ঢাকা , রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে

রাখাল নৃত্যের মধ্যদিয়ে কমলগঞ্জে মণিপুরী রাসোৎসব শুরু

দেশদিগন্ত :
  • আপডেটের সময় : ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৯৭৫ টাইম ভিউ

ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা আর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুর থেকে মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী কমলগঞ্জের মাধবপুর জোড়া মন্ডপ প্রাঙ্গনে বর্ণময় শিল্পকলা সমৃদ্ধ বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী সম্প্রদায়ের ১৭৫ তম ও আদমপুরের তেতইগাঁও সানাঠাকুর মন্ডপ প্রাঙ্গনে মনিপুরী মৈ-তৈ সম্প্রদায়ের ৩২ তম মহারাসোৎসব শুরু হয়েছে।
মহা-রাসলীলা উপলক্ষে গত এক সপ্তাহ ধরে এ দুটি মন্ডপে ধুয়ামুছা আর সাজানোর কাজ শুরু হয়ে ছিল। সাদা কাগজের নকশায় নিপুন কারু কাজে সজ্জিত করা হয় মন্ডপগুলো। এই বছর প্রথম বারের মতো মাধবপুর জোড়ামন্ডপে ৩ দিন ব্যাপী রাসোৎসব পালন করা হচ্ছে। প্রথম দিন ২ নভেম্বর মৌলভীবাজার শহীদ মিনারে সকাল ১১টায় আনন্দ র‌্যালী মধ্য দিয়ে অনুষ্টানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ তোফায়েল ইসলাম ও বিকালে ৫ টায় কমলগঞ্জের মাধবপুর শিববাজারে উন্মুক্ত মঞ্চে হোলি উৎসব অনুষ্টিত হয়। ২য় দিন ৩রা নভেম্বর শুক্রবার দিনে বেনীরাস/দিবারাস(সাহিত্যের ভাষা বেলীরাস)অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনের বেলায় শুরু হয়ে সৃর্যাস্তের আগেই শেষ হয়ে যায় বলে এই রাসলীলাকে বেলীরাস ও বলা হয়। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় মণিপুরী কৃর্তি সন্তানদের সম্মাননা প্রদান। সাধারন রাসলীলার সাথে এর আরেকটি পার্থক্য হলো এর পোষাক-পরিচ্ছদ, গান ও মুদ্রার ধরন সাধারন রাসলীলা থেকে কিছুটা ভিন্ন। মুল অনুষ্টান মহারাসলীলা শনিবার অনুষ্টিত হয়। এই দিন দুপুর থেকে রাখাল নৃত্য (গোষ্টলীলা) শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এই নৃত্য চলাকালীন সময় ভক্তরা মন্ডবে বাতাসা ছিঠিয়ে বাতাসা বৃষ্টি করেন। সেই বাতাসা আবার ভক্তরা কুঁড়িয়ে নেন। রাত্রিতে অনুষ্টিত হয় রাসোৎসব। রাসোৎসব উপলক্ষে রাত্রিতে  লাখো মানুষের মিলনতীর্থ পরিনত হয় মাধবপুর জোড়া মন্ডপ আর আদমপুরের সানাঠাকুর মন্ডপ এলাকা। মন্ডপে মণিপুরী শিশু নৃত্যশিল্পীদের সুনিপুন নৃত্যাভিনয় রাতভর মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের। মণিপুরী সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরাও মেতে উঠে একদিনের এই আনন্দে। মহারাত্রির আনন্দের পরশ পেতে আসা হাজার হাজার নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরসহ নানা পেশার মানুষের পদচারনায় সকাল থেকে মুখরিত হয়ে উঠে মনিপুরী পল্লীর এ দুটি এলাকা।  রাসোৎসব উপলক্ষে ২টি এলাকায় পুলিশের চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। উৎসবকে কেন্দ্র করে ২টি স্থানেই বসেছে বিশাল মেলা। মেলায় নানা ধরনের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা। এছাড়া সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আলোচনা সভা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রাত ১২টা থেকে চলবে শ্রীশ্রী কৃষ্ণের মহা রাসলীলানুসরণ। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সাঙ্গ হবে উৎসবের।

পোস্ট শেয়ার করুন

রাখাল নৃত্যের মধ্যদিয়ে কমলগঞ্জে মণিপুরী রাসোৎসব শুরু

আপডেটের সময় : ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০১৭

ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা আর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুর থেকে মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী কমলগঞ্জের মাধবপুর জোড়া মন্ডপ প্রাঙ্গনে বর্ণময় শিল্পকলা সমৃদ্ধ বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী সম্প্রদায়ের ১৭৫ তম ও আদমপুরের তেতইগাঁও সানাঠাকুর মন্ডপ প্রাঙ্গনে মনিপুরী মৈ-তৈ সম্প্রদায়ের ৩২ তম মহারাসোৎসব শুরু হয়েছে।
মহা-রাসলীলা উপলক্ষে গত এক সপ্তাহ ধরে এ দুটি মন্ডপে ধুয়ামুছা আর সাজানোর কাজ শুরু হয়ে ছিল। সাদা কাগজের নকশায় নিপুন কারু কাজে সজ্জিত করা হয় মন্ডপগুলো। এই বছর প্রথম বারের মতো মাধবপুর জোড়ামন্ডপে ৩ দিন ব্যাপী রাসোৎসব পালন করা হচ্ছে। প্রথম দিন ২ নভেম্বর মৌলভীবাজার শহীদ মিনারে সকাল ১১টায় আনন্দ র‌্যালী মধ্য দিয়ে অনুষ্টানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ তোফায়েল ইসলাম ও বিকালে ৫ টায় কমলগঞ্জের মাধবপুর শিববাজারে উন্মুক্ত মঞ্চে হোলি উৎসব অনুষ্টিত হয়। ২য় দিন ৩রা নভেম্বর শুক্রবার দিনে বেনীরাস/দিবারাস(সাহিত্যের ভাষা বেলীরাস)অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনের বেলায় শুরু হয়ে সৃর্যাস্তের আগেই শেষ হয়ে যায় বলে এই রাসলীলাকে বেলীরাস ও বলা হয়। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় মণিপুরী কৃর্তি সন্তানদের সম্মাননা প্রদান। সাধারন রাসলীলার সাথে এর আরেকটি পার্থক্য হলো এর পোষাক-পরিচ্ছদ, গান ও মুদ্রার ধরন সাধারন রাসলীলা থেকে কিছুটা ভিন্ন। মুল অনুষ্টান মহারাসলীলা শনিবার অনুষ্টিত হয়। এই দিন দুপুর থেকে রাখাল নৃত্য (গোষ্টলীলা) শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এই নৃত্য চলাকালীন সময় ভক্তরা মন্ডবে বাতাসা ছিঠিয়ে বাতাসা বৃষ্টি করেন। সেই বাতাসা আবার ভক্তরা কুঁড়িয়ে নেন। রাত্রিতে অনুষ্টিত হয় রাসোৎসব। রাসোৎসব উপলক্ষে রাত্রিতে  লাখো মানুষের মিলনতীর্থ পরিনত হয় মাধবপুর জোড়া মন্ডপ আর আদমপুরের সানাঠাকুর মন্ডপ এলাকা। মন্ডপে মণিপুরী শিশু নৃত্যশিল্পীদের সুনিপুন নৃত্যাভিনয় রাতভর মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের। মণিপুরী সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরাও মেতে উঠে একদিনের এই আনন্দে। মহারাত্রির আনন্দের পরশ পেতে আসা হাজার হাজার নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরসহ নানা পেশার মানুষের পদচারনায় সকাল থেকে মুখরিত হয়ে উঠে মনিপুরী পল্লীর এ দুটি এলাকা।  রাসোৎসব উপলক্ষে ২টি এলাকায় পুলিশের চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। উৎসবকে কেন্দ্র করে ২টি স্থানেই বসেছে বিশাল মেলা। মেলায় নানা ধরনের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা। এছাড়া সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আলোচনা সভা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রাত ১২টা থেকে চলবে শ্রীশ্রী কৃষ্ণের মহা রাসলীলানুসরণ। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সাঙ্গ হবে উৎসবের।