ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় তিন এলাকা লকডাউন

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০
  • / ৪৯৮ টাইম ভিউ

 

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের দেশের ন্যায় সিলেটে বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ঝুঁকিপুর্ন বিভিন্ন এলাকাকে রেড, ইয়োলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করা হয়েছে।
তার ধারাবাহিকতায় কুলাউড়া পৌরসভাসহ ২টি ইউনিয়নের তিনটি এলাকাতে রেড জোন ঘোষণার করার পর লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

গতকাল বিকেল ৪টা থেকে উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের নন্দনগর গ্রাম, পৌরসভার মাগুরা আবাসিক এলাকা এবং শহরের পাশ্ববর্তী কাদিপুর ইউনিয়নের মনসুর আংশিক এলাকায় বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেড জোন এলাকা চিহ্নিত করে লকডাউন কার্যকর করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরী।
এ জোনের আওতায় কোন বাসিন্দা কেউ বাইরে যেতে বা বাইরে থেকে কেউ এ জোনের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না। এ জোনের দোকানপাট, বিপণিবিতান, সরকারি-বেসরকারি কার্যালয় সব বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া কৃষি পণ্যেবাহী যানবাহন, জরুরী সেবা ব্যতিত সর্বসাধারণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
লকডাউন কার্যকরের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল হক, কুলাউড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. ইয়ারদৌস হাসান, ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী, কাউন্সিলর তানভীর আহমদ শাওন প্রমুখ।

এদিকে কুলাউড়ায় ইয়োলো জোনে পড়েছে উপজেলার জয়চণ্ডী, ব্রাহ্মণবাজার, কাদিপুর (মনসুর এলাকা) ও হাজীপুর ইউনিয়ন। গ্রিন জোনে পড়েছে উপজেলার ভূকশিমইল, ভাটেরা, কুলাউড়া সদর, রাউৎগাঁও, টিলাগাঁও, কর্মধা, পৃথিমপাশা ও শরীফপুর ইউনিয়ন।এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, করোনা পরিস্থিতিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
জরুরী প্রয়োজনে লোকজনদের সেবা দিতে হটলাইন সার্বক্ষণিক চালু থাকবে। প্রয়োজনে রেডজোনে আওতাভুক্ত দরিদ্র লোকদের খাদ্য ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে, তিনি আরো বলেন, প্রতিটি এলাকায় রেড জোন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের সাথে পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করবেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় তিন এলাকা লকডাউন

আপডেটের সময় : ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০

 

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের দেশের ন্যায় সিলেটে বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ঝুঁকিপুর্ন বিভিন্ন এলাকাকে রেড, ইয়োলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করা হয়েছে।
তার ধারাবাহিকতায় কুলাউড়া পৌরসভাসহ ২টি ইউনিয়নের তিনটি এলাকাতে রেড জোন ঘোষণার করার পর লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

গতকাল বিকেল ৪টা থেকে উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের নন্দনগর গ্রাম, পৌরসভার মাগুরা আবাসিক এলাকা এবং শহরের পাশ্ববর্তী কাদিপুর ইউনিয়নের মনসুর আংশিক এলাকায় বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেড জোন এলাকা চিহ্নিত করে লকডাউন কার্যকর করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরী।
এ জোনের আওতায় কোন বাসিন্দা কেউ বাইরে যেতে বা বাইরে থেকে কেউ এ জোনের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না। এ জোনের দোকানপাট, বিপণিবিতান, সরকারি-বেসরকারি কার্যালয় সব বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া কৃষি পণ্যেবাহী যানবাহন, জরুরী সেবা ব্যতিত সর্বসাধারণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
লকডাউন কার্যকরের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল হক, কুলাউড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. ইয়ারদৌস হাসান, ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী, কাউন্সিলর তানভীর আহমদ শাওন প্রমুখ।

এদিকে কুলাউড়ায় ইয়োলো জোনে পড়েছে উপজেলার জয়চণ্ডী, ব্রাহ্মণবাজার, কাদিপুর (মনসুর এলাকা) ও হাজীপুর ইউনিয়ন। গ্রিন জোনে পড়েছে উপজেলার ভূকশিমইল, ভাটেরা, কুলাউড়া সদর, রাউৎগাঁও, টিলাগাঁও, কর্মধা, পৃথিমপাশা ও শরীফপুর ইউনিয়ন।এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, করোনা পরিস্থিতিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
জরুরী প্রয়োজনে লোকজনদের সেবা দিতে হটলাইন সার্বক্ষণিক চালু থাকবে। প্রয়োজনে রেডজোনে আওতাভুক্ত দরিদ্র লোকদের খাদ্য ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে, তিনি আরো বলেন, প্রতিটি এলাকায় রেড জোন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের সাথে পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করবেন।