গভীর রাতে হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পাই। ঘর থেকে বের হয়ে এসে শুনি কান্নার শব্দ। চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে মানুষের মরদেহের অংশ। ’
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোর রাত ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা স্টেশনে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন এবং চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তুর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭। এখনো অনেকে ট্রেনের নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আহত হয়েছেন শতাধিক যাত্রী। গুরুতর আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল, কুমিল্লা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ৮ নারী এবং ১ শিশু। দুর্ঘটনার পর সিলেট থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট-ঢাকা রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
তূর্ণা নিশীথার যাত্রী কাজী ফজলে রাব্বি বলেন, ‘উদয়ন এক্সপ্রেস ঢোকার আগেই বিপরীত দিক থেকে তূর্ণা নিশীথা এসে ধাক্কা দেয়। আমরা তখন ঘুমিয়ে ছিলাম। বিকট শব্দ পেয়ে আমরা তাড়াতাড়ি করে ট্রেন থেকে নেমে পড়ি।’
উদয়ন এক্সপ্রেসের যাত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ট্রেনটি লাইন ক্রস করার সময় দ্রুতগতিতে এসে তূর্ণা ধাক্কা দেয়। আমি সামনের বগিতে থাকায় আহত হইনি। পেছনের তিনটি বগির যাত্রীরা গুরুতর আহত হয়েছেন।’
মন্দবাগের স্থানীয় বাসিন্দা সালাম বলেন, ‘গভীর রাতে হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পাই। ঘর থেকে বের হয়ে এসে দেখি কান্নার শব্দ। এখানে সেখানে ছিটকে পড়ে আছে মানুষের মরদেহের অংশ। পরে এলাকার সবাই বেরিয়ে আহতদের উদ্ধার করার চেষ্টা করি।’
deshdiganto.com © 2019 কপিরাইট এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত
design and development by : http://webnewsdesign.com