ঢাকা , রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে

মৌলভীবাজার বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় এম নাসের রহমান বিএনপি নামক দু:স্বপ্ন শাসকগোষ্ঠীকে সারাক্ষণই তাড়া করে

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • / ২৮৫ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান বলেছেন আজকে সাড়েদশটা বছর কতগুলি ভুয়া এমপি জনগন দ্বারা নির্বাচিত নয় এসমস্ত লোকেরা এমপি হয়েছে। ২০০৮ সালে কারসাজির মাধ্যমে মৌলভীবাজারেও একজনকে এমপি ঘোষনা করা হয়। এর ৫ পাঁচবছর পরে বিনা ভোটের নির্বাচনেও তিনি নির্বাচিত হন। উনার স্ত্রীকেও বিনা ভোটের এমপি নির্বাচিত করা হয়। আর গত সাত মাস আগে একবারে দিবালোকে হরিলুট ভোট ডাকাতির নির্বাচনে একেকজন এমপি হয়েছেন। এই ভোট কারচুপি শুধু রাতের নয়,দিনেও হয়েছে,সন্ধ্যায় হয়েছে,রাতেও হয়েছে। তিনবেলা কারচুপি হয়েছে। আগে কারচুপি হতো শুনতাম একবেলা। আর এখন হয় সারা বেলা। এইবার ভোট চুরি হয়েছে ভোটের আগের দিন রাতে। এই চুরি ডাকাতির পর একেকজন এমপি হয়েছেন। ১ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুরে মৌলভীবাজার শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। প্রয়াত সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী সাইফুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র এম নাসের রহমান আরও বলেন,আওয়ামীলীগ অদূর ভবিষ্যতে যদি ক্ষমতায় না থাকে এই যে আজকে জিয়াউর রহমানের নাম ফলক যারা ভেঙ্গেছে এ ছেলেগুলি কোথায় থাকবে। শুধু এরা কেন বড় নেতাদেরও খুঁজে পাওয়া যাবে না। রাজনীতিতে সহমর্মিতা না থাকলে এক নায়কতন্ত্রের রাজনীতি করলে এ অবস্থা হয়। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,ছাত্রদল কর যুবদল কর রাজনীতির ইতিহাস পড়তে হবে। ৭২ সাল থেকে ৭৫ সালের ইতিহাসটা বেশী করে পড়বা। আর ৭৫ সাল থেকে ৮১ সালের ইতিহাস পড়তে হবে। তখন রাইট অর রঙ বুঝতে পারবে। নাসের রহমান বলেন,আসলে শাসক গোষ্টী সাড়ে দশবছর ক্ষমতায় থাকার পরেও সারাক্ষণ প্রতি রাতে তাদের বিএনপি নামক একটা দু:স্বপ্ন দেখে। বিএনপি নামক দু:স্বপ্ন তাদের তাড়া করে বেড়ায় সারাক্ষণ। জিয়াউর রহমানের আত্মা দেখলে আতঁকে উঠে তারা। এজন্য তাদের নেত্রী এখন আবোল তাবোল বলছেন। গুম রাজনীতিতে যদি কোন পুরষ্কার থেকে থাকে পৃথিবীতে। এটা তো বালক বালিকারও বলতে পারবে এই পুরুষ্কারটা কারা পাবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। আজকে সাড়ে দশবছর বিএনপিকে অত্যাচার নিপীড়ন হাজার হাজার নেতাকমীকে জেলে ঢুকিয়ে গুম করে হত্যা করেও শেখ হাসিনার আওয়মীলীগের শান্তি নাই। এখনও তারা বিএনপির নাম শুনলে আতঁকে লাফিয়ে উঠে। কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ড তো দূরে থাক আমাদের দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পর্যন্ত করতে দেয়া হচ্ছে না। এই ফ্যাসিষ্ট সরকারের শত জুলুম সহ্য করেও কিন্তু বিএনপি রাজপথে ঠিকে আছে। আজকের বিএনপি প্রতিষ্ঠায় মৌলভীবাজারেরও অবদান কম নয়। এই বিএনপি প্রতিষ্ঠার সময় যে দশজন ছিলেন সেই দশজনের একজন ছিলেন মরহুম এম সাইফুর রহমান। তিনি বলেন,রুদ্ধদার পরিস্থিতি থেকে দেশ জাতি শিগগরিই মুক্তি পাবে। আজকে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বন্দী আছেন। নেত্রীকে একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্তের মাধ্যমে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এই আন্তর্জাতিক চক্রর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো সময় আমাদের এখনও আসে নাই। ইনশাল্লাহ আগামী কয়েকমাসের মধ্যে নেত্রী মুক্তি পাবেন। আবারো বিএনপি উজ্জীবিত হবে। মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সাবেক পৌরমেয়র ফয়জুল করিম ময়ুনের সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজানুর রহমান মিজান ও সাংগঠনিক সম্পাদক বকশী মিছবাহ উর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মৌলভী আব্দুল ওয়ালী সিদ্দিকী,আলহাজ এমএ মুকিত,মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক,আশিক মোশারফ,য়ুগ্ম সম্পাদক হেলু মিয়া,সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ মতিন বক্স,জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জল,সাধারণ সম্পাদক এমএ মোহিত,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি স্বাগত কিশোর দাশ চৌধুরী,সাধারণ সম্পাদক জিএম মোক্তাদির রাজু,জাসাসের সভাপতি মো.মারুফ আহমেদ,জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো.রুবেল মিয়া,সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান।এসময় বিএনপি,যুবদল,ছাত্রদল,স্বেচ্ছাসেবকদল,জাসাস,শ্রমিকদল,কৃষকদল,তাতী দল,মৎস্যজীবী দল সহ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

মৌলভীবাজার বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় এম নাসের রহমান বিএনপি নামক দু:স্বপ্ন শাসকগোষ্ঠীকে সারাক্ষণই তাড়া করে

আপডেটের সময় : ০৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান বলেছেন আজকে সাড়েদশটা বছর কতগুলি ভুয়া এমপি জনগন দ্বারা নির্বাচিত নয় এসমস্ত লোকেরা এমপি হয়েছে। ২০০৮ সালে কারসাজির মাধ্যমে মৌলভীবাজারেও একজনকে এমপি ঘোষনা করা হয়। এর ৫ পাঁচবছর পরে বিনা ভোটের নির্বাচনেও তিনি নির্বাচিত হন। উনার স্ত্রীকেও বিনা ভোটের এমপি নির্বাচিত করা হয়। আর গত সাত মাস আগে একবারে দিবালোকে হরিলুট ভোট ডাকাতির নির্বাচনে একেকজন এমপি হয়েছেন। এই ভোট কারচুপি শুধু রাতের নয়,দিনেও হয়েছে,সন্ধ্যায় হয়েছে,রাতেও হয়েছে। তিনবেলা কারচুপি হয়েছে। আগে কারচুপি হতো শুনতাম একবেলা। আর এখন হয় সারা বেলা। এইবার ভোট চুরি হয়েছে ভোটের আগের দিন রাতে। এই চুরি ডাকাতির পর একেকজন এমপি হয়েছেন। ১ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুরে মৌলভীবাজার শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। প্রয়াত সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী সাইফুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র এম নাসের রহমান আরও বলেন,আওয়ামীলীগ অদূর ভবিষ্যতে যদি ক্ষমতায় না থাকে এই যে আজকে জিয়াউর রহমানের নাম ফলক যারা ভেঙ্গেছে এ ছেলেগুলি কোথায় থাকবে। শুধু এরা কেন বড় নেতাদেরও খুঁজে পাওয়া যাবে না। রাজনীতিতে সহমর্মিতা না থাকলে এক নায়কতন্ত্রের রাজনীতি করলে এ অবস্থা হয়। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,ছাত্রদল কর যুবদল কর রাজনীতির ইতিহাস পড়তে হবে। ৭২ সাল থেকে ৭৫ সালের ইতিহাসটা বেশী করে পড়বা। আর ৭৫ সাল থেকে ৮১ সালের ইতিহাস পড়তে হবে। তখন রাইট অর রঙ বুঝতে পারবে। নাসের রহমান বলেন,আসলে শাসক গোষ্টী সাড়ে দশবছর ক্ষমতায় থাকার পরেও সারাক্ষণ প্রতি রাতে তাদের বিএনপি নামক একটা দু:স্বপ্ন দেখে। বিএনপি নামক দু:স্বপ্ন তাদের তাড়া করে বেড়ায় সারাক্ষণ। জিয়াউর রহমানের আত্মা দেখলে আতঁকে উঠে তারা। এজন্য তাদের নেত্রী এখন আবোল তাবোল বলছেন। গুম রাজনীতিতে যদি কোন পুরষ্কার থেকে থাকে পৃথিবীতে। এটা তো বালক বালিকারও বলতে পারবে এই পুরুষ্কারটা কারা পাবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। আজকে সাড়ে দশবছর বিএনপিকে অত্যাচার নিপীড়ন হাজার হাজার নেতাকমীকে জেলে ঢুকিয়ে গুম করে হত্যা করেও শেখ হাসিনার আওয়মীলীগের শান্তি নাই। এখনও তারা বিএনপির নাম শুনলে আতঁকে লাফিয়ে উঠে। কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ড তো দূরে থাক আমাদের দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পর্যন্ত করতে দেয়া হচ্ছে না। এই ফ্যাসিষ্ট সরকারের শত জুলুম সহ্য করেও কিন্তু বিএনপি রাজপথে ঠিকে আছে। আজকের বিএনপি প্রতিষ্ঠায় মৌলভীবাজারেরও অবদান কম নয়। এই বিএনপি প্রতিষ্ঠার সময় যে দশজন ছিলেন সেই দশজনের একজন ছিলেন মরহুম এম সাইফুর রহমান। তিনি বলেন,রুদ্ধদার পরিস্থিতি থেকে দেশ জাতি শিগগরিই মুক্তি পাবে। আজকে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বন্দী আছেন। নেত্রীকে একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্তের মাধ্যমে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এই আন্তর্জাতিক চক্রর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো সময় আমাদের এখনও আসে নাই। ইনশাল্লাহ আগামী কয়েকমাসের মধ্যে নেত্রী মুক্তি পাবেন। আবারো বিএনপি উজ্জীবিত হবে। মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সাবেক পৌরমেয়র ফয়জুল করিম ময়ুনের সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজানুর রহমান মিজান ও সাংগঠনিক সম্পাদক বকশী মিছবাহ উর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মৌলভী আব্দুল ওয়ালী সিদ্দিকী,আলহাজ এমএ মুকিত,মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক,আশিক মোশারফ,য়ুগ্ম সম্পাদক হেলু মিয়া,সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ মতিন বক্স,জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জল,সাধারণ সম্পাদক এমএ মোহিত,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি স্বাগত কিশোর দাশ চৌধুরী,সাধারণ সম্পাদক জিএম মোক্তাদির রাজু,জাসাসের সভাপতি মো.মারুফ আহমেদ,জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো.রুবেল মিয়া,সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান।এসময় বিএনপি,যুবদল,ছাত্রদল,স্বেচ্ছাসেবকদল,জাসাস,শ্রমিকদল,কৃষকদল,তাতী দল,মৎস্যজীবী দল সহ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।