ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতেবিভিন্ন চক্রান্তে লিপ্ত আ’লীগ গ্রিন সিলেট ট্রাভেলসের আয়োজনে বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস/কনসুলেট চেয়ে খোলা চিঠি স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া

বাউল ফকির’ ধরা পড়তেই স্ত্রী জানলেন স্বামী একজন সিরিয়াল কিলার

নিউজ ডেস্ক ঃ
  • আপডেটের সময় : ১০:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২২
  • / ২৮৯ টাইম ভিউ

র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া সিরিয়াল কিলার সেলিম ওরফে হেলালকে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বাউল ফকির নামে ডাকতেন প্রতিবেশীরা। রেলস্টেশনে গান গেয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন হেলাল। চার বছর ধরে ভৈরবে ছদ্মবেশে ছিলেন এ সিরিয়াল কিলার। শুক্রবার এসব আলোচনা ছিল টক অব দ্যা টাউন।

ভৈরব রেলস্টেশনে থাকাকালীন নিজের পরিচয় গোপন রেখে স্টেশনের খুদেজা বেগম ওরফে খুদি নামের ভিক্ষুকের সঙ্গে সংসার পাতেন হেলাল। খুদেজার বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল। তিনিও ভৈরব স্টেশনে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ভৈরব স্টেশনে সেলিমের সঙ্গে পরিচয় হলে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। বিয়ের পর পৌর এলাকার পঞ্চবটি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতে শুরু করেন।

গত নভেম্বরে পঞ্চবটির বাসা ছেড়ে আমলাপাড়া এলাকায় বাসা ভাড়া নেন তারা। প্রতিদিন সকালে স্ত্রী খুদেজা বাসা থেকে ভিক্ষার সন্ধানে বিভিন্ন এলাকায় চলে যেতেন আর হেলাল যেতেন রেলস্টেশনে। স্টেশন থেকে বিভিন্ন ট্রেনে চড়ে গান গাইতেন আর মানুষের দেওয়া টাকা-পয়সা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এভাবেই চলছিল খুদেজা ও সেলিমের সংসার।

বুধবার সন্ধ্যায় হেলাল র‌্যাবের হাতে ধরা পড়লে স্টেশনে ছুটে আসেন স্ত্রী খুদেজা। জানতে পারেন তার স্বামী একজন কিলার। খবর শুনে অবাক হন খুদেজাসহ এলাকার মানুষ। সেলিম হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি এ কথা কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারেনি এলাকাবাসী। কিন্তু পরদিন বিভিন্ন টিভিতে র‌্যাবের ব্রিফিং দেখে ভুল ভাঙে তাদের।

ভৈরব স্টেশনে একাধিক লোকের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সেলিম অত্যন্ত নীরব জীবনযাপন করতেন। কারো সঙ্গে তেমন কোনো কথা বলতেন না। হাঁটতেন আর গান গাইতেন। বেশভুষায় আধ্যাত্মিক হেলাল বাউল গান গেয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
সরেজমিনে সেলিমের ভাড়া বাসায় গেলে তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। বাসার মালিক আবুতাহের বলেন, আমরা বাউলকে ফকির নামে ডাকতাম। তার প্রকৃত নাম জানতাম না। আড়াই মাস আগে বাসা ভাড়া নিয়ে ফকির আমার এখানে আসেন। বাসার পাশে চায়ের দোকানদার বলেন, এত বড় খুনি আমাদের পাশে থাকতেন তা আমরা জানতামই না।

২০০১ সালে বগুড়ার চাঞ্চল্যকর মাহমুদুল হাসান বিদ্যুৎ হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হেলাল ওরফে সেলিম ফকির। এছাড়া তিনি আরো দুটি হত্যা মামলায় জড়িত থাকার কথা র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেছে বলে র‌্যাব সূত্র জানায়।

পোস্ট শেয়ার করুন

বাউল ফকির’ ধরা পড়তেই স্ত্রী জানলেন স্বামী একজন সিরিয়াল কিলার

আপডেটের সময় : ১০:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২২

র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া সিরিয়াল কিলার সেলিম ওরফে হেলালকে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বাউল ফকির নামে ডাকতেন প্রতিবেশীরা। রেলস্টেশনে গান গেয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন হেলাল। চার বছর ধরে ভৈরবে ছদ্মবেশে ছিলেন এ সিরিয়াল কিলার। শুক্রবার এসব আলোচনা ছিল টক অব দ্যা টাউন।

ভৈরব রেলস্টেশনে থাকাকালীন নিজের পরিচয় গোপন রেখে স্টেশনের খুদেজা বেগম ওরফে খুদি নামের ভিক্ষুকের সঙ্গে সংসার পাতেন হেলাল। খুদেজার বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল। তিনিও ভৈরব স্টেশনে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ভৈরব স্টেশনে সেলিমের সঙ্গে পরিচয় হলে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। বিয়ের পর পৌর এলাকার পঞ্চবটি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতে শুরু করেন।

গত নভেম্বরে পঞ্চবটির বাসা ছেড়ে আমলাপাড়া এলাকায় বাসা ভাড়া নেন তারা। প্রতিদিন সকালে স্ত্রী খুদেজা বাসা থেকে ভিক্ষার সন্ধানে বিভিন্ন এলাকায় চলে যেতেন আর হেলাল যেতেন রেলস্টেশনে। স্টেশন থেকে বিভিন্ন ট্রেনে চড়ে গান গাইতেন আর মানুষের দেওয়া টাকা-পয়সা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এভাবেই চলছিল খুদেজা ও সেলিমের সংসার।

বুধবার সন্ধ্যায় হেলাল র‌্যাবের হাতে ধরা পড়লে স্টেশনে ছুটে আসেন স্ত্রী খুদেজা। জানতে পারেন তার স্বামী একজন কিলার। খবর শুনে অবাক হন খুদেজাসহ এলাকার মানুষ। সেলিম হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি এ কথা কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারেনি এলাকাবাসী। কিন্তু পরদিন বিভিন্ন টিভিতে র‌্যাবের ব্রিফিং দেখে ভুল ভাঙে তাদের।

ভৈরব স্টেশনে একাধিক লোকের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সেলিম অত্যন্ত নীরব জীবনযাপন করতেন। কারো সঙ্গে তেমন কোনো কথা বলতেন না। হাঁটতেন আর গান গাইতেন। বেশভুষায় আধ্যাত্মিক হেলাল বাউল গান গেয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
সরেজমিনে সেলিমের ভাড়া বাসায় গেলে তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। বাসার মালিক আবুতাহের বলেন, আমরা বাউলকে ফকির নামে ডাকতাম। তার প্রকৃত নাম জানতাম না। আড়াই মাস আগে বাসা ভাড়া নিয়ে ফকির আমার এখানে আসেন। বাসার পাশে চায়ের দোকানদার বলেন, এত বড় খুনি আমাদের পাশে থাকতেন তা আমরা জানতামই না।

২০০১ সালে বগুড়ার চাঞ্চল্যকর মাহমুদুল হাসান বিদ্যুৎ হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হেলাল ওরফে সেলিম ফকির। এছাড়া তিনি আরো দুটি হত্যা মামলায় জড়িত থাকার কথা র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেছে বলে র‌্যাব সূত্র জানায়।