মৌলভীবাজারের রত্নদের ভুলতে বসেছে নতুন প্রজন্ম
- আপডেটের সময় : ০২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৭
- / ২৩৩৩ টাইম ভিউ
যার কথা লিখা হচ্ছে ব্যারিস্টার মুন্তাকিম চৌধুরী মৌলভীবাজার জেলার রাজনীতির উজ্জলতরদের মধ্যে অন্যতম। তার কিছু বিশেষত্ব ছিল।যা নব্বই দশকের প্রজন্মের অজানা । কুলাউড়ার উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের কানিহাটিতে জন্ম নেয়া এই প্রবীণ ব্যক্তিত্ব হজরত শাহ্ জালালের (রাঃ) ঘনিস্ট সহযোগী হজরত শাহ্ হেলিম উদ্দিন নুরুল অলির বংশধর । ইটার রাজবংশের সাথে তার আত্মীয়তা ছিল। তার পিতা খান বাহাদুর তজমুল আলি আমার জানা মতে প্রথম মুসলিম বাঙালি জেলা প্রশাসক। তিনি প্রথম জীবনে মৌলানা ভাসানির একজন ঘনিস্ট জন ছিলেন। তার সাথে হুসেন শহীদ সোরওয়ারদির যোগাযোগ ছিল খুবই অন্তরঙ্গ। ১৯৬২ সালে তিনি প্রথম কুলাউড়া বড়লেখা ও শ্রীমঙ্গলের একাংশ নিয়ে গঠিত নির্বাচনী এলাকার এম এন এ নির্বাচিত হন। মৃত্যুপূর্বে রওয়ারদি বঙ্গবন্ধুকে পরামশ দেন যাতে মুন্তাকিম চৌধুরীকে তার দলে অন্তরভুক্ত করেন। ১৯৬৩ সালে বঙ্গবন্ধু তাকে আওয়ামী লীগে যোগদানের আহবান জানান। বঙ্গবন্ধু যোগ্য লোকদের তখন দলীয় নেতা হিসাবে নির্বাচন করছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তিনি পুনরায় এম এন এ হিসাবে নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি ৪ ন সেক্টরের রাজনৈতিক সমন্বয়কের ভুমিকা ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের পূর্ব জোনের অফিস পরিচালনা ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৭২ সালে প্রথমে তিনি সংবিধান কমিটির গুরুত্ব পূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন । পরে জাপান ও জার্মানির রাষ্ট্রদুত হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। বঙ্গবন্ধু পরবর্তী কালে তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে সরে যান। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। তার ঘনিস্ট রাজনৈতিক সহযোগী ছিলেন জনাব আজিজুর রহমান (বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক ), জয়নাল আবেদিন, লতিফ খান, আব্দুল জব্বার, জুবেদ চৌধুরি, মুকিমুদ্দিন, আতাউর রহমান, সৈয়দ জামালুদ্দিন প্রমুখ।