ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

বি. চৌধুরীর বাসায় বিভিন্ন দলের নেতাদের বৈঠক

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : ০১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০১৭
  • / ১১২৬ টাইম ভিউ

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে একটি তৃতীয় ধারার নতুন রাজনৈতিক জোট গঠনের উদ্দেশ্যে গতকাল বুধবার রাতে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারার সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বারিধারার বাসভবনে কয়েকটি দলের নেতারা বৈঠক করেছেন। সেখানে বৈঠকে যোগ দিয়েছেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের। বৈঠকে আগামী নির্বাচন সামনে রেখে একটি নতুন রাজনৈতিক জোট গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়। সম্ভাব্য এই জোটে জাতীয় পার্টির একটি অংশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এমনকি জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৃহত্তর ঐক্য করা যাবে কি-না তা নিয়েও আলোচনা হয়। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বি. চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যদের মধ্যে ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী। বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরীও বৈঠকে ছিলেন। আ স ম রবের সঙ্গে তার স্ত্রী তানিয়া রবও ছিলেন।

এর আগে গত ১৩ জুলাই রাতে রবের উত্তরার বাসায় বি. চৌধুরী, কাদের সিদ্দিকী, মান্না, সুব্রত চৌধুরীসহ অনেক নেতা একত্র হয়েছিলেন, যাতে বাধা দিয়েছিল পুলিশ।
গতকাল রাত ৯টায় শুরু হওয়া বৈঠক রাত ১১টায় শেষ হয়। বৈঠকের এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের ডেকে নেওয়া হয় তৃতীয় তলায়। এ সময় প্রশ্ন করলে বি. চৌধুরী বলেন, আজকে কোনো ব্রিফিং হবে না। তবে মিডিয়া কর্মীদের আহ্বানে তিনি বলেন, যারা দেশ নিয়ে ভাবেন, দেশের কথা চিন্তা করেন, তারা সবাই একসঙ্গে বসেছিলাম। একসঙ্গে বসলে দেশ নিয়ে তো কথা হবেই। দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত কীভাবে করা যায় তা নিয়ে কথা হয়েছে। চায়ের দাওয়াতে অনেকে এসেছেন। ড. কামাল হোসেন আসতে পারেননি, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইলে আছেন। আগামীতে আবার বসা হলে হয়তো আরও অনেকে আসবেন।

বৈঠকে যোগ দেওয়া নিয়ে এক প্রশ্নে জি এম কাদের বলেন, দেশের একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, রাজনীতিবিদ হিসেবে তার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছি। আলোচনার বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক বিষয়েই আলোচনা হয়েছে। সবার মতামত শুনেছি। এসব মতামত আমার দলের নেতাকে জানাবো।

প্রসঙ্গত, বি. চৌধুরী, কাদের সিদ্দিকী ও আ স ম রব ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে এনডিএফ জোট গঠন করেছিলেন। বিএনপির মতো তারাও ওই নির্বাচন বর্জন করেন। বর্জনের ঘোষণা দেওয়ার পরও নানা নাটকীয়তার পর সেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন এরশাদ। ওই সময় ভোট বর্জনের পক্ষে ছিলেন জি এম কাদের।

সূত্র- সমকাল

পোস্ট শেয়ার করুন

বি. চৌধুরীর বাসায় বিভিন্ন দলের নেতাদের বৈঠক

আপডেটের সময় : ০১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০১৭

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে একটি তৃতীয় ধারার নতুন রাজনৈতিক জোট গঠনের উদ্দেশ্যে গতকাল বুধবার রাতে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারার সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বারিধারার বাসভবনে কয়েকটি দলের নেতারা বৈঠক করেছেন। সেখানে বৈঠকে যোগ দিয়েছেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের। বৈঠকে আগামী নির্বাচন সামনে রেখে একটি নতুন রাজনৈতিক জোট গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়। সম্ভাব্য এই জোটে জাতীয় পার্টির একটি অংশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এমনকি জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৃহত্তর ঐক্য করা যাবে কি-না তা নিয়েও আলোচনা হয়। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বি. চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যদের মধ্যে ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী। বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরীও বৈঠকে ছিলেন। আ স ম রবের সঙ্গে তার স্ত্রী তানিয়া রবও ছিলেন।

এর আগে গত ১৩ জুলাই রাতে রবের উত্তরার বাসায় বি. চৌধুরী, কাদের সিদ্দিকী, মান্না, সুব্রত চৌধুরীসহ অনেক নেতা একত্র হয়েছিলেন, যাতে বাধা দিয়েছিল পুলিশ।
গতকাল রাত ৯টায় শুরু হওয়া বৈঠক রাত ১১টায় শেষ হয়। বৈঠকের এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের ডেকে নেওয়া হয় তৃতীয় তলায়। এ সময় প্রশ্ন করলে বি. চৌধুরী বলেন, আজকে কোনো ব্রিফিং হবে না। তবে মিডিয়া কর্মীদের আহ্বানে তিনি বলেন, যারা দেশ নিয়ে ভাবেন, দেশের কথা চিন্তা করেন, তারা সবাই একসঙ্গে বসেছিলাম। একসঙ্গে বসলে দেশ নিয়ে তো কথা হবেই। দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত কীভাবে করা যায় তা নিয়ে কথা হয়েছে। চায়ের দাওয়াতে অনেকে এসেছেন। ড. কামাল হোসেন আসতে পারেননি, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইলে আছেন। আগামীতে আবার বসা হলে হয়তো আরও অনেকে আসবেন।

বৈঠকে যোগ দেওয়া নিয়ে এক প্রশ্নে জি এম কাদের বলেন, দেশের একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, রাজনীতিবিদ হিসেবে তার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছি। আলোচনার বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক বিষয়েই আলোচনা হয়েছে। সবার মতামত শুনেছি। এসব মতামত আমার দলের নেতাকে জানাবো।

প্রসঙ্গত, বি. চৌধুরী, কাদের সিদ্দিকী ও আ স ম রব ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে এনডিএফ জোট গঠন করেছিলেন। বিএনপির মতো তারাও ওই নির্বাচন বর্জন করেন। বর্জনের ঘোষণা দেওয়ার পরও নানা নাটকীয়তার পর সেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন এরশাদ। ওই সময় ভোট বর্জনের পক্ষে ছিলেন জি এম কাদের।

সূত্র- সমকাল