ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

বেতন ও প্রণোদনার দাবিতে আন্দোলন শুরু

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০১:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই ২০২০
  • / ৩৭০ টাইম ভিউ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে সিলেটসহ সারাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ফলে বেতন পাচ্ছেন না সিলেটের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। ফলে বেতনের ওপর নির্ভরশীল শিক্ষকরা পড়েছেন বেকায়দায়। বিশেষ করে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকরা চোখে অন্ধকার দেখছেন। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে বেতন ও সরকারি প্রণোদনার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন তারা।
জানা গেছে, সিলেট সদরে প্রায় ৩শ কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। এসব স্কুলে গড়ে ১০ থেকে ১২ জন করে মোট ৩ সহস্রাধিক শিক্ষক কর্মরত আছেন। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া টিউশন ফি থেকে তাদের বেতন দেওয়া হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ কিন্ডারগার্টেন স্কুলই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি আদায় করতে পারেনি। ফলে কয়েকমাস ধরে বেতন দেওয়া হচ্ছে না এসব স্কুলের শিক্ষকদের। স্বাভাবিক সময়ে স্কুলের বেতনের পাশাপাশি টিউশনি করে সংসার চালাতেন এসব শিক্ষক। এখন টিউশনিও বন্ধ। তাই চরম অর্থকষ্টে দিন কাটছে তাদের।
নগরের চৌকিদেখি এলাকার শাহপরাণ প্রি ক্যাডেট একাডেমির অধ্যক্ষ আশুতোষ দাস বলেন, ‘মার্চে স্কুল বন্ধ হওয়ার পর থেকে আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন আদায় করতে পারিনি। ফলে শিক্ষকদের বেতন দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে আশা করছি দ্রুতই সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান, অনেক প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন নিলেও শিক্ষকদের বেতন দেয়নি। এমনিতে স্বাভাবিক সময়েও বেতন দেওয়া হতো অনেক কম। তাই শিক্ষকদের সঞ্চয়ও নেই। তাই ধার-দেনা করেই সংসার চালাতে হচ্ছে।’ শিক্ষকরা জানান, আত্মসম্মানের কারণে ত্রাণ কিংবা কারো কাছে হাতও পাততে পারছেন না তারা। এ অবস্থা চলতে থাকলে হয়তো শিক্ষকতা ছেড়ে অন্য কোনো পেশায় যেতে হবে বলে তাদের।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন সিলেট জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা বদরুল আলম বলেন, ‘সিলেট সদরে প্রায় ৩শ কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। মার্চের পর বেশিরভাগ স্কুলের শিক্ষকই বেতন পাননি। অর্থকষ্টে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে শিক্ষকদের প্রণোদনা প্রদানের দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থাও করতে হবে।’
বেতন ও সরকারি সহযোগিতার দাবিতে শিক্ষকরা আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষকরা। আজ বুধবার (৮ জুলাই) সিলেটে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। মাওলানা বদরুল আলম বলেন, ‘বাধ্য হয়ে আমরা দেশব্যাপী আন্দোলনে নেমেছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শারমিন সুলতানা বলেন, ‘কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকদের ব্যাপারে এখনও সরকার থেকে কোনো নির্দেশনা আসেনি। তাই তাদের জন্য আপাতত আমাদের কিছু করার নেই।’

পোস্ট শেয়ার করুন

বেতন ও প্রণোদনার দাবিতে আন্দোলন শুরু

আপডেটের সময় : ০১:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই ২০২০

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে সিলেটসহ সারাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ফলে বেতন পাচ্ছেন না সিলেটের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। ফলে বেতনের ওপর নির্ভরশীল শিক্ষকরা পড়েছেন বেকায়দায়। বিশেষ করে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকরা চোখে অন্ধকার দেখছেন। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে বেতন ও সরকারি প্রণোদনার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন তারা।
জানা গেছে, সিলেট সদরে প্রায় ৩শ কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। এসব স্কুলে গড়ে ১০ থেকে ১২ জন করে মোট ৩ সহস্রাধিক শিক্ষক কর্মরত আছেন। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া টিউশন ফি থেকে তাদের বেতন দেওয়া হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ কিন্ডারগার্টেন স্কুলই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি আদায় করতে পারেনি। ফলে কয়েকমাস ধরে বেতন দেওয়া হচ্ছে না এসব স্কুলের শিক্ষকদের। স্বাভাবিক সময়ে স্কুলের বেতনের পাশাপাশি টিউশনি করে সংসার চালাতেন এসব শিক্ষক। এখন টিউশনিও বন্ধ। তাই চরম অর্থকষ্টে দিন কাটছে তাদের।
নগরের চৌকিদেখি এলাকার শাহপরাণ প্রি ক্যাডেট একাডেমির অধ্যক্ষ আশুতোষ দাস বলেন, ‘মার্চে স্কুল বন্ধ হওয়ার পর থেকে আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন আদায় করতে পারিনি। ফলে শিক্ষকদের বেতন দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে আশা করছি দ্রুতই সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান, অনেক প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন নিলেও শিক্ষকদের বেতন দেয়নি। এমনিতে স্বাভাবিক সময়েও বেতন দেওয়া হতো অনেক কম। তাই শিক্ষকদের সঞ্চয়ও নেই। তাই ধার-দেনা করেই সংসার চালাতে হচ্ছে।’ শিক্ষকরা জানান, আত্মসম্মানের কারণে ত্রাণ কিংবা কারো কাছে হাতও পাততে পারছেন না তারা। এ অবস্থা চলতে থাকলে হয়তো শিক্ষকতা ছেড়ে অন্য কোনো পেশায় যেতে হবে বলে তাদের।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন সিলেট জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা বদরুল আলম বলেন, ‘সিলেট সদরে প্রায় ৩শ কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। মার্চের পর বেশিরভাগ স্কুলের শিক্ষকই বেতন পাননি। অর্থকষ্টে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে শিক্ষকদের প্রণোদনা প্রদানের দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থাও করতে হবে।’
বেতন ও সরকারি সহযোগিতার দাবিতে শিক্ষকরা আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষকরা। আজ বুধবার (৮ জুলাই) সিলেটে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। মাওলানা বদরুল আলম বলেন, ‘বাধ্য হয়ে আমরা দেশব্যাপী আন্দোলনে নেমেছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শারমিন সুলতানা বলেন, ‘কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকদের ব্যাপারে এখনও সরকার থেকে কোনো নির্দেশনা আসেনি। তাই তাদের জন্য আপাতত আমাদের কিছু করার নেই।’