ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

মসজিদের সিঁড়িতেই মনিরকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন অধ্যক্ষ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০১৯
  • / ১০০৩ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ১০ এপ্রিল- রাজধানীর ডেমরায় মাদ্রাসাছাত্র মনির হোসেন (৮) অপহরণের পর হত্যায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে মনিরের মাদ্রাসা নূরে মদিনার অধ্যক্ষও রয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- অধ্যক্ষ আবদুল জলিল হাদী ওরফে হাদিউজ্জামান, দুই শিক্ষার্থী আকরাম হোসেন ও আহমদ শফী ওরফে তোহা।

গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, অপহরণের পর মনিরকে মসজিদের সিঁড়িতেই শ্বাসরোধে হত্যা করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুল জলিল হাদী। এ সময় তার সঙ্গে আকরাম হোসেন ও আহাম্মদ শফি ওরফে তোহা ছিলেন।

এর পর মনিরের লাশ বস্তায় ভরে সিঁড়ির পাশে রেখে দেন তারা। শুধু তাই নয়, মনিরকে হত্যার পর তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণও দাবি করেন খুনিরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) ওয়ারী বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. ফরিদ উদ্দিন বুধবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলেনে এসব কথা জানান।

ফরিদ উদ্দিন জানান, গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি পাতলা তোয়ালে, দুটি সিমেন্টের বস্তা, দুটি কালো রঙের দড়ি, সিমসহ একটি মোবাইল সেট, লাশের পরনে থাকা গ্যাভাডিংয়ের ফুলপ্যান্ট ও পাঞ্জাবি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারের বর্ণনা দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পরিবারের অভিযোগ পাওয়ার পর প্রথমে আবদুল জলিল হাদী ও আহাম্মদ সফি ওরফে তোহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। পরে গতকাল মঙ্গলবার তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এর পর তাদের দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বংশালের মালিটোলা এলাকা থেকে অপর অভিযুক্ত মো. আকরামকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রসঙ্গত ৭ এপ্রিল নূরে মদিনা মাদ্রাসার শিশু শ্রেণির ছাত্র মনির হোসেন মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হয়। ৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মসজিদ থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়। পর দিন মনিরের বাবা সাইদুল হক তিনজনকে আসামি করে ডেমরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

মসজিদের সিঁড়িতেই মনিরকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন অধ্যক্ষ

আপডেটের সময় : ০২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ১০ এপ্রিল- রাজধানীর ডেমরায় মাদ্রাসাছাত্র মনির হোসেন (৮) অপহরণের পর হত্যায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে মনিরের মাদ্রাসা নূরে মদিনার অধ্যক্ষও রয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- অধ্যক্ষ আবদুল জলিল হাদী ওরফে হাদিউজ্জামান, দুই শিক্ষার্থী আকরাম হোসেন ও আহমদ শফী ওরফে তোহা।

গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, অপহরণের পর মনিরকে মসজিদের সিঁড়িতেই শ্বাসরোধে হত্যা করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুল জলিল হাদী। এ সময় তার সঙ্গে আকরাম হোসেন ও আহাম্মদ শফি ওরফে তোহা ছিলেন।

এর পর মনিরের লাশ বস্তায় ভরে সিঁড়ির পাশে রেখে দেন তারা। শুধু তাই নয়, মনিরকে হত্যার পর তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণও দাবি করেন খুনিরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) ওয়ারী বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. ফরিদ উদ্দিন বুধবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলেনে এসব কথা জানান।

ফরিদ উদ্দিন জানান, গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি পাতলা তোয়ালে, দুটি সিমেন্টের বস্তা, দুটি কালো রঙের দড়ি, সিমসহ একটি মোবাইল সেট, লাশের পরনে থাকা গ্যাভাডিংয়ের ফুলপ্যান্ট ও পাঞ্জাবি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারের বর্ণনা দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পরিবারের অভিযোগ পাওয়ার পর প্রথমে আবদুল জলিল হাদী ও আহাম্মদ সফি ওরফে তোহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। পরে গতকাল মঙ্গলবার তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এর পর তাদের দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বংশালের মালিটোলা এলাকা থেকে অপর অভিযুক্ত মো. আকরামকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রসঙ্গত ৭ এপ্রিল নূরে মদিনা মাদ্রাসার শিশু শ্রেণির ছাত্র মনির হোসেন মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হয়। ৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মসজিদ থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়। পর দিন মনিরের বাবা সাইদুল হক তিনজনকে আসামি করে ডেমরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।