ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার আবু জাহেলদের ব্যার্থ গুপ্ত হত্যা পরিকল্পনার মধ্যে দিয়েই যেভাবে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হিজরত জীবনের শুরু হয় তারেক রহমানের উপস্থাপিত ৩১ দফা’র লিফলেট বিতরন করলো পর্তুগাল সেচ্চাসেবক দল ইতালির তরিনোতে জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ব্রাম্মণবাড়ীয়া জেলা সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন আমাদের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হলে আমরা সারা দুনিয়া জ্বালিয়ে দেব,মিলানের সেমিনারে বললেন পিনাকী ভট্রাচার্য পর্তুগাল জাসাস’র নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতেবিভিন্ন চক্রান্তে লিপ্ত আ’লীগ গ্রিন সিলেট ট্রাভেলসের আয়োজনে বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস/কনসুলেট চেয়ে খোলা চিঠি স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা

বাসচাপায় শিক্ষার্থী রাজীব-দিয়ার মৃত্যু, ৩ জনের যাবজ্জীবন

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৫:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ৪৬৩ টাইম ভিউ

আলোচিত রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী রাজীব ও দিয়ার বাসচাপায় মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই চালক ও এক হেলফারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই ঘটনায় দুইজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জাবালে নূর পরিবহনের বাসচালক মাসুম বিল্লাহ, মো. জোবায়ের সুমন ও মো. আসাদ কাজী। আর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- বাসমালিক মো. এনায়েত হোসেন ও মো. জাহাঙ্গীর আলম। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে মো. আসাদ কাজী পলাতক রয়েছেন।

গেল ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের জন্য রোববার দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। এর আগে গত ৭ অক্টোবর কারাগারে থাকা চার আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। মামলার আরেক আসামি জাবালে নূর পরিবহনের বাসমালিক মো. শাহদাত হোসেন আকন্দের মামলার অংশের কার্যক্রম হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে। মামলায় ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।

এর আগে ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উত্তর ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের পরিদর্শক কাজী শরীফুল ইসলাম ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। গত ২২ অক্টোবর চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। এরপর ২৫ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে একই পরিবহনের দ্রুতগতির আরেকটি বাস সামনের বাসটিকে ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এতে বাসটির চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী আবদুল করিম ওরফে রাজীব (১৭) ও দিয়া খানম ওরফে মিম (১৬)। এ সময় আহত হন আরও নয়জন। ওই ঘটনায় ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম একটি মামলা দায়ের করেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

বাসচাপায় শিক্ষার্থী রাজীব-দিয়ার মৃত্যু, ৩ জনের যাবজ্জীবন

আপডেটের সময় : ০৫:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৯

আলোচিত রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী রাজীব ও দিয়ার বাসচাপায় মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই চালক ও এক হেলফারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই ঘটনায় দুইজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জাবালে নূর পরিবহনের বাসচালক মাসুম বিল্লাহ, মো. জোবায়ের সুমন ও মো. আসাদ কাজী। আর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- বাসমালিক মো. এনায়েত হোসেন ও মো. জাহাঙ্গীর আলম। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে মো. আসাদ কাজী পলাতক রয়েছেন।

গেল ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের জন্য রোববার দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। এর আগে গত ৭ অক্টোবর কারাগারে থাকা চার আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। মামলার আরেক আসামি জাবালে নূর পরিবহনের বাসমালিক মো. শাহদাত হোসেন আকন্দের মামলার অংশের কার্যক্রম হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে। মামলায় ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।

এর আগে ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উত্তর ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের পরিদর্শক কাজী শরীফুল ইসলাম ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। গত ২২ অক্টোবর চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। এরপর ২৫ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে একই পরিবহনের দ্রুতগতির আরেকটি বাস সামনের বাসটিকে ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এতে বাসটির চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী আবদুল করিম ওরফে রাজীব (১৭) ও দিয়া খানম ওরফে মিম (১৬)। এ সময় আহত হন আরও নয়জন। ওই ঘটনায় ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম একটি মামলা দায়ের করেন।