমার বলেছে তারা মাইন অপসারণের উদ্যোগ নেবে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল (বুধবার) তার সাথে অং সান সূ চির বৈঠক হবে। বাংলাদেশের এসব দাবি, প্রস্তাব এবং বক্তব্য তখন তিনি আবারো তুলবেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ‘আরসা জঙ্গিদের’ ব্যাপারে বাংলাদেশের কাছ থেকে গোয়েন্দা তথ্য চেয়েছে।

পোস্ট শেয়ার করুন

রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমার রাজি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেটের সময় : ১১:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৭

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, গত দু’মাসে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে মিয়ানমার রাজি হয়েছে।

নেপিডোতে মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লে. কর্নেল চ সুয়ি এবং পুলিশ প্রধানের সাথে বৈঠকের পর আসাদুজ্জামান খান টেলিফোনে বিবিসি বাংলার মিজানুর রহমান খানকে বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে দুই দেশের সমান সংখ্যক প্রতিনিধি নিয়ে খুব শিগগিরই একটি যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হবে। নভেম্বরের ৩০ তারিখের মধ্যে এই যৌথ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছেন তিনি।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন তিনি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে বলেছেন কফি আনান কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে যৌথ এই কমিটি ঠিক করবে রোহিঙ্গাদের কিভাবে ফিরিয়ে নেয়া হবে।

‘তারা ফেরত নেয়ার কথা বলেছে, তারা জানিয়েছে তাদের সরকারপ্রধান কফি আনান কমিশন বাস্তবায়নের জন্য কয়েকটি কমিটি তৈরি করেছেন.. কিন্তু আমরা বলেছি বাংলাদেশের সমান সংখ্যক প্রতিনিধি নিয়ে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির তত্বাবধানেই কফি আনান কমিশনের বাস্তবায়ন হতে হবে।’

জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিবের ওই কমিশন রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার দেয়ার সুপারিশ করেছে যা নিয়ে মিয়ানমার সরকারের ঘোরতর আপত্তি রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, তিনি রাখাইনে নির্যাতন বন্ধের দাবি করেছেন যাতে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়। ‘তারা বলেছেন কোনো নির্যাতন হচ্ছে না, তারা (রোহিঙ্গারা) নিজেরাই চলে যাচ্ছে। আমি বলেছি চলে যাওয়া ঠেকান আপনারা।’

এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী স্বীকার করেন, তিনি নিজে রাখাইনে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ইতিবাচক সাড়া পাননি।

মন্ত্রী বলেন, সীমান্তে মাইন পাতার প্রসঙ্গ তোলার পর, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ‘অন্যদের’ দোষারোপ করেছে। ‘তবে মিয়ানমার বলেছে তারা মাইন অপসারণের উদ্যোগ নেবে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল (বুধবার) তার সাথে অং সান সূ চির বৈঠক হবে। বাংলাদেশের এসব দাবি, প্রস্তাব এবং বক্তব্য তখন তিনি আবারো তুলবেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ‘আরসা জঙ্গিদের’ ব্যাপারে বাংলাদেশের কাছ থেকে গোয়েন্দা তথ্য চেয়েছে।