দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ সম্প্রতি নানা বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে বেশ পরিচিতি পেয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশি সেফাতুল্লা ‘সেফুদা’।
রাজনীতি সহ নানা সামাজিক বিষয় নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে জন্ম দিয়েছিলেন আলোচনা-সমালোচনার। তেমনই বরাবরের মতো বুধবার নিজের ফেসবুক পেইজ থেকে লাইভে আসেন সেফাতুল্লা।
সেখানে কথা বলেন সাফা কবিরের নিজেকে পরকালে অবিশ্বাসী বলে মন্তব্য করার ইস্যুতে। লাইভে তিনি সাফা কবিরের বিপক্ষে কথা বলেছেন এমন মুসলমানদের গালি গালাজ করেন।
লাইভ চলাকালীন এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কুরআনকে ছিঁড়ে ফেলেন এবং তা টয়লেটে নিক্ষেপ করেন।
এছাড়া সেফাতুল্লাকে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা শেখ হাসিনাকে অশ্রবণীয় ভাষায় গালি দিতে শোনা যায়।
সেফাতুল্লা তার লাইভ শেষে বলেন, তোরা যদি আবার সাফাকে গালি দিস তবে একই কাজ আবার করবো।
পবিত্র কোরআন শরীফকে অবমাননা করায় সেফুদার ফাঁসি দাবি করে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীরা।এদিকে এক প্রবাসী সেফুদাকে ধরে পুলিশে দিলে এক লক্ষ টাকা পুরুষ্কার ঘোষনা করলেন কাতার প্রবাসী রফিক, কাতারে অবস্থানরত মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের রজনপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ রফিক তিনির ফেসবুকে লিখেছেন পবিত্র ক্বোরআন শরীফ এর পাতা চিড়ে ফেলা ও ক্বোরআন শরীফের অবমাননা কারী সেফুদাকে গনধোলাইসহ পুলিশে দিতে পারলে এক লক্ষ টাকা পুরুষ্কার প্রদান করবেন বলে জানিয়েছেন দেশদিগন্তকে।তিনির ফেসেবুকি আইডি Rofiq Ahsmed মোবাইল নং 0097433266931 ।সারা বিশ্ব যখন এর তীব্র প্রতিবাদ করছে তখন তিনির এ ঘোষনা আরেক চমক সৃষ্টি করছেন।
ফেসবুকেও বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সেফুদার ফাঁসি দাবি করা হচ্ছে ফেসবুকেরও নানা গ্রুপের পেজ এবং ব্যাক্তিগত আইডি থেকে।
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে নানান ধরণের অশ্লীল, অসঙ্গতিপূর্ণ ও বিদ্বেষমূলক ভিডিওবার্তা ছড়িয়েও আলোচনায় আসেন সেফুদা। ১৯৯০ সাল থেকে অস্ট্রিয়ার রাজধানীর ভিয়েনায় অবস্থান করছেন সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদা। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর। লেখা-পড়া করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সেফাত উল্লাহর স্ত্রী জানান, ২৮ বছর আগে দেশ ছাড়েন তিনি। তারপর থেকেই পরিবার থেকে তিনি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। পরিবারের দাবি, বর্তমানে তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত। আর তার এমন কর্মকাণ্ডে পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজন বিব্রত।
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সেফাত উল্লাহ’র স্ত্রী বলেছিলেন, ‘সবাই, আত্মীয়-স্বজনের কাছে আমাদের মুখ নাই। কেমন লাগতেছে আমরা জানি। এখন এগুলো কি বন্ধ করার কোনো পথ নাই? ইউটিউব কি এগুলোর কোনো প্রতিকার করতে পারে না? আর উনি তো সিজোফ্রেনিয়া রোগী।
এদিকে সেফাতউল্লাহ আসলে মানসিক ভারসাম্যহীন কিনা সে বিষয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। ভিয়েনাতে তিনি চাকরি করছেন। তিনি যদি আসলেই সিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত হন তাহলে কীভাবে চাকরি সামলাচ্ছেন? তিনি একাই একটি বড় বাসায় থাকেন। পরিপাটি হয়ে অফিসে যান। অনেকেই দাবি করছেন, অতিরিক্ত মদ পানের জন্যই এমন অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন তিনি। তার প্রচুর মদ পানের প্রমাণ মেলে ফেসবুক লাইভে। প্রায়ই লাইভে তাকে মদ পান করতে দেখা যায়।
deshdiganto.com © 2019 কপিরাইট এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত
design and development by : http://webnewsdesign.com