ঢাকা , রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
১৭ বছর পর দেশে প্রত্যাবর্তন লন্ডন বিএনপি নেতা শরফুকে শ্রীমঙ্গলে গণ সংবর্ধনা ইতালির মানতোভা শহরে দুইদিনব্যাপী দূতাবাস সেবা অনুষ্ঠিত ,প্রায় আট শতাধিক প্রবাসীরা এই ক্যাম্প থেকে দূতাবাস সেবা গ্রহণ করেন ইতালিতে এমপি প্রার্থী প্রফেসর ডা: সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম কে চাঁদপুরবাসীর সংবর্ধনা দেশে ফিরছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্হায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নানের মৃত্যুতে দোয়া অনুষ্ঠিত কুলাউড়া বিএনপির ১৩ ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা, সমন্বয়কদের দায়িত্ব বন্টন কুলাউড়ায় রাজাপুরে বালু উত্তোলন বন্ধ ও সেতু রক্ষায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে ইতালির তরিনোতে সিলেট বিভাগ ঐক্য পরিষদের নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ছাত্রশিবিরের নববর্ষ প্রকাশনা উৎসব পর্তুগালে মানবিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন “সদিচ্ছা ফাউন্ডেশন” এর লোগো সম্বলিত টি শার্ট উন্মোচন

বিশ্ব খাদ্য দিবস আজ

দেশদিগন্ত :
  • আপডেটের সময় : ০২:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৭
  • / ১০৬৪ টাইম ভিউ

আজ সোমবার বিশ্ব খাদ্য দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে: ‘অভিবাসনের ভবিষ্যৎ বদলে দাও, খাদ্য-নিরাপত্তা ও গ্রামীণ উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াও’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেছেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য টেকসই কৃষি ব্যবস্থাপনার কোনো বিকল্প নেই। মানবসৃষ্ট বা প্রাকৃতিক কারণে উদ্ভূত অভিবাসনজনিত সমস্যা বিশ্বব্যাপী একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষত জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাবৃদ্ধি এবং এর ফলে সৃষ্ট অতিবৃষ্টি, বন্যা, খরা, লবণাক্ততা বিশ্ববাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, কৃষিনির্ভর অর্থনীতিকে আরো সুদৃঢ়করণের মাধ্যমে অভিবাসনের এ বিরূপতা অনেকটাই মোকাবিলা করা সম্ভব। এ জন্য খাদ্য নিরাপত্তাসহ গ্রামীণ অর্থনীতির শেকড় আরো শক্ত ও টেকসই করতে হবে। ফসলের নিত্যনতুন জাত উদ্ভাবন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, মাটির গুণাগুণ বজায় রেখে পরিবেশসম্মত চাষাবাদের পাশাপাশি খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও প্রাণীজ আমিষের লক্ষ্যপূরণে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। এ জন্য কৃষি গবেষণাসহ এখাতে বিনিয়োগ বাড়ানো সময়ের দাবি।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, ক্ষুধা, দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানাবিধ সমস্যায় নিপতিত হয়ে মানুষ পরিত্রাণের আশায় প্রতিনিয়ত স্থানান্তরিত হচ্ছেন। এ অস্থিরতা বিশ্বব্যাপী সর্বজনীন হলেও বাংলাদেশের জন্য এটি বর্তমানে গভীর সমস্যা হিসাবে দেখা দিয়েছে। বিগত মাসাধিককালে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ আমাদের দেশে অনুপ্রবেশ করেছেন। তিনি বলেন, সীমিত সম্পদের এ দেশে আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি কৃষি। কৃষির উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমেই গ্রামীণ জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব। ফসলের পাশাপাশি মাছ, হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুর উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে সমন্বিত বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। কৃষিভিত্তিক ব্যবসা ও আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে হবে। সঠিক ও সময়োপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তার সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব।
দিবসটি উপলক্ষে আজ সোমবার বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। কৃষি মন্ত্রণালয় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সেমিনার ও তিনদিনব্যাপী মেলার আয়োজন করেছে।

পোস্ট শেয়ার করুন

বিশ্ব খাদ্য দিবস আজ

আপডেটের সময় : ০২:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৭

আজ সোমবার বিশ্ব খাদ্য দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে: ‘অভিবাসনের ভবিষ্যৎ বদলে দাও, খাদ্য-নিরাপত্তা ও গ্রামীণ উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াও’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেছেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য টেকসই কৃষি ব্যবস্থাপনার কোনো বিকল্প নেই। মানবসৃষ্ট বা প্রাকৃতিক কারণে উদ্ভূত অভিবাসনজনিত সমস্যা বিশ্বব্যাপী একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষত জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাবৃদ্ধি এবং এর ফলে সৃষ্ট অতিবৃষ্টি, বন্যা, খরা, লবণাক্ততা বিশ্ববাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, কৃষিনির্ভর অর্থনীতিকে আরো সুদৃঢ়করণের মাধ্যমে অভিবাসনের এ বিরূপতা অনেকটাই মোকাবিলা করা সম্ভব। এ জন্য খাদ্য নিরাপত্তাসহ গ্রামীণ অর্থনীতির শেকড় আরো শক্ত ও টেকসই করতে হবে। ফসলের নিত্যনতুন জাত উদ্ভাবন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, মাটির গুণাগুণ বজায় রেখে পরিবেশসম্মত চাষাবাদের পাশাপাশি খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও প্রাণীজ আমিষের লক্ষ্যপূরণে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। এ জন্য কৃষি গবেষণাসহ এখাতে বিনিয়োগ বাড়ানো সময়ের দাবি।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, ক্ষুধা, দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানাবিধ সমস্যায় নিপতিত হয়ে মানুষ পরিত্রাণের আশায় প্রতিনিয়ত স্থানান্তরিত হচ্ছেন। এ অস্থিরতা বিশ্বব্যাপী সর্বজনীন হলেও বাংলাদেশের জন্য এটি বর্তমানে গভীর সমস্যা হিসাবে দেখা দিয়েছে। বিগত মাসাধিককালে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ আমাদের দেশে অনুপ্রবেশ করেছেন। তিনি বলেন, সীমিত সম্পদের এ দেশে আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি কৃষি। কৃষির উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমেই গ্রামীণ জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব। ফসলের পাশাপাশি মাছ, হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুর উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে সমন্বিত বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। কৃষিভিত্তিক ব্যবসা ও আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে হবে। সঠিক ও সময়োপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তার সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব।
দিবসটি উপলক্ষে আজ সোমবার বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। কৃষি মন্ত্রণালয় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সেমিনার ও তিনদিনব্যাপী মেলার আয়োজন করেছে।