ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

বিশ্বনাথের সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি হওয়াতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুন ২০২০
  • / ৩৫৬ টাইম ভিউ

সিলেটের বিশ্বনাথে গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টিপাত ও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এভাবে আরও দুই-তিনদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে উপজেলাজুড়ে বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত রয়েছে। বাড়ির বসত ঘরে এখনো পানি ওঠেনি, তবে ছুঁইছুঁই করছে। তবে বাড়ির আঙ্গিনায়-রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে কয়েকটি পরিবারের মানুষ বাড়িতে পানিবন্ধি অবস্থায় রয়েছেন। গবাদিপশু নিয়ে পড়েছেন অনেক কৃষক বিপাকে। সুরমা নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেলে নদীর পাড়ে অবস্থিত বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের মির্জারগাঁও, মাহতাবপুর, মাধবপুর, কাজীবাড়ি, রাজাপুর, তিলকপুর, হাজারীগাঁও, আকিলপুর, রসুলপুর, সোনাপুর এলাকার মানুষ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হবেন বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এছাড়া টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলের উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়া বাসিয়া নদীসহ উপজেলার সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ বিষয়ে লামাকাজি ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বলেন, ওয়ার্ডের কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানি বন্ধি রয়েছেন।
লামাকাজি ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া বলেন, তবে এভাবে বৃষ্টি হলে ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কামরুজ্জামান বলেন, টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলের পানিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি নজরদারী করা হচ্ছে ও বর্তমান পরিস্থিতি অবনতি হলে মানুষকে সাহায্য করার জন্য উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। তবে এখনও উপজেলায় বন্যা হয়নি বলে তিনি জানান।

পোস্ট শেয়ার করুন

বিশ্বনাথের সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি হওয়াতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

আপডেটের সময় : ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুন ২০২০

সিলেটের বিশ্বনাথে গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টিপাত ও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এভাবে আরও দুই-তিনদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে উপজেলাজুড়ে বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত রয়েছে। বাড়ির বসত ঘরে এখনো পানি ওঠেনি, তবে ছুঁইছুঁই করছে। তবে বাড়ির আঙ্গিনায়-রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে কয়েকটি পরিবারের মানুষ বাড়িতে পানিবন্ধি অবস্থায় রয়েছেন। গবাদিপশু নিয়ে পড়েছেন অনেক কৃষক বিপাকে। সুরমা নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেলে নদীর পাড়ে অবস্থিত বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের মির্জারগাঁও, মাহতাবপুর, মাধবপুর, কাজীবাড়ি, রাজাপুর, তিলকপুর, হাজারীগাঁও, আকিলপুর, রসুলপুর, সোনাপুর এলাকার মানুষ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হবেন বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এছাড়া টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলের উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়া বাসিয়া নদীসহ উপজেলার সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ বিষয়ে লামাকাজি ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বলেন, ওয়ার্ডের কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানি বন্ধি রয়েছেন।
লামাকাজি ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া বলেন, তবে এভাবে বৃষ্টি হলে ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কামরুজ্জামান বলেন, টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলের পানিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি নজরদারী করা হচ্ছে ও বর্তমান পরিস্থিতি অবনতি হলে মানুষকে সাহায্য করার জন্য উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। তবে এখনও উপজেলায় বন্যা হয়নি বলে তিনি জানান।