ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণে সরকারের ব্যবস্থাপনা নেই: ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : ০৯:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • / ১১৪৪ টাইম ভিউ

কক্সাবাজারের উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণে সরকারের কোনও ব্যবস্থাপনা নেই বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। অবিলম্বে এই কর্মকাণ্ডে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করার দাবি করেছে দলটি।

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার যে ত্রাণের ব্যবস্থা করছে তা লোক দেখানো ব্যাপার। এখন পর্যন্ত খবর আছে সেখানে কোনও ব্যবস্থাপনা নেই। প্রায় ফেল করে যাচ্ছে। ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

এই সমস্যা মোকাবিলায় সরকারের অবিলম্বে জাতীয় পর্যায়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলোকে নিয়ে আলোচনা করে সকল মানুষকে এখানে সম্পৃক্ত করার দাবি জানান তিনি।

রোববার দুপুরে নয়াপল্কল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও রিলিফ টিম কমিটির আহবায়ক মির্জা আব্বাস, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, আবদুল মো. ওয়াহেদ কেন্দ্রীয় নেতা মনির  হোসেন, শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল বলেন, পরষ্পর কাদা ছোড়াছুড়ি না করে আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদকের উচিত এই বিষয়গুলোর ওপর জোর দেয়া। মিয়ানমার সরকারের ওপরে চাপ সৃষ্টি করে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নাগরিকত্ব দিয়ে ফিরিয়ে নেয়া। এজন্য কূটনৈতিক তৎপরতা আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ইউএনডিপি‘র ঢাকার আবাসিক প্রধানের সঙ্গে কথা হয়েছে তারা বলেছেন যে রোহিঙ্গা শরণার্থী ওয়ান মিলিনয় ছাড়িয়ে গেছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সরকারের উচিৎ ছিলো সমস্ত রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন এবং অন্যান্য সংগঠনগুলোকে ডেকে কথা বলা। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয় ঐক্য তৈরি করে এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করা উচিত। কিন্তু সরকার তা না করে বিরোধী দল বিশেষ করে বিএনপিকে ত্রাণ নিতে বাধার সৃষ্টি করেছে।

কক্সবাজার থেকে সরেজমিনে দেখে এসে রিলিফ টিমের আহবায়ক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, সেখান অবস্থা ভয়াবহ। সরকারের প্রতি আহ্বান জানাবো, অবিলম্বে দেশি-বিদেশি যত সহযোগিতা ও অনুদান এসেছে তা সুষ্ঠুভাবে বন্টনের জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সেনাবাহিনী নিয়োগ করুন।

তিনি বলেন, দলমত নির্বিশেষ সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আর্ত মানবতার সেবায় এগিয়ে আসতে হবে।

মির্জা আব্বাস বলেন, কক্সবাজার সফরকালে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনকে ত্রাণ তৎপরতা দিতে দেখা গেলেও সরকার ও আওয়ামী লীগের তেমন কোনও কার্যক্রম চোখে পড়েনি।

মির্জা আব্বাস জানান, বিএনপির রিলিফ টিম টেকনাফ ও উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরের কাছে ৪০টি স্যানেটারি টয়লেট, ১২টি টিউবওয়েল স্থাপন, মৃত রোহিঙ্গাদের দাফনে সহযোগিতা প্রদান, চিকিৎসা সেবা ও বিনামূল্যে ঔষধ প্রদান করা হয়েছে। তবে রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে ক্ষমতাসীনরা চাঁদাবাজি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

পোস্ট শেয়ার করুন

রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণে সরকারের ব্যবস্থাপনা নেই: ফখরুল

আপডেটের সময় : ০৯:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

কক্সাবাজারের উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণে সরকারের কোনও ব্যবস্থাপনা নেই বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। অবিলম্বে এই কর্মকাণ্ডে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করার দাবি করেছে দলটি।

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার যে ত্রাণের ব্যবস্থা করছে তা লোক দেখানো ব্যাপার। এখন পর্যন্ত খবর আছে সেখানে কোনও ব্যবস্থাপনা নেই। প্রায় ফেল করে যাচ্ছে। ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

এই সমস্যা মোকাবিলায় সরকারের অবিলম্বে জাতীয় পর্যায়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলোকে নিয়ে আলোচনা করে সকল মানুষকে এখানে সম্পৃক্ত করার দাবি জানান তিনি।

রোববার দুপুরে নয়াপল্কল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও রিলিফ টিম কমিটির আহবায়ক মির্জা আব্বাস, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, আবদুল মো. ওয়াহেদ কেন্দ্রীয় নেতা মনির  হোসেন, শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল বলেন, পরষ্পর কাদা ছোড়াছুড়ি না করে আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদকের উচিত এই বিষয়গুলোর ওপর জোর দেয়া। মিয়ানমার সরকারের ওপরে চাপ সৃষ্টি করে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নাগরিকত্ব দিয়ে ফিরিয়ে নেয়া। এজন্য কূটনৈতিক তৎপরতা আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ইউএনডিপি‘র ঢাকার আবাসিক প্রধানের সঙ্গে কথা হয়েছে তারা বলেছেন যে রোহিঙ্গা শরণার্থী ওয়ান মিলিনয় ছাড়িয়ে গেছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সরকারের উচিৎ ছিলো সমস্ত রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন এবং অন্যান্য সংগঠনগুলোকে ডেকে কথা বলা। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয় ঐক্য তৈরি করে এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করা উচিত। কিন্তু সরকার তা না করে বিরোধী দল বিশেষ করে বিএনপিকে ত্রাণ নিতে বাধার সৃষ্টি করেছে।

কক্সবাজার থেকে সরেজমিনে দেখে এসে রিলিফ টিমের আহবায়ক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, সেখান অবস্থা ভয়াবহ। সরকারের প্রতি আহ্বান জানাবো, অবিলম্বে দেশি-বিদেশি যত সহযোগিতা ও অনুদান এসেছে তা সুষ্ঠুভাবে বন্টনের জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সেনাবাহিনী নিয়োগ করুন।

তিনি বলেন, দলমত নির্বিশেষ সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আর্ত মানবতার সেবায় এগিয়ে আসতে হবে।

মির্জা আব্বাস বলেন, কক্সবাজার সফরকালে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনকে ত্রাণ তৎপরতা দিতে দেখা গেলেও সরকার ও আওয়ামী লীগের তেমন কোনও কার্যক্রম চোখে পড়েনি।

মির্জা আব্বাস জানান, বিএনপির রিলিফ টিম টেকনাফ ও উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরের কাছে ৪০টি স্যানেটারি টয়লেট, ১২টি টিউবওয়েল স্থাপন, মৃত রোহিঙ্গাদের দাফনে সহযোগিতা প্রদান, চিকিৎসা সেবা ও বিনামূল্যে ঔষধ প্রদান করা হয়েছে। তবে রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে ক্ষমতাসীনরা চাঁদাবাজি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।