ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা ২০০০ টাকা বাড়ছে

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০১:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০১৯
  • / ৫৯৭ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ আগামী অর্থবছরের (২০১৯-২০) বাজেটে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সুখবর থাকছে। তাঁদের মাসিক সম্মানী ভাতা দুই হাজার টাকা বাড়ানো হচ্ছে। এই সম্মানী ভাতা ছাড়াও দেশের এ বীর সন্তানরা অন্য যেসব সুবিধা ভোগ করেন তা বহাল রাখা হচ্ছে আসছে বাজেটে। এতে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, দেশে প্রায় দুই লাখ মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। তাঁরা মাসিক সম্মানী ভাতা হিসেবে নগদ ১০ হাজার টাকা করে পান। মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সংগঠন মাসিক এ সম্মানী ভাতা ৩৫ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়ে আসছে। সর্বশেষ গত রবিবার ‘জাতীয় সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন’ নামের একটি সংগঠন এ দাবি জানিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে।

আগামী বাজেটে মাসিক সম্মানী ভাতা দুই হাজার টাকা বাড়িয়ে ১২ হাজার টাকা করা হচ্ছে। এর বাইরে মুক্তিযোদ্ধারা বর্তমানে দুই ঈদে সমপরিমাণ দুটি উৎসব ভাতা, বিজয় দিবস ভাতা ও নববর্ষ ভাতা ভোগ করছেন। এসব সুবিধা আগের মতোই অব্যাহত থাকছে। মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিবছর বিজয় দিবস ভাতা বাবদ এককালীন পাঁচ হাজার টাকা পাচ্ছেন। এতে সরকারের বরাদ্দ রয়েছে ৬৫ কোটি টাকা। আর নববর্ষ ভাতা পাচ্ছেন দুই হাজার টাকা করে। এ জন্য সরকারের বরাদ্দ রয়েছে ৪০ কোটি টাকা। আর দুই ঈদে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দুটি উৎসব ভাতার জন্য সরকারের বরাদ্দ আছে ৪০০ কোটি টাকা। এসব সুবিধাসহ দুই হাজার টাকা ভাতা বাড়ানোর ফলে আগামী অর্থবছরের নতুন বাজেটে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে ৪৮০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তিন হাজার ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। সে হিসাবে বরাদ্দের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে চার হাজার ২৮০ কোটি টাকা।

এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা দেশের সূর্য সন্তান। প্রতি অর্থবছরই তাঁদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য আমরা চেষ্টা করি। তাঁদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য বিশেষ দিকনির্দেশনা রয়েছে।’ তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তাই আগামী অর্থবছরে ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। ভবিষ্যতেও মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত থাকবে।

পোস্ট শেয়ার করুন

মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা ২০০০ টাকা বাড়ছে

আপডেটের সময় : ০১:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ আগামী অর্থবছরের (২০১৯-২০) বাজেটে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সুখবর থাকছে। তাঁদের মাসিক সম্মানী ভাতা দুই হাজার টাকা বাড়ানো হচ্ছে। এই সম্মানী ভাতা ছাড়াও দেশের এ বীর সন্তানরা অন্য যেসব সুবিধা ভোগ করেন তা বহাল রাখা হচ্ছে আসছে বাজেটে। এতে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, দেশে প্রায় দুই লাখ মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। তাঁরা মাসিক সম্মানী ভাতা হিসেবে নগদ ১০ হাজার টাকা করে পান। মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সংগঠন মাসিক এ সম্মানী ভাতা ৩৫ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়ে আসছে। সর্বশেষ গত রবিবার ‘জাতীয় সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন’ নামের একটি সংগঠন এ দাবি জানিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে।

আগামী বাজেটে মাসিক সম্মানী ভাতা দুই হাজার টাকা বাড়িয়ে ১২ হাজার টাকা করা হচ্ছে। এর বাইরে মুক্তিযোদ্ধারা বর্তমানে দুই ঈদে সমপরিমাণ দুটি উৎসব ভাতা, বিজয় দিবস ভাতা ও নববর্ষ ভাতা ভোগ করছেন। এসব সুবিধা আগের মতোই অব্যাহত থাকছে। মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিবছর বিজয় দিবস ভাতা বাবদ এককালীন পাঁচ হাজার টাকা পাচ্ছেন। এতে সরকারের বরাদ্দ রয়েছে ৬৫ কোটি টাকা। আর নববর্ষ ভাতা পাচ্ছেন দুই হাজার টাকা করে। এ জন্য সরকারের বরাদ্দ রয়েছে ৪০ কোটি টাকা। আর দুই ঈদে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দুটি উৎসব ভাতার জন্য সরকারের বরাদ্দ আছে ৪০০ কোটি টাকা। এসব সুবিধাসহ দুই হাজার টাকা ভাতা বাড়ানোর ফলে আগামী অর্থবছরের নতুন বাজেটে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে ৪৮০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তিন হাজার ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। সে হিসাবে বরাদ্দের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে চার হাজার ২৮০ কোটি টাকা।

এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা দেশের সূর্য সন্তান। প্রতি অর্থবছরই তাঁদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য আমরা চেষ্টা করি। তাঁদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য বিশেষ দিকনির্দেশনা রয়েছে।’ তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তাই আগামী অর্থবছরে ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। ভবিষ্যতেও মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত থাকবে।