ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

মৌলভীবাজার বিআরটিএ অফিসে ঘুষ বানিজ্যের ভিডিও ভাইরাল, সাংবাদিককে হুমকি!

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০৮:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০১৯
  • / ৬৫৬ টাইম ভিউ

কুলাউড়া প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজার বিআরটিএ অফিসের ঘুষ প্রদানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওটি সংগ্রহ করে ফেইসবুকে প্রকাশ করায় কুলাউড়ায় কর্মরত সাংবাদিক এস আলম সুমনকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিলেন মৌলভীবাজারের মতিউর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী। ১ জুলাই সোমবার বেলা পৌণে তিনটার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। ওইসময় মতিউর নিজেকে একজন গাড়ি ব্যবসায়ী এবং আওয়ামীলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দেন। জানা যায়, গত রোববার (৩০ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মৌলভীবাজার বিআরটিএ অফিসে এক ব্যক্তির হাত থেকে নগদ টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। প্রকাশিত সেই ভিডিওটি পরে সাংবাদিক এস আলম সুমন স্থানীয় পত্রিকা সীমান্তের ডাকের ফেসবুক পেইজ ‘সাপ্তাহিক সীমান্তের ডাক’-এ প্রকাশ করেন। পরে ভিডিওটি ব্যাপক ভাইরাল হয়। এর প্রেক্ষিতে মতিউর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে এস আলম সুমনকে মোবাইল ফোন করে এ হুমকি প্রদান করেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক এস আলম সুমন বলেন, মতিউর রহমান আমাকে কল করেই উত্তেজিত হয়ে কথা বলছিলেন। আমি কেন ভিডিওটি প্রকাশ করলাম প্রশ্ন করছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি নিজেকে গাড়ি শোরুম ব্যবসায়ী ও আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে আমাকে মামলা ও দেখে নেয়ার হুমকী প্রদান করেন। সুমন বলেন, উনাকে বিআরটিএ অফিসে নগদ লেনদেনের বিষয়টি আইনে আছে কি না জানতে চাইলে আমাকে বলেন ‘কোন আইনে আছে নগদ টাকা লেনদেন করা যাবেনা। আমার টাকা দেয়ার ভিডিও রেকর্ড ও ফেসবুকে দেওয়ায় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আইনে মামলা করবো ও দেখে নেবো। আমি বিদেশে গাড়ি ব্যবসা করেছি দেশে গাড়ি ব্যবসা করছি। আমাকে এক নামে সবাই চেনে। আমাকে চেনোনা এর জন্য দেখে নেবো।’ এবিষয়ে ব্যবসায়ী মতিউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একজন গাড়ি ব্যবসায়ী। ওইদিন আমার স্বজন এক রোগীকে নিয়ে সিলেটে যাওয়ার সময় বিআরটিএ অফিসে যাই। সেখানে আমার একটা লাইসেন্সের জন্য চালানের টাকা ওই ব্যক্তিটিকে দিয়েছি। ওই সময় কেউ একজন অন্যায়ভাবে সেই ভিডিওটি করে। সেই ভিডিওটি এভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় আমার সম্মানহানি হয়েছে। আমি কাউকে ঘুষ দেই নি।

পোস্ট শেয়ার করুন

মৌলভীবাজার বিআরটিএ অফিসে ঘুষ বানিজ্যের ভিডিও ভাইরাল, সাংবাদিককে হুমকি!

আপডেটের সময় : ০৮:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০১৯

কুলাউড়া প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজার বিআরটিএ অফিসের ঘুষ প্রদানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওটি সংগ্রহ করে ফেইসবুকে প্রকাশ করায় কুলাউড়ায় কর্মরত সাংবাদিক এস আলম সুমনকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিলেন মৌলভীবাজারের মতিউর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী। ১ জুলাই সোমবার বেলা পৌণে তিনটার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। ওইসময় মতিউর নিজেকে একজন গাড়ি ব্যবসায়ী এবং আওয়ামীলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দেন। জানা যায়, গত রোববার (৩০ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মৌলভীবাজার বিআরটিএ অফিসে এক ব্যক্তির হাত থেকে নগদ টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। প্রকাশিত সেই ভিডিওটি পরে সাংবাদিক এস আলম সুমন স্থানীয় পত্রিকা সীমান্তের ডাকের ফেসবুক পেইজ ‘সাপ্তাহিক সীমান্তের ডাক’-এ প্রকাশ করেন। পরে ভিডিওটি ব্যাপক ভাইরাল হয়। এর প্রেক্ষিতে মতিউর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে এস আলম সুমনকে মোবাইল ফোন করে এ হুমকি প্রদান করেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক এস আলম সুমন বলেন, মতিউর রহমান আমাকে কল করেই উত্তেজিত হয়ে কথা বলছিলেন। আমি কেন ভিডিওটি প্রকাশ করলাম প্রশ্ন করছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি নিজেকে গাড়ি শোরুম ব্যবসায়ী ও আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে আমাকে মামলা ও দেখে নেয়ার হুমকী প্রদান করেন। সুমন বলেন, উনাকে বিআরটিএ অফিসে নগদ লেনদেনের বিষয়টি আইনে আছে কি না জানতে চাইলে আমাকে বলেন ‘কোন আইনে আছে নগদ টাকা লেনদেন করা যাবেনা। আমার টাকা দেয়ার ভিডিও রেকর্ড ও ফেসবুকে দেওয়ায় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আইনে মামলা করবো ও দেখে নেবো। আমি বিদেশে গাড়ি ব্যবসা করেছি দেশে গাড়ি ব্যবসা করছি। আমাকে এক নামে সবাই চেনে। আমাকে চেনোনা এর জন্য দেখে নেবো।’ এবিষয়ে ব্যবসায়ী মতিউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একজন গাড়ি ব্যবসায়ী। ওইদিন আমার স্বজন এক রোগীকে নিয়ে সিলেটে যাওয়ার সময় বিআরটিএ অফিসে যাই। সেখানে আমার একটা লাইসেন্সের জন্য চালানের টাকা ওই ব্যক্তিটিকে দিয়েছি। ওই সময় কেউ একজন অন্যায়ভাবে সেই ভিডিওটি করে। সেই ভিডিওটি এভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় আমার সম্মানহানি হয়েছে। আমি কাউকে ঘুষ দেই নি।