বড়লেখা উপজেলা যুবলীগের সম্মেলনের ১ বছর পর রোববার রাতে অনুমোদিত পূর্নাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গত ৩০ এপ্রিল তাতে স্বাক্ষর (অনুমোদন) করেছেন। দীর্ঘদিন পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন না করায় পদ প্রত্যাশী নেতাকর্মীর মাঝে যখন চাপা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ্য রূপ নিচ্ছিল ঠিক তখনি রোববার রাতে ৭১ সদস্যের পুর্নাঙ্গ কমিটির কপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করায় তৃণমুলের নেতাকর্মীর মাঝে স্বস্তি ফিরলেও অনুমোদনের বিষয়টি ৭ মাস গোপন রাখায় নতুন করে রহস্যের সৃষ্ঠি হয়েছে।
সম্প্রতি বড়লেখা পৌরশহরে যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনের র্যালিতে দুইটি গ্র“পের সংঘর্ষের ঘটনার পিছনে পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন বিলম্বিত হওয়াকেই অনেকে দায়ী করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ১৩ বছর পর ২০১৬ সালের ২৯ নভেম্বর বড়লেখা উপজেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বড়লেখা পৌরশহরের আহমদ ম্যানশনের সম্মুখে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তৎকালিন জেলা যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও স্থানীয় সাংসদ শাহাব উদ্দিন প্রমুখ। রাতে পৌরসভা হলরুমে অনুষ্ঠিত কাউন্সিল অধিবেশনে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে মুহাম্মদ তাজ উদ্দিন সভাপতি ও কামাল হোসেন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
এরপর একবছর পেরিয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে কমিটি আর পূর্নাঙ্গ হয়নি। অথচ সম্মেলনের পর শীঘ্রই কমিটি পূর্নাঙ্গ করে অনুমোদন দেয়া হবে বলে প্রতিশ্র“তি দেন জেলা যুবীলগের নেতৃবৃন্দ। কিন্তু সম্মেলনের এক বছরেও কমিটি পূর্নাঙ্গ না হওয়ায় দলের পদপ্রত্যাশীরা হতাশায় ভোগেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুবলীগের তৃণমুলের কয়েকজন নেতা জানান, উপজেলা যুবলীগের কমিটি পূর্নাঙ্গ করা হলে রাজনীতির মাঠে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকতো যুবলীগ। তা না হওয়ায় সাংগঠনিক কাজে স্থবিরতা দেখা দেয়। সম্প্রতি যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর র্যালিতে দুই গ্র“পের সংঘর্ষের পিছনেও পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন বিলম্বিত হওয়া প্রধান কারণ বলে তারা মনে করেন। এর জের ধরে যুবলীগের দুই গ্র“পের চাপা বিরোধ যখন প্রকাশ্যে রূপ নিতে যাচ্ছিল ঠিক তখনই অনুমোদিত পূর্নাঙ্গ কমিটি প্রকাশকে রহস্যজনক হিসেবেও অনেকে দেখছেন।
এ ব্যাপারে বড়লেখা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুহাম্মদ তাজ উদ্দিন জানান, কাউন্সিলের পরই কমিটি পূর্নাঙ্গ করে অনুমোদনের জন্য জেলা নেতৃবৃন্দের কাছে পাঠানো হয়েছে। সমঝোতার মাধ্যমে কমিটি গঠন ও দলের ঐক্য নিশ্চিত রাখতে জেলা নেতৃবৃন্দের পরামর্শক্রমে অনুমোদন হওয়া স্বত্ত্বেও এতদিন পুর্নাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়নি।
deshdiganto.com © 2019 কপিরাইট এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত
design and development by : http://webnewsdesign.com