ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

বড়লেখায় বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন

বড়লেখা প্রতিনিধি:
  • আপডেটের সময় : ০৮:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই ২০২০
  • / ৪৫৩ টাইম ভিউ

বড়লেখায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করেছে প্রেমিকা নাজমিন বেগম (১৮)। বুধবার বিকেল ৩টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পর্যন্ত নাজমিন প্রেমিকের বাড়িতে টানা ১৯ ঘন্টা অনশন করে।

পরে প্রেমিকের পরিবারের লোকজনের মারধরে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন ও গ্রাম পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক, বিয়েতে অসম্মতি ও হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে আহত নাজমিন বেগম প্রেমিক কালন মিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

জানা গেছে, উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের মুর্শিবাদকুরা গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে কালন মিয়া পার্শ্ববর্তী খুটাউরা গ্রামের তাজ উদ্দিনের মেয়ে নাজমিন বেগমের সঙ্গে মুঠোফোন কলের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ৩১ মার্চ কালন মিয়া নাজমিনের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর মেয়েটি বিয়ের জন্য কালনকে চাপ দিলে সে আশ্বাস দেয়। একপর্যায়ে সে বিয়েতে অসম্মতি জানালে নাজমিন বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানায়। তারা বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার মুরব্বিদের জানালে তারা নিষ্পত্তির আশ্বাস দেন।

গত ১৫ মে দুই পরিবারের অভিভাবক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার লোকজন সালিস বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রেমিক কালন মিয়া ও তার বাবা-মা বিয়ে করে নাজমিনকে ঘরে তুলতে সম্মত হয়। কিন্ত বিয়ের প্রস্তুতি হিসেবে তারা ২দিন সময় চায়। এরই মধ্যে প্রভাবশালীদের ইন্ধনে কালন মিয়া ও তার পরিবার বুলি পাল্টিয়ে উল্টো নাজমিন ও তার বাবাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় ন্যায় বিচার চেয়ে ৮ জুন নাজমিন বেগম তালিমপুর ইউনিয়ন গ্রাম আদালতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ জুন তালিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকজনকে ডেকে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু কালনের পরিবার শেষ পর্যন্ত না মানায় ঘটনার সমাধান হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে নাজমিন বেগম বিয়ের দাবীতে বুধবার বিকেলে ৩টায় প্রেমিক কালন মিয়ার বাড়িতে অবস্থান নেয়।

নাজমিন বেগম জানান, ‘কালনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তার প্রেমের সর্ম্পক। সে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। বিয়ের চাপ দেয়ায় প্রথমে আশ্বাস দিলেও পরে টালবাহানা শুরু করে। গ্রাম পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও পরে বিয়েতে রাজি হয়নি। শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টিও অস্বীকার করছে। তাই বাধ্য হয়ে বিয়ের দাবীতে তার (প্রেমিক) বাড়িতে অবস্থান করেছি। এসময় তার স্বজনরা আমাকে মারধর করেছে। বাড়ি থেকে বের করে দিতে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। কিন্ত আমি বের হইনি। সে (প্রেমিক) যদি আমাকে বিয়ে না করে তবে তার বাড়িতেই আমি আত্মহত্যা করবো।’

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক জানান, এব্যাপারে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।#

পোস্ট শেয়ার করুন

বড়লেখায় বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন

আপডেটের সময় : ০৮:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই ২০২০

বড়লেখায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করেছে প্রেমিকা নাজমিন বেগম (১৮)। বুধবার বিকেল ৩টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পর্যন্ত নাজমিন প্রেমিকের বাড়িতে টানা ১৯ ঘন্টা অনশন করে।

পরে প্রেমিকের পরিবারের লোকজনের মারধরে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন ও গ্রাম পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক, বিয়েতে অসম্মতি ও হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে আহত নাজমিন বেগম প্রেমিক কালন মিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

জানা গেছে, উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের মুর্শিবাদকুরা গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে কালন মিয়া পার্শ্ববর্তী খুটাউরা গ্রামের তাজ উদ্দিনের মেয়ে নাজমিন বেগমের সঙ্গে মুঠোফোন কলের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ৩১ মার্চ কালন মিয়া নাজমিনের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর মেয়েটি বিয়ের জন্য কালনকে চাপ দিলে সে আশ্বাস দেয়। একপর্যায়ে সে বিয়েতে অসম্মতি জানালে নাজমিন বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানায়। তারা বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার মুরব্বিদের জানালে তারা নিষ্পত্তির আশ্বাস দেন।

গত ১৫ মে দুই পরিবারের অভিভাবক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার লোকজন সালিস বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রেমিক কালন মিয়া ও তার বাবা-মা বিয়ে করে নাজমিনকে ঘরে তুলতে সম্মত হয়। কিন্ত বিয়ের প্রস্তুতি হিসেবে তারা ২দিন সময় চায়। এরই মধ্যে প্রভাবশালীদের ইন্ধনে কালন মিয়া ও তার পরিবার বুলি পাল্টিয়ে উল্টো নাজমিন ও তার বাবাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় ন্যায় বিচার চেয়ে ৮ জুন নাজমিন বেগম তালিমপুর ইউনিয়ন গ্রাম আদালতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ জুন তালিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকজনকে ডেকে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু কালনের পরিবার শেষ পর্যন্ত না মানায় ঘটনার সমাধান হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে নাজমিন বেগম বিয়ের দাবীতে বুধবার বিকেলে ৩টায় প্রেমিক কালন মিয়ার বাড়িতে অবস্থান নেয়।

নাজমিন বেগম জানান, ‘কালনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তার প্রেমের সর্ম্পক। সে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। বিয়ের চাপ দেয়ায় প্রথমে আশ্বাস দিলেও পরে টালবাহানা শুরু করে। গ্রাম পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও পরে বিয়েতে রাজি হয়নি। শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টিও অস্বীকার করছে। তাই বাধ্য হয়ে বিয়ের দাবীতে তার (প্রেমিক) বাড়িতে অবস্থান করেছি। এসময় তার স্বজনরা আমাকে মারধর করেছে। বাড়ি থেকে বের করে দিতে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। কিন্ত আমি বের হইনি। সে (প্রেমিক) যদি আমাকে বিয়ে না করে তবে তার বাড়িতেই আমি আত্মহত্যা করবো।’

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক জানান, এব্যাপারে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।#