ঢাকা , সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
গ্রিন সিলেট ট্রাভেলসের আয়োজনে বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস/কনসুলেট চেয়ে খোলা চিঠি স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা

বাহুবলে জীর্ণ কুটির ঘরের জন্য চলে গেলেন স্ত্রী

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : ০৩:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০
  • / ৪৩০ টাইম ভিউ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বাহুবলে শুধু একটি ঘরের জন্য রাখতে পারেননি স্ত্রীকে’ও। ভাঙ্গা জীর্ণ কুটির ঘরে থাকতে না পেরে চলে গেলেন তার বাবার বাড়ী।

দীর্ঘদিন ধরে তিনশতক জায়গার উপর জীর্ণ শির্ণ একটি ভাঙ্গা কুটির ঘরে বসবাস করে আসছেন উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম জয়পুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে দিনমজুর মোঃ আব্দুস ছোবহান।
ওই কুটির ঘরটিকে তিনি মেরামত করছেন। একদিকে ভাঙ্গা টিন এনে জোড়া দিলে অন্য দিকের টিন খালি হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে পুরো ঘরটি ভেসে যায়। একটু ঝড়ে টিনের চাল উড়ে যায়। আবার তিনি সেই টিনগুলি খুড়ে এনে উপরে স্থাপন করেন। এভাবেই চলছে তার জীবন।

ছোট একটি খালের পাশে কুরে ঘরটি তৈরি করলেও খালের উপর দুটি বাঁশ ফেলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাকো দিয়ে আসা যাওয়া করেন তিনি। যেন তাকে দেখার মত এই বাংলায় কারো জন্ম হয়নি।

তার বাড়ির পাশ দিয়ে হাজারো মানুষ চলাচল করে। জনপ্রতিনিধিরাও আসা যাওয়া করেন। কিন্তু একবারও কেউ খবর নেয়না ছোবহান কেমন আছে ?

তার প্রতিবেশি ষাটষোর্ধ নারী  বলেন, সে অনেক দিন ধরে এই ভাঙ্গা ঘরে মেঘে ভিজে রৌদ্রে পুড়ে থাকে,দিন আনে দিন খায় ছোবানের বউও ওই ভাঙ্গা ঘরে থাকতে না পেরে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেকজন নারী জানায়, তার বাবার বাড়ি ঘর নিয়ে বর্তমানে তিন শতক জায়গা পেয়েছে। ও এ তিন শতক জায়গার উপর ঘর বানাতে পারছেনা টাকার অভাবে। আমাদের গ্রামে বহু ধনীরা আছে কিন্তু কেউ তার ঘর তৈরী করে দেয় না । সে দিন মজুর হিসাবে মানুষের বাড়িতে কাজ করে ওই কাজের টাকাও মানুষ তারে ঠিকমত দেয় না।

তিনি আরো বলেন, সহজ সরল প্রকৃতির লোক ছোবহান দুর্গন্ধযুক্ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ছোট একটি ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করছে।

এদিকে ছোবহান ছোট একটি ঘর তৈরি করতে কয়েকটি পাকা পিলার করে আটকে আছেন। ইট বালু ক্রয় করার মত টাকা নেই। নেই টিউওয়েল, নেই একটি স্বাস্থ্যসম্মত লেট্রিন। গোসল করেন খালের পানিতে।

আব্দুস ছোবান বলেন, আমারে কেউ কুস্তা দেয়না, ঘরটা ভালা না দেইখা আমার বউ আমারে থইয়া গেছিগি, সরকারের কাছে আমি একটি ঘর চাই।

উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আশিষ কর্মকারের ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা তালুকদার বলেন, এই মুহূর্তে তাকে সহযোগিতা করার মত সরকারের কাছে আপাতত কিছু নেই বলে জানান তিনি।

পোস্ট শেয়ার করুন

বাহুবলে জীর্ণ কুটির ঘরের জন্য চলে গেলেন স্ত্রী

আপডেটের সময় : ০৩:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বাহুবলে শুধু একটি ঘরের জন্য রাখতে পারেননি স্ত্রীকে’ও। ভাঙ্গা জীর্ণ কুটির ঘরে থাকতে না পেরে চলে গেলেন তার বাবার বাড়ী।

দীর্ঘদিন ধরে তিনশতক জায়গার উপর জীর্ণ শির্ণ একটি ভাঙ্গা কুটির ঘরে বসবাস করে আসছেন উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম জয়পুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে দিনমজুর মোঃ আব্দুস ছোবহান।
ওই কুটির ঘরটিকে তিনি মেরামত করছেন। একদিকে ভাঙ্গা টিন এনে জোড়া দিলে অন্য দিকের টিন খালি হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে পুরো ঘরটি ভেসে যায়। একটু ঝড়ে টিনের চাল উড়ে যায়। আবার তিনি সেই টিনগুলি খুড়ে এনে উপরে স্থাপন করেন। এভাবেই চলছে তার জীবন।

ছোট একটি খালের পাশে কুরে ঘরটি তৈরি করলেও খালের উপর দুটি বাঁশ ফেলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাকো দিয়ে আসা যাওয়া করেন তিনি। যেন তাকে দেখার মত এই বাংলায় কারো জন্ম হয়নি।

তার বাড়ির পাশ দিয়ে হাজারো মানুষ চলাচল করে। জনপ্রতিনিধিরাও আসা যাওয়া করেন। কিন্তু একবারও কেউ খবর নেয়না ছোবহান কেমন আছে ?

তার প্রতিবেশি ষাটষোর্ধ নারী  বলেন, সে অনেক দিন ধরে এই ভাঙ্গা ঘরে মেঘে ভিজে রৌদ্রে পুড়ে থাকে,দিন আনে দিন খায় ছোবানের বউও ওই ভাঙ্গা ঘরে থাকতে না পেরে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেকজন নারী জানায়, তার বাবার বাড়ি ঘর নিয়ে বর্তমানে তিন শতক জায়গা পেয়েছে। ও এ তিন শতক জায়গার উপর ঘর বানাতে পারছেনা টাকার অভাবে। আমাদের গ্রামে বহু ধনীরা আছে কিন্তু কেউ তার ঘর তৈরী করে দেয় না । সে দিন মজুর হিসাবে মানুষের বাড়িতে কাজ করে ওই কাজের টাকাও মানুষ তারে ঠিকমত দেয় না।

তিনি আরো বলেন, সহজ সরল প্রকৃতির লোক ছোবহান দুর্গন্ধযুক্ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ছোট একটি ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করছে।

এদিকে ছোবহান ছোট একটি ঘর তৈরি করতে কয়েকটি পাকা পিলার করে আটকে আছেন। ইট বালু ক্রয় করার মত টাকা নেই। নেই টিউওয়েল, নেই একটি স্বাস্থ্যসম্মত লেট্রিন। গোসল করেন খালের পানিতে।

আব্দুস ছোবান বলেন, আমারে কেউ কুস্তা দেয়না, ঘরটা ভালা না দেইখা আমার বউ আমারে থইয়া গেছিগি, সরকারের কাছে আমি একটি ঘর চাই।

উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আশিষ কর্মকারের ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা তালুকদার বলেন, এই মুহূর্তে তাকে সহযোগিতা করার মত সরকারের কাছে আপাতত কিছু নেই বলে জানান তিনি।