ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
পর্তুগালে মানবিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন “সদিচ্ছা ফাউন্ডেশন” এর লোগো সম্বলিত টি শার্ট উন্মোচন যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে

মরদেহ পোড়ানোর ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে উহানের আকাশ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৯:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / ৭৭৩ টাইম ভিউ

দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। উহানে মহামারী আকার ধারণ করেছে এই করোনাভাইরাস। এমনকি করোনাভাইরাসের দাপটে উহানসহ বহু শহর অবরুদ্ধ করে দিয়েছে চীন। এমন পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। খবর ডেইলি মেইলের।

তার তাতেই বিপাকে পড়েছেন শ্মশানকর্মীরা। রীতিমতো ২৪ ঘণ্টাই এখন মরদেহ পোড়াতে হচ্ছে তাদের। আবার সংক্রমণের ভয়ে খুবই সতর্কভাবে এই কাজ করতে হচ্ছে তাদের। ফলে প্রিয়জনের মুখও দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না তারা।

চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন গত ১ ফেব্রুয়ারি জানায়, করোনাভাইরাসে যারা মারা যাচ্ছে তাদের মরদেহ অবশ্যই পুড়িয়ে ফেলতে হবে। এ কারণে দিনরাত কাজ করতে হচ্ছে শ্মশানকর্মীদের। বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িঘর থেকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৃতদেহ সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে পোড়াচ্ছেন তারা।

ইউন নামে উহানের এক শ্মশানকর্মী বলেন, তারা প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০টি মরদেহ পোড়াচ্ছেন। গত ২৮ জানুয়ারি থেকে তিনি ও তার প্রায় সব সহকর্মীই প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা করে কাজ করছেন। এমনকি বিশ্রাম নেয়ার জন্য বাড়িও ফিরতে পারছেন না কেউ কেউ। তাই তাদের আরও লোকবল প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে সংক্রমণ এড়াতে শ্মশানকর্মীদের ভাইরাস প্রতিরোধী বিশেষ ধরনের পোশাক দেয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে দেখা দিয়েছে অন্যরকম এক সমস্যা। কেননা খেতে হলে বা বাথরুমে যেতে হলে খুলতে হয় এই পোশাক। আবার একবারের বেশি ব্যবহারও করা যায়নি এটা।

উল্লেখ্য, চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৬৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৪৭৮ জনে।

পোস্ট শেয়ার করুন

মরদেহ পোড়ানোর ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে উহানের আকাশ

আপডেটের সময় : ০৯:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০

দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। উহানে মহামারী আকার ধারণ করেছে এই করোনাভাইরাস। এমনকি করোনাভাইরাসের দাপটে উহানসহ বহু শহর অবরুদ্ধ করে দিয়েছে চীন। এমন পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। খবর ডেইলি মেইলের।

তার তাতেই বিপাকে পড়েছেন শ্মশানকর্মীরা। রীতিমতো ২৪ ঘণ্টাই এখন মরদেহ পোড়াতে হচ্ছে তাদের। আবার সংক্রমণের ভয়ে খুবই সতর্কভাবে এই কাজ করতে হচ্ছে তাদের। ফলে প্রিয়জনের মুখও দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না তারা।

চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন গত ১ ফেব্রুয়ারি জানায়, করোনাভাইরাসে যারা মারা যাচ্ছে তাদের মরদেহ অবশ্যই পুড়িয়ে ফেলতে হবে। এ কারণে দিনরাত কাজ করতে হচ্ছে শ্মশানকর্মীদের। বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িঘর থেকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৃতদেহ সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে পোড়াচ্ছেন তারা।

ইউন নামে উহানের এক শ্মশানকর্মী বলেন, তারা প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০টি মরদেহ পোড়াচ্ছেন। গত ২৮ জানুয়ারি থেকে তিনি ও তার প্রায় সব সহকর্মীই প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা করে কাজ করছেন। এমনকি বিশ্রাম নেয়ার জন্য বাড়িও ফিরতে পারছেন না কেউ কেউ। তাই তাদের আরও লোকবল প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে সংক্রমণ এড়াতে শ্মশানকর্মীদের ভাইরাস প্রতিরোধী বিশেষ ধরনের পোশাক দেয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে দেখা দিয়েছে অন্যরকম এক সমস্যা। কেননা খেতে হলে বা বাথরুমে যেতে হলে খুলতে হয় এই পোশাক। আবার একবারের বেশি ব্যবহারও করা যায়নি এটা।

উল্লেখ্য, চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৬৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৪৭৮ জনে।