ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
গ্রিন সিলেট ট্রাভেলসের আয়োজনে বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস/কনসুলেট চেয়ে খোলা চিঠি স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা

বড়লেখায় একই রশিতে দু’জনের ঝুলন্ত মরদেহ

দেশদিগন্ত :
  • আপডেটের সময় : ০২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৭
  • / ৯৬৬ টাইম ভিউ

বড়লেখায় একই রশিতে ঝুলে দুই চা শ্রমিক তরুণ-তরুণী আত্মহত্যা করেছে। উপজেলার সীমান্তবর্তী শাহবাজপুর ইউনিয়নের পাল্লাতল চা বাগানের ১০ নম্বর চা সেকশনে একটি ছায়াবৃক্ষের সাথে রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় ১৫ অক্টোবর রোববার দুপুরে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করেছে। এরা হচ্ছে চা বাগানের শ্রমিক সুদাম ধার্মী দাসের মেয়ে হৈমন্তী ধার্মী দাস (১৮) ও মিন্টু কেলীর ছেলে আকাশ কেলী (২০)। পুলিশের ধারণা ভোরের দিকে তারা গলায় ফাঁস লেগে আত্মহত্যা করেছে। কি কারণে তারা আত্মহত্যা করেছে তা নিশ্চিত না হলেও অনেকে মনে করছেন দুইজনের মধ্যে হয়তো প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবার মেনে না নেয়ায় শেষ পর্যন্ত প্রেমিক জুটি আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ১টার দিকে এ দুই চা শ্রমিক তরুণ-তরুণী নিখোঁজ হয়। পরিবারের সদস্যরা রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের সন্ধান পায়নি। রোববার ভোরের দিকে শ্রমিকরা ঘুম থেকে ওঠে চা সেকশনে গেলে টিলায় একটি গাছের সাথে দুইজনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। পরে স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে পুলিশ দুপুর ১টার দিকে লাশ দুইটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত শেষে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা দুইজনের মধ্যে হয়তো প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবার সেটা মেনে না নেয়ায় প্রেমিক জুটি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সেলিম আহমদ খান জানান, নিহতরা চা বাগানের নিয়মিত শ্রমিক। আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশের সাথে তিনিও ঘটনাস্থলে যান। নিহত তরুণীর বাবা সুদাম ধার্মী দাস তাকে জানিয়েছেন রাত ১টা পর্যন্ত মেয়ে ঘরে ছিল। মেয়ের প্রেম-প্রণয়ের কোন ঘটনা তার জানা নেই।
বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ সহিদুর রহমান নিহতদের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, শনিবার রাতে তারা নিখোঁজ হয়। রাত ১টা থেকে ভোর ৬টার মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ দুইজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবার হয়ত তা মেনে নেয়নি। এজন্য তারা একসাথে আত্মহত্যা করেছে।

পোস্ট শেয়ার করুন

বড়লেখায় একই রশিতে দু’জনের ঝুলন্ত মরদেহ

আপডেটের সময় : ০২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৭

বড়লেখায় একই রশিতে ঝুলে দুই চা শ্রমিক তরুণ-তরুণী আত্মহত্যা করেছে। উপজেলার সীমান্তবর্তী শাহবাজপুর ইউনিয়নের পাল্লাতল চা বাগানের ১০ নম্বর চা সেকশনে একটি ছায়াবৃক্ষের সাথে রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় ১৫ অক্টোবর রোববার দুপুরে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করেছে। এরা হচ্ছে চা বাগানের শ্রমিক সুদাম ধার্মী দাসের মেয়ে হৈমন্তী ধার্মী দাস (১৮) ও মিন্টু কেলীর ছেলে আকাশ কেলী (২০)। পুলিশের ধারণা ভোরের দিকে তারা গলায় ফাঁস লেগে আত্মহত্যা করেছে। কি কারণে তারা আত্মহত্যা করেছে তা নিশ্চিত না হলেও অনেকে মনে করছেন দুইজনের মধ্যে হয়তো প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবার মেনে না নেয়ায় শেষ পর্যন্ত প্রেমিক জুটি আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ১টার দিকে এ দুই চা শ্রমিক তরুণ-তরুণী নিখোঁজ হয়। পরিবারের সদস্যরা রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের সন্ধান পায়নি। রোববার ভোরের দিকে শ্রমিকরা ঘুম থেকে ওঠে চা সেকশনে গেলে টিলায় একটি গাছের সাথে দুইজনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। পরে স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে পুলিশ দুপুর ১টার দিকে লাশ দুইটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত শেষে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা দুইজনের মধ্যে হয়তো প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবার সেটা মেনে না নেয়ায় প্রেমিক জুটি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সেলিম আহমদ খান জানান, নিহতরা চা বাগানের নিয়মিত শ্রমিক। আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশের সাথে তিনিও ঘটনাস্থলে যান। নিহত তরুণীর বাবা সুদাম ধার্মী দাস তাকে জানিয়েছেন রাত ১টা পর্যন্ত মেয়ে ঘরে ছিল। মেয়ের প্রেম-প্রণয়ের কোন ঘটনা তার জানা নেই।
বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ সহিদুর রহমান নিহতদের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, শনিবার রাতে তারা নিখোঁজ হয়। রাত ১টা থেকে ভোর ৬টার মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ দুইজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবার হয়ত তা মেনে নেয়নি। এজন্য তারা একসাথে আত্মহত্যা করেছে।