আপডেট

x


ভারতকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান

রবিবার, ১৮ জুন ২০১৭ | ১০:৪১ অপরাহ্ণ | 1212 বার

ভারতকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হিসাবের মধ্যে ধরতে নেই। আর পাকিস্তানকে এর বাইরে রাখতে নেই। সব হিসাব বদলে দিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতলো পাকিস্তান। স্বপ্নের ফাইনালে ফেবারিট ভারতকে উড়িয়ে দিয়েছে সরফরাজ বাহিনী। কোহলি বাহিনীকে ১৮০ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এ শিরোপা ঘরে তুললো তারা।  পাকিস্তানের দেয়া বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলটির বোলিং তোপে পড়ে ভারত। পাকিস্তানকে স্বপ্নের শুরু এনে দেন মোহাম্মদ আমির। দলীয় ৩৩ রানের মধ্যে একাই ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ভারতকে কাঁপিয়ে দেন তিনি। এ রানের মধ্যে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও শিখর ধাওয়ানকে ফিরিয়ে ভারতীয় শিবিরে ত্রাস সৃষ্টি করেন এ বাঁহাতি পেসার।

এর ধকল কাটিয়ে না উঠতেই লেগ স্পিনার শাদাব খানের গুগলির ফাঁদে পড়ে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে ফেরেন ড্যাশিং ব্যাটসম্যান যুবরাজ সিং। এতে চাপে পড়ে ভারত। এ চাপের মধ্যে ধোনিকে আজহারের ক্যাচ বানিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখেন পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত বল করা হাসান আলি। এ চাপের মধ্যে কেদার জাদভকে সরফরাজের তালুবন্দি করে কোহলি বাহিনীর টুঁটি চেপে ধরেন শাদাব।এরপর রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন হার্দিক পান্ডে। তাকে সঙ্গ দেয়ার চেষ্টা করেন জাদেজা। তার সমর্থন পেয়ে পাকিস্তানের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালাতে থাকেন পান্ডে। হাঁকাতে থাকেন একের পর এক চার, ছক্কা। এতে দিশেহারা হয়ে পড়ে দলটির বোলাররা। তবে দলীয় ১৫২ রানে খেই হারিয়ে ফেলেন তিনি। এ সময় রানআউট হয়ে ফেরেন এ অলরাউন্ডার। ফেরার আগে করেন ৪৩ বলে ৪ চার ও ৬ ছক্কায় ৭৬ রান।পান্ডে ফিরলে জয়টা সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় পাকিস্তানের। তাদের বোলারদের আগুন ঝরানো বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ভারতের টেলএন্ডাররা। শেষ পর্যন্ত ১৫৮ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় কোহলি বাহিনী।ইতিহাস গড়ার দিনে পাকিস্তানের সেরা বোলার মোহাম্মদ আমির। ৬ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ভারতীয় শিবিরে হিংস্র থাবা হানেন তিনি। পরে তার পথ অনুসরণ করেন শাদাব খান, জুনায়েদ খান ও হাসান আলি। হাসান নেন ৩ উইকেট। জুনায়েদ খান ২ উইকেট ও শাদাব খান ১ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন।



এর আগে লন্ডনের কেনিংটন ওভালে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। ম্যাচের গোড়াপত্তন করতে নেমে স্বপ্নের শুরু এনে দেন আজহার আলি ও ফখর জমান। ভারতের শক্তিশালী বোলিং লাইনআপকে তুলোধোনা করে গড়েন ১২৮ রানের জুটি। দলীয় এ রানে ভুল বোঝাবুঝির ফলে রানআউটের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি আজহার (৫৯)।আজহার ফিরলে বাবরকে নিয়ে দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকেন ফখর। সব চোখ ধাঁধানো শটে দলের রান বাড়িয়ে চলেন তিনি। যার পথ পরিক্রমায় তুলে নেন ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি। অবশ্য সেঞ্চুরি করে ক্রিজে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। দলীয় ২০০ রানে হার্দিক পান্ডেকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে রবীন্দ্র জাদেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ১০৬ বলে ১২ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৪ রানে অসাধারণ ইনিংস খেলেন তিনি।ফখরের বিদায়ের পর শোয়েব মালিককে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন বাবর। তবে সেই যাত্রায় থেমে যান শোয়েব মালিক (১২)। দলীয় ২৪৭ রানে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে জাদভের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এ অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।এরপর ক্রিজে আসা আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজকে নিয়ে দলকে বড় স্কোরের পথে পৌঁছে দেয়ার জন্য লড়ে যান বাবর। এবার থেমে যান এ টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান নিজেই। দলীয় ২৬৭ রানে ফিফটি থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থাকতে জাদভের বলে যুবরাজ সিংয়ের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন তিনি।বাবরের পর ক্রিজে আসেন ইমাদ ওয়াসিম। তাকে নিয়ে স্বপ্নের স্কোর গড়ার পথে এগিয়ে যান হাফিজ। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ইমাদও। শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে দু’জনই হাঁকাতে থাকেন একের পর এক চার-ছক্কা। শেষ পর্যন্ত তাদের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ৪ উইকেটেই ৩৩৮ রান তোলে পাকিস্তান। হাফিজ ৫৭ ও ইমাদ ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন।ভারতের হয়ে ভুবনেশ্বর কুমার, হার্দিক পান্ডে ও কেদার জাদভ নেন ১টি করে উইকেট।

মন্তব্য করতে পারেন...

comments


deshdiganto.com © 2019 কপিরাইট এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত

design and development by : http://webnewsdesign.com