মৌলভীবাজার-২ নৌকার সমর্থনে বিশাল জনসভা কামাল নয় বঙ্গবন্ধুই সংবিধানের মূল প্রণেতা- আজিজুর রহমান
- আপডেটের সময় : ১২:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮
- / ১২৩৯ টাইম ভিউ
দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও জেলা পরিষদের চেয়ার্যমান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আজিজুর রহমান বলেছেন, ড. কামাল হোসেসহ যারা ঐক্যপক্রিয়া করেছেন তারা সবাই পরিত্যাক্ত নেতা। কামাল হোসেন আমার সাথে গণপরিষদে ছিলেন। কামাল বলেন, তিনি নাকি সংবিধান প্রণেতা। তিনি সংবিধান প্রণেতা নন। কামাল হোসেনকে দেখে আমার খুব অদ্ভুত ব্যাপার মনে হয়। সংবিধান কোন ব্যক্তি প্রণয়ন করে না। সংবিধান প্রণয়ন করে সংসদীয় বোর্ড যাকে বলে গণপরিষদ। সেই পরিষদের নেতা ছিলেন জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুবর রহমান। তিনি হলেন ৭২ এর সংবিধানের মূল প্রণেতা। যারা ৭২ এর সংবিধান মানে না। তার বাইরে গিয়ে যারা কথা বলে তারা দেশের কুসন্তান। তিনি আরো বলেন, এই সোনার দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য, দুর্নীতিবাজ ও বেঈমানদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য শেখ হাসিনার প্রিয় যারা আছেন সবাইকে বিনীত অনুরোধ করছি নেত্রী মহাজোটের পক্ষ থেকে এম এম শাহীনকে নৌকা দিয়ে পাঠিয়েছেন, তাঁর পক্ষে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। কারণ কুলাউড়ার মানুষদের কাছে বেঈমানদের কোন স্থান নেই। তিনি বলেন, নৌকা হলো বিজয়ের প্রতীক, স্বাধীনতার প্রতীক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতীক। আমরা যারা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করি তাহলে দেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে ৩০ ডিসেম্বর নৌকাকে বিজয়ী করবো ইনশাআল¬াহ। এসময় তিনি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা করেন।
১৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে কুলাউড়া ডাকবাংলো মাঠে আয়োজিত মহাজোটের প্রার্থী এম এম শাহীনের সমর্থনে বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথাগুলো বলেন,
কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুল মতিন এমপি এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেণুর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন মহাজোটের মনোনীত প্রার্থী এম এম শাহীন।
এম এম শাহীন বলেন, বিশ্বের সফল রাষ্ট্রনায়ক, দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মানবতার বিমূর্ত প্রতীক শেখ হাসিনা আমার মত ক্ষুদ্র একজন ব্যক্তিকে যে মূল্যায়ন করেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতীক নৌকা প্রতীক তুলে আমাকে যে গুরুদায়িত্ব প্রদান করেছেন ইনশাল¬াহ সকলের সহযোগিতায় ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিবো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: ফজলুর রহমান, কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলাম, পৌর মেয়র শফি আলম ইউনুছ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নেহার বেগম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অরবিন্দু ঘোষ বিন্দু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুক্তাদির তোফায়েল, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গৌরা দে, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা শফিউল আলম শফি, উপজেলা জাসদের সভাপতি মঈনুল ইসলাম শামীম, উপজেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ম আহবায়ক অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ, উপজেলা জাসদের আহবায়ক আশিকুর রহমান ফটিক। বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ময়নুল ইসলাম সবুজ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সায়হাম রুমেলও পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান জনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক রাব্বি, সিলেট বিএমএ সভাপতি ডা: রুকন উদ্দিন আহমদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো: শাহজাহান, চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু, প্রভাষক মমদুদ হোসেন, এম এ রহমান আতিক, বিআরডিবির চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ফজলু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মো: জীবন রহমানসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এসময় অন্যান্য বক্তারা সুলতান মনসুরের প্রতি বিষেদাগার করে বলেছেন, সুলতান মনসুর মুজিব কোট পরে যে অপরাজনীতি করছেন তা প্রতিহত করতে হবে। কুলাউড়ার মানুষকে ধোকা দিয়ে তিনি বোকা বানিয়েছেন। ভীমরতি মুজিব কোট পরে খন্দকার মোশতাকসহ বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের সাথে আঁতাত করে ভন্ডামী করে তিনি দখলের রাজনীতি করেছেন। তিনি ১/১১ এর সময় বলেছিলেন শেখ হাসিনা জেলে থাকা মঙ্গল। সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ এর বিরুদ্ধে আগামী ৩০ ডিসেম্বর নৌকার বিজয়ে কাঙ্খিত রায় দিতে হবে। বিএনপি-জামায়তকে রাস্তা থেকে তুলে সুলতান মনসুর যে মিথ্যাচার ও ভন্ডামী করছেন, সেই নেতাকে ধিক্কার জানাই। যারা নেত্রীর সাথে বেঈমানী করেছে তারা প্রকৃত মুজিব সৈনিক হতে পারেনা। সুলতান মনসুরকে নেত্রী শেখ হাসিনা তৈরি করেছিলেন। আজ সুলতান জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ও আওয়ামীলীগের কর্মীরা আজও ভুলেনি। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করে তাঁর দাত ভাঙ্গা জবাব দেবে কুলাউড়াবাসী।