ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

মহাজোট ছাড়া জাপা প্রার্থীদের সরার নির্দেশ এরশাদের

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : ০৮:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / ১২৮৪ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক:  এবারের নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থীদের বিজয়ী করতে দলের নেতাকর্মীদের একযোগে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ লক্ষ্যে মহাজোট মনোনীত প্রার্থীর বাইরে দলের অন্য প্রার্থীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থিতা থেকে তিনি নিজেও সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তবে জাপা প্রার্থীদের এখন আর আনুষ্ঠানিকভাবে সরে যাওয়ার সুযোগ নেই। ব্যালটে তাদের প্রতীক থাকবে।

বৃহস্পতিবার বিকালে বারিধারায় নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ এই নির্দেশ দেন। তফসিল ঘোষণার পর সিঙ্গাপুরে চলে যান এরশাদ। নানা নাটকীয়তা শেষে ১৬ দিন পর বুধবার রাতে দেশে ফেরেন তিনি।

বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা-১৭ আসনে মহাজোটের প্রার্থী আকবর হোসেন পাঠান ফারুক তার কাছে দোয়া নিতে যান। এসময় এরশাদ দোয়া করে তাকে সমর্থন দেন। এরপর সংবাদ সম্মেলনে সারাদেশের মহাজোটের প্রার্থীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

এবারের নির্বাচনে মহাজোট থেকে ২৯টি আসন পেয়েছে জাতীয় পার্টি। এর বাইরে আলাদাভাবে আরও ১৪০টি আসনে উন্মুক্ত প্রার্থী রাখার কথা জানায় দলটি। দলটির পক্ষ  থেকে বলা হয়েছিল-নৌকা নয়, ধানের শীষ ঠেকাতেই এই প্রার্থী দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ বলেন, ‘আমার শরীরটা ভালো না। আমার বোন শেখ হাসিনার জন্যই দেশে ফিরে এসেছি। আমি ঢাকা-১৭ আসনটি ছেড়ে দিয়েছি। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চিত্রনায়ক ফরুককে সমর্থন দিয়েছি।’

এরশাদ বলেন, ‘মহাজোট মনোনীত যেসব প্রার্থী আছে, তারা ছাড়া অন্যদের সরে যেতে হবে। মহাজোটকে বিজয়ী করার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’

মহাজোট সরকারকে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে মহাজোটই জিতবে। কারণ বিএনপির অতীত ইতিহাস ভালো না। জনগণ এই সরকারের পক্ষে আছে। ভোটের যে পরিবেশ বজায় রয়েছে তাতে আমরা খুশি। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এরশাদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার কবি মানুষ। এ কারণে তিনি উল্টোপাল্টা বকছেন। লেভেল  প্লেয়িং’ কী জিনিস? যারা লেভেল প্লেয়িং নিয়ে কথা বলছে তারা কি আদৌও এর অর্থ জানে?’
নিজের নির্বাচনী আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে এরশাদ বলেন, ‘এতদিন আমি রংপুরে যেতে পারিনি। তবে রংপুরে যাব। রংপুরের মানুষ আমার জন্য অপেক্ষা করছে। আশা করি রংপুরবাসী এবার এই আসনটি মহাজোটকে উপহার  দেবে।’

পোস্ট শেয়ার করুন

মহাজোট ছাড়া জাপা প্রার্থীদের সরার নির্দেশ এরশাদের

আপডেটের সময় : ০৮:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক:  এবারের নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থীদের বিজয়ী করতে দলের নেতাকর্মীদের একযোগে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ লক্ষ্যে মহাজোট মনোনীত প্রার্থীর বাইরে দলের অন্য প্রার্থীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থিতা থেকে তিনি নিজেও সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তবে জাপা প্রার্থীদের এখন আর আনুষ্ঠানিকভাবে সরে যাওয়ার সুযোগ নেই। ব্যালটে তাদের প্রতীক থাকবে।

বৃহস্পতিবার বিকালে বারিধারায় নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ এই নির্দেশ দেন। তফসিল ঘোষণার পর সিঙ্গাপুরে চলে যান এরশাদ। নানা নাটকীয়তা শেষে ১৬ দিন পর বুধবার রাতে দেশে ফেরেন তিনি।

বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা-১৭ আসনে মহাজোটের প্রার্থী আকবর হোসেন পাঠান ফারুক তার কাছে দোয়া নিতে যান। এসময় এরশাদ দোয়া করে তাকে সমর্থন দেন। এরপর সংবাদ সম্মেলনে সারাদেশের মহাজোটের প্রার্থীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

এবারের নির্বাচনে মহাজোট থেকে ২৯টি আসন পেয়েছে জাতীয় পার্টি। এর বাইরে আলাদাভাবে আরও ১৪০টি আসনে উন্মুক্ত প্রার্থী রাখার কথা জানায় দলটি। দলটির পক্ষ  থেকে বলা হয়েছিল-নৌকা নয়, ধানের শীষ ঠেকাতেই এই প্রার্থী দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ বলেন, ‘আমার শরীরটা ভালো না। আমার বোন শেখ হাসিনার জন্যই দেশে ফিরে এসেছি। আমি ঢাকা-১৭ আসনটি ছেড়ে দিয়েছি। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চিত্রনায়ক ফরুককে সমর্থন দিয়েছি।’

এরশাদ বলেন, ‘মহাজোট মনোনীত যেসব প্রার্থী আছে, তারা ছাড়া অন্যদের সরে যেতে হবে। মহাজোটকে বিজয়ী করার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’

মহাজোট সরকারকে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে মহাজোটই জিতবে। কারণ বিএনপির অতীত ইতিহাস ভালো না। জনগণ এই সরকারের পক্ষে আছে। ভোটের যে পরিবেশ বজায় রয়েছে তাতে আমরা খুশি। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এরশাদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার কবি মানুষ। এ কারণে তিনি উল্টোপাল্টা বকছেন। লেভেল  প্লেয়িং’ কী জিনিস? যারা লেভেল প্লেয়িং নিয়ে কথা বলছে তারা কি আদৌও এর অর্থ জানে?’
নিজের নির্বাচনী আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে এরশাদ বলেন, ‘এতদিন আমি রংপুরে যেতে পারিনি। তবে রংপুরে যাব। রংপুরের মানুষ আমার জন্য অপেক্ষা করছে। আশা করি রংপুরবাসী এবার এই আসনটি মহাজোটকে উপহার  দেবে।’