আপডেট

x


অমর একুশে গ্রন্থমেলা

বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা

বুধবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | ৯:১০ অপরাহ্ণ | 1579 বার

বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা

বাংলা একাডেমির আয়োজনে প্রতিবছরের মতো এবারও শুরু হয়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকাল ৩টার পর থেকে লেখক, প্রকাশক ও পাঠকের আনাগোনায় মুখর থাকে মেলা প্রাঙ্গণ। মেলা ঘুরে ঘুরে নিজেদের পছন্দের বই কিনেন তারা। তবে মেলায় অনেক স্টলের নির্মাণকাজ এখনো চলছে। বিক্রেতারা বলেছেন, মেলার শুরু থেকেই পাঠকদের আনাগোনা বাড়লেও বিক্রি তেমন বাড়েনি। তবে সামনের দিনগুলোতে বিক্রি বাড়ার প্রত্যাশা করছেন বিক্রেতারা।
বুধবার সরেজমিনে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ঘুরে দেখা যায়, মেলায় প্রতিদিনই পাঠকদের আনাগোনা বাড়ছে।বাবা-মায়ের কোলে চড়ে ও হাতে ধরে হেঁটে মেলায় বই কিনতে এসেছে অনেক কোমলমতি শিশু।তবে মেলায় অনেক স্টলের নির্মাণকাজ এখনো চলছে। সূর্যের আলোতে খুব বেশি তেজ নেই। অনেক তরুণীকে দেখা গেছে শাড়ি পড়ে চুলের খোঁপায় ফুল গুঁজে শেষ বিকালে কোকিলের ডাক শুনতে আর বই কিনতে প্রিয়জনের হাত ধরে মেলায় আসতে।

6_6
মেলায় বই কিনছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কোয়েল আহম্মেদ। তিনি বলেন, বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা।ভালোবাসা আর প্রাণের টানে আমরা প্রতিবছরই বইমেলায় ছুটে আসি পছন্দসই বই কিনতে।
তিনি বলেন, মায়ের ভাষা রক্ষা করতে বাংলার দামাল ছেলেরা পিছপা হয়নি। আমরা তা চিরদিন স্মরণীয় রাখতে চাই। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই তাদের প্রতি, আর নতুন প্রজন্মকে জানাতে চাই তাদের সাহসী ইতিহাস।
মা তাসলিমার সঙ্গে মেলায় এসেছে আদর আর আফরিন।মেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছে আর বই কিনছে তারা।তাসলিমা যুগান্তরকে বলেন, শিশুদের নিয়ে বইমেলায় আসা খুবই জরুরি। কারণ বইমেলা থেকে শিশুরা মায়ের ভাষার ইতিহাস জানবে।
তিনি বলেন, এখনকার বেশির ভাগ শিশুরা ভালো বাংলা জানে না।কারণ অধিকাংশ শিশু ইংরেজি ভার্সনের পড়ালেখা করে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, জাতীর শেকড়ের ইতিহাস শিমুদের জানাতে অভিভাবকদের এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
মেলায় বই বিক্রি করছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আরাফাত রনি যুগান্তরকে বলেন, মেলা এখনো তেমন জমে ওঠেনি। তবে প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে। তবে ১৫ ফেব্রুয়ারির পর বেচাবিক্রি বাড়বে বলেও প্রত্যাশা করে ওই বিক্রেতা।
মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. জালাল আহমেদ জানান, মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বপালন করবে পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নিরাপত্তাকর্মীরা। নিরাপত্তার জন্য মেলায় এলাকাজুড়ে ২৫০ সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার প্রবেশ ও বাহিরপথে পর্যাপ্তসংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া গ্রন্থমেলা সম্পূর্ণ পলিথিন ও ধূমপানমুক্ত রাখা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রয়েছে।
আসন্ন অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ৬৬২ স্টল বরাদ্দ দিয়েছে বাংলা একাডেমি। গতবারের চেয়ে এবার স্টলের ইউনিট বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩৩টি।
মেলা ১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।



মন্তব্য করতে পারেন...

comments


deshdiganto.com © 2019 কপিরাইট এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত

design and development by : http://webnewsdesign.com