ঢাকা , শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
কানাডার প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট ইলেকশন ডলি’র হ্যাটট্রিক জয় ১৭ বছর পর দেশে প্রত্যাবর্তন লন্ডন বিএনপি নেতা শরফুকে শ্রীমঙ্গলে গণ সংবর্ধনা ইতালির মানতোভা শহরে দুইদিনব্যাপী দূতাবাস সেবা অনুষ্ঠিত ,প্রায় আট শতাধিক প্রবাসীরা এই ক্যাম্প থেকে দূতাবাস সেবা গ্রহণ করেন ইতালিতে এমপি প্রার্থী প্রফেসর ডা: সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম কে চাঁদপুরবাসীর সংবর্ধনা দেশে ফিরছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্হায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নানের মৃত্যুতে দোয়া অনুষ্ঠিত কুলাউড়া বিএনপির ১৩ ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা, সমন্বয়কদের দায়িত্ব বন্টন কুলাউড়ায় রাজাপুরে বালু উত্তোলন বন্ধ ও সেতু রক্ষায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে ইতালির তরিনোতে সিলেট বিভাগ ঐক্য পরিষদের নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ছাত্রশিবিরের নববর্ষ প্রকাশনা উৎসব

বিশ্বসেরা শিক্ষকের পুরস্কার পেলেন কেনিয়ার পিটার

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০২:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০১৯
  • / ৯২৯ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ আফ্রিকার দরিদ্র দেশ কেনিয়ার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান পড়াতেন তিনি। শিক্ষকতা করে যে বেতন পেতেন তার আশিভাগ গরিব-দুঃখী ছাত্রদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন। স্থানীয়দের কাছে জনপ্রিয় এই মানুষটিই জিতেছেন বিশ্বের সেরা শিক্ষকের পুরস্কার। যার আর্থিক মূল্য দশ লাখ ডলার। কেনিয়ার গ্রস্ত উপত্যকায় খরা আর দুর্ভিক্ষের মাঝে স্বপ্ন চাষ করেন গণিত ও পদার্থবিদ্যার শিক্ষক পিটার তাবিছি (৩৬)। প্রত্যন্ত এই গ্রামের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যে কচিকাঁচাদের পড়ান তিনি।

তার কল্যাণে ওই কচিকাঁচারা হয়ে উঠেছে বিশ্বসেরা। খালিজ টাইমস জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে দুবাইয়ে বলিউড অভিনেতা হফ জ্যাকম্যানের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাকে বিশেষ সম্মান জানানো হয়। তাকে দেয়া হয় দশ লাখ ডলারের পুরস্কার। তাবিছি বলেন, ‘এই পুরস্কারটি শুধু আমাকেই স্বীকৃতি দেয় না, এই মহান মহাদেশের তরুণদেরও স্বীকৃতি দেয়। আমার শিক্ষার্থীরা যা অর্জন করেছে তার কারণেই আমি আজ এখানে।’ সারা বিশ্ব থেকে এই পুরস্কারের ৯ জন চূড়ান্ত দাবিদারকে পরাজিত করার পরে তিনি আরও বলেন, ‘এই পুরস্কারটি তাদেরকে একটি সুযোগ দিয়েছে। এই পুরস্কার বিশ্বকে জানান দেয় যে এরাও কিছু করতে পারে।’ দুবাইয়ের ভার্কে ফাউন্ডেশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রায় ৯৫ শতাংশ স্কুল ছাত্রছাত্রী দরিদ্রতম পরিবার থেকেই আসে। তাদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই অনাথ-এতিম। অনেকে বাড়িতে খাবার খেতেই পায় না। মাদকাসক্তি, অল্প বয়সে গর্ভধারণ, স্কুল থেকে ঝরে পড়া, বাল্যবিবাহ এবং আত্মহত্যা তাদের সাধারণ সমস্যা। স্কুলে যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকজন ছাত্রকে প্রায় ৭ কিলোমিটার হেঁটে যেতে হয়।

এই স্কুলে পড়ুয়া শিক্ষক অনুপাত ৫৮:১। এখানে ইন্টারনেট সংযোগসহ একটিই মাত্র ডেস্কটপ কম্পিউটার রয়েছে। আর তাবিছি শিক্ষার্থীদের স্কুলে ধরে রাখতেই তার বেতনের ৮০ শতাংশই ব্যয় করেন। কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনয়াত্তা এক ভিডিও বার্তাতে তাবিছিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘আপনার গল্প সমগ্র আফ্রিকার গল্প। আমাদের আফ্রিকা, বহু প্রতিভার আঁতুড়ঘর।’

পোস্ট শেয়ার করুন

বিশ্বসেরা শিক্ষকের পুরস্কার পেলেন কেনিয়ার পিটার

আপডেটের সময় : ০২:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ আফ্রিকার দরিদ্র দেশ কেনিয়ার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান পড়াতেন তিনি। শিক্ষকতা করে যে বেতন পেতেন তার আশিভাগ গরিব-দুঃখী ছাত্রদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন। স্থানীয়দের কাছে জনপ্রিয় এই মানুষটিই জিতেছেন বিশ্বের সেরা শিক্ষকের পুরস্কার। যার আর্থিক মূল্য দশ লাখ ডলার। কেনিয়ার গ্রস্ত উপত্যকায় খরা আর দুর্ভিক্ষের মাঝে স্বপ্ন চাষ করেন গণিত ও পদার্থবিদ্যার শিক্ষক পিটার তাবিছি (৩৬)। প্রত্যন্ত এই গ্রামের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যে কচিকাঁচাদের পড়ান তিনি।

তার কল্যাণে ওই কচিকাঁচারা হয়ে উঠেছে বিশ্বসেরা। খালিজ টাইমস জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে দুবাইয়ে বলিউড অভিনেতা হফ জ্যাকম্যানের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাকে বিশেষ সম্মান জানানো হয়। তাকে দেয়া হয় দশ লাখ ডলারের পুরস্কার। তাবিছি বলেন, ‘এই পুরস্কারটি শুধু আমাকেই স্বীকৃতি দেয় না, এই মহান মহাদেশের তরুণদেরও স্বীকৃতি দেয়। আমার শিক্ষার্থীরা যা অর্জন করেছে তার কারণেই আমি আজ এখানে।’ সারা বিশ্ব থেকে এই পুরস্কারের ৯ জন চূড়ান্ত দাবিদারকে পরাজিত করার পরে তিনি আরও বলেন, ‘এই পুরস্কারটি তাদেরকে একটি সুযোগ দিয়েছে। এই পুরস্কার বিশ্বকে জানান দেয় যে এরাও কিছু করতে পারে।’ দুবাইয়ের ভার্কে ফাউন্ডেশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রায় ৯৫ শতাংশ স্কুল ছাত্রছাত্রী দরিদ্রতম পরিবার থেকেই আসে। তাদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই অনাথ-এতিম। অনেকে বাড়িতে খাবার খেতেই পায় না। মাদকাসক্তি, অল্প বয়সে গর্ভধারণ, স্কুল থেকে ঝরে পড়া, বাল্যবিবাহ এবং আত্মহত্যা তাদের সাধারণ সমস্যা। স্কুলে যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকজন ছাত্রকে প্রায় ৭ কিলোমিটার হেঁটে যেতে হয়।

এই স্কুলে পড়ুয়া শিক্ষক অনুপাত ৫৮:১। এখানে ইন্টারনেট সংযোগসহ একটিই মাত্র ডেস্কটপ কম্পিউটার রয়েছে। আর তাবিছি শিক্ষার্থীদের স্কুলে ধরে রাখতেই তার বেতনের ৮০ শতাংশই ব্যয় করেন। কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনয়াত্তা এক ভিডিও বার্তাতে তাবিছিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘আপনার গল্প সমগ্র আফ্রিকার গল্প। আমাদের আফ্রিকা, বহু প্রতিভার আঁতুড়ঘর।’