মানুষের দুর্যোগের মুহুরত্বে পাশে দাড়ানোইতো মনুষ্যত্ব-মিটু
- আপডেটের সময় : ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০২০
- / ১১১২ টাইম ভিউ
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া ও জুড়ী (অ:দা) উপজেলার সহকারি উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সৈয়দ আপেল মাহমুদ মিটু পেশায় একজন সরকারি কর্মকর্তা হলেও জীবনের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে মানুষকে মহামারি ভাইরাস থেকে নিরাপদে ও অসেচতন মানুষদের বাসা-বাড়ি মুখি করার জন্য কোভিড-১৯ নামক করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন। সৈয়দ আপেল মাহমুদ ফরিদপুর জেলার সালতা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রংরায়ের কান্দী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ও অব: প্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ আবুল হোসেন এবং স্থানীয় সাবেক জনপ্রতিনিধি হোসনা বেগমের এর ৪ ছেলে মেয়ের মধ্যে বড় সন্তান। এই মহামারী দুর্যোগ এর শুরু থেকেই তিনি নিজ উদ্যোগে দেশরত্ন মমতাময়ী বার বারের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী এবং মহামারি করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে যেন আর একটি মানুষেরও প্রাণহানি না হয় সে জন্য এই সাধারণ ছোটির দিনেও স্ত্রী সন্তানদের কথা চিন্তা না করে একজন মুক্তিযোদ্ধা পিতার সন্তান হিসাবে দেশ ও দশের কথা মাথায় রেখে সম্পূর্ণ নিজ ইচ্ছায় সাধারণ মানুষকে এই ভয়াবহ ভাইরাসের সংক্রামণ থেকে রক্ষার জন্য একান্ত নিজের ব্যাক্তিগত অর্থ খরছ করে স্যানিটাইজার সামগ্রী, হ্যন্ডগ্লাবস, মাক্স, দুঃস্থ অসহায় মানুষকে আর্থিক ভাবে সহায়তা সহ কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে রাত নাই দিন নাই একা একি কখনো পায়ে হেঠে কখনো মোটরসাইকেলে নিজের জীবনের মায়া উপেক্ষা করে ছুটে চলছেন আক্রান্ত ব্যাক্তিদের সুচিকিৎসার খোজ খবর নিতে। সৈয়দ আপেল মাহমুদ মিটুকে এ ব্যপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন মানুষের দুর্যোগের মুহুরত্বে পাশে দাড়ানোইতো মনুষ্যত্ব, তাছাড়া আমার বাবা এই দেশ স্বাধীন করার জন্য ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ট্রেনিং শেষ করে হাতে তুলে নিয়েছিলেন অস্ত্র, দেশ আজ স্বাধীন, আমরা পেয়েছি আমাদের ভাষা বাংলা ভাষা। আমিতো সেই বাবারি সন্তান, তাই আবেগ নয় বিবেকের তাড়নায় আমি এ কাজ করছি। মৃত্যু তো একদিন হবেই তাই হাত গুঠিয়ে ভসে না থেকে আত্ন মানবতার সেবায় নিজেকে আমি বিলিয়ে দিতে চাই। সৈয়দ আপেল মাহমুদ মিটু যেহেতু যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে কাজ করেন সেহেতু তিনি তার কর্ম এলাকার প্রত্যেকটি আত্নকর্মী যুব ও যুব মহিলাদের বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প সমুহের সব রকম খোজ খবর নিচ্ছেন। আত্মকর্মীদের মধ্যে কারো কোনো সমস্যা হলেই ছুটে যাচ্ছেন তাদের পাশে। অত্যান্ত সদালাপী, পরোপকারী এই মানুষটি রমজানের জন্য প্রায় ৩০/৪০ টি পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী এবং প্রায় ২০টি পরিবারের মধ্যে ঈদ সামগ্রী রাতের অন্ধকারে বিতরন করেছেন। মিটু আরেক প্রশ্নের উত্তরে বলেন যতদিন এই করোনা মহামারি থাকবে ততদিন পর্যন্ত যদি আল্লাহর রহমতে আমি বেচে থাকি তাহলে আমি আমার সাধ্যমত মানুষের সেবা করে যাবো ইনশাল্লাহ।