ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : ১২:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৭
  • / ১১৮১ টাইম ভিউ

আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও পারস্পরিক স্বার্থে একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে পৃথক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তারা।
যে কোনো সহযোগিতায় বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দেন বাংলাদেশে সফররত তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইয়ালদিরিম।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশেষ ভূমিকা রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
দুই নেতা মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ ভূমিতে ফেরত পাঠানোসহ দ্বিপক্ষীয় ও পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার এবং পরস্পরকে সমর্থন করার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এর একটি সমঝোতা স্মারক হয়েছে বাংলাদেশের এসএমই ফাউন্ডেশন এবং তুরস্কের এসএমই ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের মধ্যে।
অন্যটি হয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এবং টার্কিশ স্ট্যান্ডার্ডর্স ইনস্টিটিউশনের মধ্যে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় তুরস্ক পাশে থাকবে।
তিনি বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গাদের প্রতি অব্যাহত সমর্থনের জন্য তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়ি্যপ এরদোগানকে ধন্যবাদ জানান।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে খুবই সুদৃঢ় ও ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ক রয়েছে। তুরস্কের গণতন্ত্র ও সরকারের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থনের কথা তুরস্ক ভুলে যায়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় ও অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক ইস্যুতে খুবই ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, পর্যটন ও যোগাযোগের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে দু’দেশের সহযোগিতা সংহত করার ব্যাপারেও তিনি তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেন,দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকগুলো ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই), শিল্প উৎপাদন, স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন, সামর্থ্য বিনির্মাণ, জ্ঞান বিনিময় ও দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারে সহায়ক হবে।
এ সময় আগামীকাল বুধবার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য বিনালি ইলদিরিমকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মামুদ আলী, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রমুখ।
তুরস্কের পক্ষে ছিলেন উপপ্রধানমন্ত্রী ও তুর্কি-বাংলাদেশ যৌথ কমিশনের কো-চেয়ার বেকির বোজাগ ও বাংলাদেশে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ডেভরিম ওজতুর্ক প্রমুখ।
উল্লেখ্য, তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম দুই দিনের সরকারি সফরে সোমবার বাংলাদেশে আসেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর

আপডেটের সময় : ১২:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৭

আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও পারস্পরিক স্বার্থে একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে পৃথক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তারা।
যে কোনো সহযোগিতায় বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দেন বাংলাদেশে সফররত তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইয়ালদিরিম।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশেষ ভূমিকা রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
দুই নেতা মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ ভূমিতে ফেরত পাঠানোসহ দ্বিপক্ষীয় ও পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার এবং পরস্পরকে সমর্থন করার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এর একটি সমঝোতা স্মারক হয়েছে বাংলাদেশের এসএমই ফাউন্ডেশন এবং তুরস্কের এসএমই ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের মধ্যে।
অন্যটি হয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এবং টার্কিশ স্ট্যান্ডার্ডর্স ইনস্টিটিউশনের মধ্যে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় তুরস্ক পাশে থাকবে।
তিনি বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গাদের প্রতি অব্যাহত সমর্থনের জন্য তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়ি্যপ এরদোগানকে ধন্যবাদ জানান।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে খুবই সুদৃঢ় ও ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ক রয়েছে। তুরস্কের গণতন্ত্র ও সরকারের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থনের কথা তুরস্ক ভুলে যায়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় ও অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক ইস্যুতে খুবই ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, পর্যটন ও যোগাযোগের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে দু’দেশের সহযোগিতা সংহত করার ব্যাপারেও তিনি তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেন,দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকগুলো ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই), শিল্প উৎপাদন, স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন, সামর্থ্য বিনির্মাণ, জ্ঞান বিনিময় ও দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারে সহায়ক হবে।
এ সময় আগামীকাল বুধবার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য বিনালি ইলদিরিমকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মামুদ আলী, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রমুখ।
তুরস্কের পক্ষে ছিলেন উপপ্রধানমন্ত্রী ও তুর্কি-বাংলাদেশ যৌথ কমিশনের কো-চেয়ার বেকির বোজাগ ও বাংলাদেশে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ডেভরিম ওজতুর্ক প্রমুখ।
উল্লেখ্য, তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম দুই দিনের সরকারি সফরে সোমবার বাংলাদেশে আসেন।