ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

বালাগঞ্জে ব্যস্ততা নেই কামারপল্লীতে,কেবলই হতাশা

বালাগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০
  • / ৩৭৫ টাইম ভিউ

বালাগঞ্জ থেকে : পবিত্র ঈদুল আযহার দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসলেও ব্যস্ততা নেই কামারপল্লীতে। কোরবানির পশু জবাইয়ের উপকরণ তৈরি কাজে থাকা কামাররা অনেকটাই অলস সময় পার করছেন। অথচ প্রতিবছর কোরবানির ঈদের সময় আসলে ব্যতিব্যস্ত সময় পার করতেন তারা। করোনাকালে এবারের ঈদে ভিন্ন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে কামারদের দোকানগুলোতে।

বৈশ্বিক এই মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে একদিকে কমেছে ক্রেতার সংখ্যা পাশাপাশি কাঁচা মালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নামমাত্র লাভে বিভিন্ন কোরবানির পশু জবাইয়ের সামগ্রী বিক্রী করতে হচ্ছে। উপার্জন কমে যাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাছেন তারা।

সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বালাগঞ্জ উপজেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকার রয়েছে। কুরবানি ঈদের মৌসুমে দা, ছুরি, বটি, খান্ডাসহ কোরবানির পশু জবাই করার সামগ্রী তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করতেন তারা। এই সময় এসব উপকরণ ক্রয়ে ভীড় লেগে থাকত তাদের দোকানগুলোতে।

সারাবছর খুব ভাল না কাটলেও এ সময়টাকে তারা ক্ষতি পুষিয়ে নিতেন। তবে এইবার করোনার কারণে পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। নেই তেমন ব্যস্ততা, কমে গেছে কাজের পরিধি। শুধুমাত্র দা, বটি, খান্ড সান দেওয়া ছাড়া নতুন সামগ্রী তৈরির চাহিদা নেই বললেই চলে।

বালাগঞ্জ বাজারের শংকর দে, জগন্নাথ দে, সুরেন্ড কুমার দে, রামটন্দ্র দে, মাধন চন্দ্র ধর, রমেশ চন্দ্র ধর কর্মকাররা জানান, কোরবানির সামগ্রী তৈরীর কাঁচা মালসহ কয়লা ও লোহার দাম বেড়েছে। তেমন চাহিদা না থাকায় এসব পন্য তারা সীমিত লাভে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। এখানে ১শ’ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় হাজার টাকার বিভিন্ন কোরবাণির সামগ্রী রয়েছে।

পরিবার পরিজনদের নিয়ে বড়ই দুষ চিন্তায় রয়েছেন তারা। ধার-দেনা করে ব্যবসা ধরে রাখলেও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন কর্মকাররা। অধীর চন্দ্র দে কর্মকার জানান, ঈদকে সামনে রেখে বাড়তি আয়ের আশা করলেও কাক্সিক্ষত কাজ না থাকায় হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন শত কর্মকারেরা।

রঞ্জিত দে কর্মকার বলেন, করোনার প্রভাবে রোজগার কমে যাওয়ায় নিজের পরিবারের ভরণ পাশাপাশি কারিগরদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। আগে কম পুঁজি দিয়ে এ ব্যবসা করেছি। কিন্তু এখন বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এ ব্যবসা করতে হচ্ছে।

পোস্ট শেয়ার করুন

বালাগঞ্জে ব্যস্ততা নেই কামারপল্লীতে,কেবলই হতাশা

আপডেটের সময় : ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০

বালাগঞ্জ থেকে : পবিত্র ঈদুল আযহার দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসলেও ব্যস্ততা নেই কামারপল্লীতে। কোরবানির পশু জবাইয়ের উপকরণ তৈরি কাজে থাকা কামাররা অনেকটাই অলস সময় পার করছেন। অথচ প্রতিবছর কোরবানির ঈদের সময় আসলে ব্যতিব্যস্ত সময় পার করতেন তারা। করোনাকালে এবারের ঈদে ভিন্ন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে কামারদের দোকানগুলোতে।

বৈশ্বিক এই মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে একদিকে কমেছে ক্রেতার সংখ্যা পাশাপাশি কাঁচা মালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নামমাত্র লাভে বিভিন্ন কোরবানির পশু জবাইয়ের সামগ্রী বিক্রী করতে হচ্ছে। উপার্জন কমে যাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাছেন তারা।

সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বালাগঞ্জ উপজেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকার রয়েছে। কুরবানি ঈদের মৌসুমে দা, ছুরি, বটি, খান্ডাসহ কোরবানির পশু জবাই করার সামগ্রী তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করতেন তারা। এই সময় এসব উপকরণ ক্রয়ে ভীড় লেগে থাকত তাদের দোকানগুলোতে।

সারাবছর খুব ভাল না কাটলেও এ সময়টাকে তারা ক্ষতি পুষিয়ে নিতেন। তবে এইবার করোনার কারণে পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। নেই তেমন ব্যস্ততা, কমে গেছে কাজের পরিধি। শুধুমাত্র দা, বটি, খান্ড সান দেওয়া ছাড়া নতুন সামগ্রী তৈরির চাহিদা নেই বললেই চলে।

বালাগঞ্জ বাজারের শংকর দে, জগন্নাথ দে, সুরেন্ড কুমার দে, রামটন্দ্র দে, মাধন চন্দ্র ধর, রমেশ চন্দ্র ধর কর্মকাররা জানান, কোরবানির সামগ্রী তৈরীর কাঁচা মালসহ কয়লা ও লোহার দাম বেড়েছে। তেমন চাহিদা না থাকায় এসব পন্য তারা সীমিত লাভে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। এখানে ১শ’ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় হাজার টাকার বিভিন্ন কোরবাণির সামগ্রী রয়েছে।

পরিবার পরিজনদের নিয়ে বড়ই দুষ চিন্তায় রয়েছেন তারা। ধার-দেনা করে ব্যবসা ধরে রাখলেও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন কর্মকাররা। অধীর চন্দ্র দে কর্মকার জানান, ঈদকে সামনে রেখে বাড়তি আয়ের আশা করলেও কাক্সিক্ষত কাজ না থাকায় হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন শত কর্মকারেরা।

রঞ্জিত দে কর্মকার বলেন, করোনার প্রভাবে রোজগার কমে যাওয়ায় নিজের পরিবারের ভরণ পাশাপাশি কারিগরদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। আগে কম পুঁজি দিয়ে এ ব্যবসা করেছি। কিন্তু এখন বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এ ব্যবসা করতে হচ্ছে।