যেভাবে পাবেন ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট
- আপডেটের সময় : ০৯:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২০
- / ৪০২ টাইম ভিউ
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চালু হতে যাচ্ছে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) সেবা। বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সেবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানা গেছে, মেয়াদ অনুযায়ী ই-পাসপোর্টের সর্বোচ্চ ফি ১২ হাজার টাকা আর সর্বনিম্ন ফি সাড়ে ৩ হাজার টাকা। এতে কোনো ভ্যাট সংযুক্ত হবে না। ই-পাসপোর্টে কাগজপত্রের কোনো সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না।
পাসপোর্ট অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে সাধারণ আবেদনকারীর জন্য সর্বোচ্চ ফি ২২৫ ডলার এবং সর্বনিম্ন ফি ১০০ ডলার। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ ফি ২২৫ ডলার এবং সর্বনিম্ন ফি ৩০ ডলার। সবক্ষেত্রে ই-পাসপোর্ট হবে ৪৮ ও ৬৪ পৃষ্ঠার। তিন ক্যাটাগরিতে দেয়া হবে ই-পাসপোর্ট। সে অনুযায়ী ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানা যায়, ৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৩ হাজার ৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৫ হাজার ৫০০ টাকা ও অতিজরুরি ফি ৭ হাজার ৫০০ টাকা। ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫ হাজার টাকা, জরুরি ফি ৭ হাজার ও অতিজরুরি ফি ৯ হাজার টাকা। বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫ হাজার ৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৭ হাজার ৫০০ ও অতিজরুরি ফি ১ হাজার ৫০০ টাকা। ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৭ হাজার টাকা, জরুরি ফি ৯ হাজার ও অতিজরুরি ফি ১২ হাজার টাকা।
অনলাইনেই পূরণ করা যাবে ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র। এছাড়া পিডিএফ ফরম্যাট ডাউনলোড করে কম্পিউটারে ফরমটি পূরণ করা যাবে। ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ অনুযায়ী পূরণ করতে হবে।
যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তাদের পিতা এবং মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করে ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছরের নিচে হলে জন্মনিবন্ধন সনদ লাগবে। ১৮ বছরের নিচে সব আবেদনকারীর ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর।
দেশের অভ্যন্তরে রেগুলার পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাত কর্মদিবসের মধ্যে দেয়া হবে। জরুরি পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেয়া হবে। অতিজরুরি পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেয়া হবে।
কূটনৈতিক পাসপোর্ট পেতে আবেদনকারীদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার উইং বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের প্রধান কার্যালয় বরাবর আবেদন করতে হবে। পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে কোনো অতিরিক্ত তথ্য সংযোজন বা ছবি পরিবর্তনের প্রয়োজন না হলে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিতির দরকার নেই।