ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

বিটিআরসিকে ২ হাজার কোটি টাকা পরিশোধে গ্রামীণফোনকে নির্দেশ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১২:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৯
  • / ৩৭০ টাইম ভিউ

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) দাবি করা প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকার মধ্যে এখন ২ হাজার কোটি টাকা দিতে গ্রামীণফোনকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আগামী তিন মাসের মধ্যে এই টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

তবে এই টাকা না দেওয়া হলে দাবি আদায়ের ওপর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকবে না বলেও আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। তখন গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে যে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যাবে বলে বিটিআরসির আইনজীবী জানিয়েছেন।

গত ১৮ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে এ বিষয়ক আদেশের জন্য ২৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। তবে এ সময়ের মধ্যে মধ্যস্থতার জন্য গ্রামীণফোন কোনো ফোরামে যেতে পারবে না বলে বলা হয়। তারও আগে গত ১৪ নভেম্বর এ বিষয়ক আদেশের জন্য ১৮ নভেম্বর ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে ছিলেন-জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী। অন্যদিকে বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন-জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম ও আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

গত ১৭ অক্টোবর বিচারপতি একেএম আবদুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসির প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি আদায়ের ওপর দুই মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেন। পরে গ্রামীণফোনের কাছে ওই টাকা দাবি আদায়ের ওপর হাইকোর্টের দুমাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা স্থগিত চেয়ে বিটিআরসি আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

এ ব্যাপারে ১৭ অক্টোবর গ্রামীণফোনের আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন বলেন, চলতি বছরের ২ এপ্রিল বিভিন্ন খাতে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি করে বিটিআরসি গ্রামীণফোনকে চিঠি দিয়েছিল। পরে গ্রামীণফোন ওই চিঠির বিষয়ে নিম্ন আদালতে টাইটেল স্যুট (মামলা) করে।

একই সঙ্গে ওই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অর্থ আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়। পরে ২৮ আগস্ট নিম্ন আদালত গ্রামীণফোনের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন খারিজ করে দিলে ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে গ্রামীণফোন।

পরবর্তীতে শুনানি শেষে ১৭ অক্টোবর আদালত আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে টাকা আদায়ের ওপর দুই মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেন।

এর আগে গত ৩ অক্টোবর অর্থমন্ত্রী ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর সঙ্গে গ্রামীণফোনের এক সমঝোতা বৈঠকে পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। প্রস্তাবগুলো হলো :

১. দুই পক্ষ একটি কমিটি গঠন করে পাওনা পরীক্ষা অথবা পরীক্ষার পদ্ধতি বের করবে।

২. বিটিআরসি লাইসেন্স বাতিলের কারণ দর্শানোর নোটিশ ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে। অন্যদিকে অপারেটররা মামলা প্রত্যাহারের পদক্ষেপ নেবে।

৩. অর্থমন্ত্রী, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী, এনবিআর ও বিটিআরসির চেয়ারম্যান কমিটির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে রাখবেন।

৪. কমিটি গঠন ও কমিটির কাজ শুরুর আগে আগামী সাত দিনের মধ্যে গ্রামীণফোন ১০০ কোটি ও পরের এক মাসের মধ্যে ১০০ কোটি টাকা বিটিআরসিকে দেবে। রবি দেবে দুই দফায় ৫০ কোটি টাকা।

৫. এসব প্রস্তাব দুই অপারেটর তাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পর্যালোচনা ও অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করবে।

পোস্ট শেয়ার করুন

বিটিআরসিকে ২ হাজার কোটি টাকা পরিশোধে গ্রামীণফোনকে নির্দেশ

আপডেটের সময় : ১২:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৯

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) দাবি করা প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকার মধ্যে এখন ২ হাজার কোটি টাকা দিতে গ্রামীণফোনকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আগামী তিন মাসের মধ্যে এই টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

তবে এই টাকা না দেওয়া হলে দাবি আদায়ের ওপর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকবে না বলেও আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। তখন গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে যে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যাবে বলে বিটিআরসির আইনজীবী জানিয়েছেন।

গত ১৮ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে এ বিষয়ক আদেশের জন্য ২৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। তবে এ সময়ের মধ্যে মধ্যস্থতার জন্য গ্রামীণফোন কোনো ফোরামে যেতে পারবে না বলে বলা হয়। তারও আগে গত ১৪ নভেম্বর এ বিষয়ক আদেশের জন্য ১৮ নভেম্বর ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে ছিলেন-জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী। অন্যদিকে বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন-জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম ও আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

গত ১৭ অক্টোবর বিচারপতি একেএম আবদুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসির প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি আদায়ের ওপর দুই মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেন। পরে গ্রামীণফোনের কাছে ওই টাকা দাবি আদায়ের ওপর হাইকোর্টের দুমাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা স্থগিত চেয়ে বিটিআরসি আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

এ ব্যাপারে ১৭ অক্টোবর গ্রামীণফোনের আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন বলেন, চলতি বছরের ২ এপ্রিল বিভিন্ন খাতে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি করে বিটিআরসি গ্রামীণফোনকে চিঠি দিয়েছিল। পরে গ্রামীণফোন ওই চিঠির বিষয়ে নিম্ন আদালতে টাইটেল স্যুট (মামলা) করে।

একই সঙ্গে ওই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অর্থ আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়। পরে ২৮ আগস্ট নিম্ন আদালত গ্রামীণফোনের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন খারিজ করে দিলে ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে গ্রামীণফোন।

পরবর্তীতে শুনানি শেষে ১৭ অক্টোবর আদালত আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে টাকা আদায়ের ওপর দুই মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেন।

এর আগে গত ৩ অক্টোবর অর্থমন্ত্রী ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর সঙ্গে গ্রামীণফোনের এক সমঝোতা বৈঠকে পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। প্রস্তাবগুলো হলো :

১. দুই পক্ষ একটি কমিটি গঠন করে পাওনা পরীক্ষা অথবা পরীক্ষার পদ্ধতি বের করবে।

২. বিটিআরসি লাইসেন্স বাতিলের কারণ দর্শানোর নোটিশ ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে। অন্যদিকে অপারেটররা মামলা প্রত্যাহারের পদক্ষেপ নেবে।

৩. অর্থমন্ত্রী, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী, এনবিআর ও বিটিআরসির চেয়ারম্যান কমিটির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে রাখবেন।

৪. কমিটি গঠন ও কমিটির কাজ শুরুর আগে আগামী সাত দিনের মধ্যে গ্রামীণফোন ১০০ কোটি ও পরের এক মাসের মধ্যে ১০০ কোটি টাকা বিটিআরসিকে দেবে। রবি দেবে দুই দফায় ৫০ কোটি টাকা।

৫. এসব প্রস্তাব দুই অপারেটর তাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পর্যালোচনা ও অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করবে।