ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ভিক্টোরিয়া মাঠে বড়লেখা রেসিং পিজিয়ন ক্লাবের কবুতর দৌড় প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্টিত

ছয়ফুল আলম সাইফুলঃ
  • আপডেটের সময় : ০৪:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ১২৪৭ টাইম ভিউ

ছয়ফুল আলম সাইফুলঃ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ভিক্টোরিয়া মাঠে বড়লেখা রেসিং পিজিয়ন ক্লাবের কবুত দৌড় প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্টিত হয়েছে।

বড়লেখা উপজেলা থেকে বাক্সবন্দী করে শ্রীমঙ্গলে আনা হয়েছে ৫৫টি কবুতর। প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূর থেকে বাক্সবন্দী এসব কবুতর ছেড়ে দেওয়া হলো মুক্ত আকাশে। সেখানে তাদের মালিকেরা অপেক্ষায় আছেন, কখন কবুতরগুলো ফিরবে। যাঁর কবুতরগুলো আগে পৌঁছাবে তিনিই বিজয়ী।

আজ ২১ অক্টোবর শনিবার সকাল ১০টায় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ভিক্টোরিয়া মাঠে কবুতরের দৌড় প্রতিযোগিতার ফাইনালে ৫৫টি কবুতর  ছেড়ে দেওয়া হলো মুক্ত আকাশে ছাড়া পেয়ে আকাশে বেশ কয়েকবার ঘূর্ণিপাক খেয়ে কবুতরগুলো দল বেঁধে ও দলের বাইরে রওনা দেয় বড়লেখার উদ্দেশে।

আবহাওয়া খারাপ থাকায় ১১.১০ মিনিটের সময় (১ঘন্টা ১০ মিনিটে) প্রথম দেলওয়ার হোসেনের কবুতর এবং পর্যাক্রমে ২য় স্থানে আব্দুল আহাদ এবং তৃতীয় স্থানে মোনায়েম খাঁন মুন্নার কবুতরটি পৌছাতে সক্ষম হয়। খেলার নিয়ম অনুযায়ী বিকাল সাড়ে চারটার মধ্যেই ৫১টি কবুতর পৌছালে ৪টি কবুতর সঠিক সময়ে পৌছাতে পারেনি।

প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডে উপস্থিত ছিলেন বড়লেখা রেসিং পিজিয়ন ক্লাবের উপদেষ্টা মো. বদরুল ইসলাম, উপদেষ্টা জাকির মোহাম্মদ ও বড়লেখা পিজিয়ন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জাবেদ আহমদ। তাঁরা তিনজন এই প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন।

বিচারক ছাড়াও ফাইনাল রাউন্ডে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল রেসিং পিজিয়ন ক্লাবের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমেদ, সাংগঠনিক আজহারুল ইসলাম প্রমুখ। ফাইনাল রাউন্ডে কামরুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, মাসুম আহমদ, আবদুল আহাদ, ইউনুস আহমেদ ও মোনায়েম খান মুন্নার ৫৫টি কবুতর অংশ নেয়।কবুতরগুলোর পায়ে একটি নম্বর দেওয়া আছে। সেটা দেখেই ঠিক করা হবে বিজয়ী।

এই প্রতিযোগিতার বিচারক মো. বদরুল ইসলাম বলেন, ইতিপূর্বে বড়লেখা রেসিং পিজিয়ন ক্লাবের উদ্যোগে গত ১১ নভেম্বর এই কবুতর দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয় প্রথমে ৫কিঃমিঃ কাঠালতলি, ২৪ নভেম্বর ১০ কিঃমিঃ হাতলিয়া,২৭ নভেম্বর ১৫ কিঃমি জুড়ি, ১ডিসেম্বর ২০কিঃমিঃ বুয়াই বাজার, ৪ডিসেম্বর ২৫কিঃমিঃ উত্তর কুলাউড়া, ৭ডিসেম্বর ৩০কিঃমিঃ ব্রাম্মনবাজার, ১২ ডিসেম্বর ৪০ কিঃমিঃ কটারকোনা,১৬ ডিসেম্বর ৫০ কিঃমি কমলগঞ্জ মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মঠে অষ্টম মহড়া অনুষ্টিত হয়। এরপর বিভিন্ন রাউন্ড ঘুরে আজ ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় অনেক কবুতরপ্রেমী অংশ নিয়েছেন।

বদরুল বলেন, ‘প্রতিযোগিতাটি মূলত শখের বশে করা। আমাদের এই প্রতিযোগিতা থেকে তরুণেরা কবুতর পালনে উৎসাহিত হবে। এতে করে লেখাপড়ার পাশাপাশি তরুণেরা কবুতর লালন-পালন করে সেগুলো বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বীও হতে পারে। এসব কাজের সঙ্গে মিশে থাকলে মাদক থেকে তাঁরা দূরে থাকবে বলে আমরা মনে করি।

 

 

 

পোস্ট শেয়ার করুন

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ভিক্টোরিয়া মাঠে বড়লেখা রেসিং পিজিয়ন ক্লাবের কবুতর দৌড় প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্টিত

আপডেটের সময় : ০৪:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯

ছয়ফুল আলম সাইফুলঃ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ভিক্টোরিয়া মাঠে বড়লেখা রেসিং পিজিয়ন ক্লাবের কবুত দৌড় প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্টিত হয়েছে।

বড়লেখা উপজেলা থেকে বাক্সবন্দী করে শ্রীমঙ্গলে আনা হয়েছে ৫৫টি কবুতর। প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূর থেকে বাক্সবন্দী এসব কবুতর ছেড়ে দেওয়া হলো মুক্ত আকাশে। সেখানে তাদের মালিকেরা অপেক্ষায় আছেন, কখন কবুতরগুলো ফিরবে। যাঁর কবুতরগুলো আগে পৌঁছাবে তিনিই বিজয়ী।

আজ ২১ অক্টোবর শনিবার সকাল ১০টায় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ভিক্টোরিয়া মাঠে কবুতরের দৌড় প্রতিযোগিতার ফাইনালে ৫৫টি কবুতর  ছেড়ে দেওয়া হলো মুক্ত আকাশে ছাড়া পেয়ে আকাশে বেশ কয়েকবার ঘূর্ণিপাক খেয়ে কবুতরগুলো দল বেঁধে ও দলের বাইরে রওনা দেয় বড়লেখার উদ্দেশে।

আবহাওয়া খারাপ থাকায় ১১.১০ মিনিটের সময় (১ঘন্টা ১০ মিনিটে) প্রথম দেলওয়ার হোসেনের কবুতর এবং পর্যাক্রমে ২য় স্থানে আব্দুল আহাদ এবং তৃতীয় স্থানে মোনায়েম খাঁন মুন্নার কবুতরটি পৌছাতে সক্ষম হয়। খেলার নিয়ম অনুযায়ী বিকাল সাড়ে চারটার মধ্যেই ৫১টি কবুতর পৌছালে ৪টি কবুতর সঠিক সময়ে পৌছাতে পারেনি।

প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডে উপস্থিত ছিলেন বড়লেখা রেসিং পিজিয়ন ক্লাবের উপদেষ্টা মো. বদরুল ইসলাম, উপদেষ্টা জাকির মোহাম্মদ ও বড়লেখা পিজিয়ন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জাবেদ আহমদ। তাঁরা তিনজন এই প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন।

বিচারক ছাড়াও ফাইনাল রাউন্ডে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল রেসিং পিজিয়ন ক্লাবের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমেদ, সাংগঠনিক আজহারুল ইসলাম প্রমুখ। ফাইনাল রাউন্ডে কামরুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, মাসুম আহমদ, আবদুল আহাদ, ইউনুস আহমেদ ও মোনায়েম খান মুন্নার ৫৫টি কবুতর অংশ নেয়।কবুতরগুলোর পায়ে একটি নম্বর দেওয়া আছে। সেটা দেখেই ঠিক করা হবে বিজয়ী।

এই প্রতিযোগিতার বিচারক মো. বদরুল ইসলাম বলেন, ইতিপূর্বে বড়লেখা রেসিং পিজিয়ন ক্লাবের উদ্যোগে গত ১১ নভেম্বর এই কবুতর দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয় প্রথমে ৫কিঃমিঃ কাঠালতলি, ২৪ নভেম্বর ১০ কিঃমিঃ হাতলিয়া,২৭ নভেম্বর ১৫ কিঃমি জুড়ি, ১ডিসেম্বর ২০কিঃমিঃ বুয়াই বাজার, ৪ডিসেম্বর ২৫কিঃমিঃ উত্তর কুলাউড়া, ৭ডিসেম্বর ৩০কিঃমিঃ ব্রাম্মনবাজার, ১২ ডিসেম্বর ৪০ কিঃমিঃ কটারকোনা,১৬ ডিসেম্বর ৫০ কিঃমি কমলগঞ্জ মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মঠে অষ্টম মহড়া অনুষ্টিত হয়। এরপর বিভিন্ন রাউন্ড ঘুরে আজ ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় অনেক কবুতরপ্রেমী অংশ নিয়েছেন।

বদরুল বলেন, ‘প্রতিযোগিতাটি মূলত শখের বশে করা। আমাদের এই প্রতিযোগিতা থেকে তরুণেরা কবুতর পালনে উৎসাহিত হবে। এতে করে লেখাপড়ার পাশাপাশি তরুণেরা কবুতর লালন-পালন করে সেগুলো বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বীও হতে পারে। এসব কাজের সঙ্গে মিশে থাকলে মাদক থেকে তাঁরা দূরে থাকবে বলে আমরা মনে করি।