ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
গ্রিন সিলেট ট্রাভেলসের আয়োজনে বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস/কনসুলেট চেয়ে খোলা চিঠি স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা

মসজিদের সিঁড়িতেই মনিরকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন অধ্যক্ষ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০১৯
  • / ৯৫৪ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ১০ এপ্রিল- রাজধানীর ডেমরায় মাদ্রাসাছাত্র মনির হোসেন (৮) অপহরণের পর হত্যায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে মনিরের মাদ্রাসা নূরে মদিনার অধ্যক্ষও রয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- অধ্যক্ষ আবদুল জলিল হাদী ওরফে হাদিউজ্জামান, দুই শিক্ষার্থী আকরাম হোসেন ও আহমদ শফী ওরফে তোহা।

গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, অপহরণের পর মনিরকে মসজিদের সিঁড়িতেই শ্বাসরোধে হত্যা করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুল জলিল হাদী। এ সময় তার সঙ্গে আকরাম হোসেন ও আহাম্মদ শফি ওরফে তোহা ছিলেন।

এর পর মনিরের লাশ বস্তায় ভরে সিঁড়ির পাশে রেখে দেন তারা। শুধু তাই নয়, মনিরকে হত্যার পর তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণও দাবি করেন খুনিরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) ওয়ারী বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. ফরিদ উদ্দিন বুধবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলেনে এসব কথা জানান।

ফরিদ উদ্দিন জানান, গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি পাতলা তোয়ালে, দুটি সিমেন্টের বস্তা, দুটি কালো রঙের দড়ি, সিমসহ একটি মোবাইল সেট, লাশের পরনে থাকা গ্যাভাডিংয়ের ফুলপ্যান্ট ও পাঞ্জাবি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারের বর্ণনা দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পরিবারের অভিযোগ পাওয়ার পর প্রথমে আবদুল জলিল হাদী ও আহাম্মদ সফি ওরফে তোহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। পরে গতকাল মঙ্গলবার তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এর পর তাদের দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বংশালের মালিটোলা এলাকা থেকে অপর অভিযুক্ত মো. আকরামকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রসঙ্গত ৭ এপ্রিল নূরে মদিনা মাদ্রাসার শিশু শ্রেণির ছাত্র মনির হোসেন মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হয়। ৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মসজিদ থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়। পর দিন মনিরের বাবা সাইদুল হক তিনজনকে আসামি করে ডেমরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

মসজিদের সিঁড়িতেই মনিরকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন অধ্যক্ষ

আপডেটের সময় : ০২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ১০ এপ্রিল- রাজধানীর ডেমরায় মাদ্রাসাছাত্র মনির হোসেন (৮) অপহরণের পর হত্যায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে মনিরের মাদ্রাসা নূরে মদিনার অধ্যক্ষও রয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- অধ্যক্ষ আবদুল জলিল হাদী ওরফে হাদিউজ্জামান, দুই শিক্ষার্থী আকরাম হোসেন ও আহমদ শফী ওরফে তোহা।

গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, অপহরণের পর মনিরকে মসজিদের সিঁড়িতেই শ্বাসরোধে হত্যা করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুল জলিল হাদী। এ সময় তার সঙ্গে আকরাম হোসেন ও আহাম্মদ শফি ওরফে তোহা ছিলেন।

এর পর মনিরের লাশ বস্তায় ভরে সিঁড়ির পাশে রেখে দেন তারা। শুধু তাই নয়, মনিরকে হত্যার পর তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণও দাবি করেন খুনিরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) ওয়ারী বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. ফরিদ উদ্দিন বুধবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলেনে এসব কথা জানান।

ফরিদ উদ্দিন জানান, গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি পাতলা তোয়ালে, দুটি সিমেন্টের বস্তা, দুটি কালো রঙের দড়ি, সিমসহ একটি মোবাইল সেট, লাশের পরনে থাকা গ্যাভাডিংয়ের ফুলপ্যান্ট ও পাঞ্জাবি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারের বর্ণনা দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পরিবারের অভিযোগ পাওয়ার পর প্রথমে আবদুল জলিল হাদী ও আহাম্মদ সফি ওরফে তোহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। পরে গতকাল মঙ্গলবার তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এর পর তাদের দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বংশালের মালিটোলা এলাকা থেকে অপর অভিযুক্ত মো. আকরামকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রসঙ্গত ৭ এপ্রিল নূরে মদিনা মাদ্রাসার শিশু শ্রেণির ছাত্র মনির হোসেন মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হয়। ৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মসজিদ থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়। পর দিন মনিরের বাবা সাইদুল হক তিনজনকে আসামি করে ডেমরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।