ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

প্রয়োজনে শিক্ষকদের বিদেশে পাঠান

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২০
  • / ৩৩৮ টাইম ভিউ

কারিগরি শিক্ষার প্রসারে উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৫২৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি একটি করে কারিগরি বিষয় অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয় সুবিধা সৃষ্টি হবে।

উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দিতে প্রয়োজনে তাদেরকে বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন একনেক সভার চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) একনেক সভায় এই নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘উপজেলা পর্যায়ে যে নতুন টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) স্থাপনের প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হলো, তাতে তো শিক্ষক দিতে হবে। শিক্ষকের প্রকট অভাব আছে। এজন্য শিক্ষকদেরকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যে মানের আমরা প্রশিক্ষণ দেব…সুতরাং ক্র্যাশ প্রোগ্রাম করে শিক্ষকদের ট্রেনিং দাও। প্রয়োজন হলে শিক্ষকদের বিদেশে পাঠাও। কয়েকশ হলেও আমার আপত্তি নাই। যাক, তাড়াতাড়ি প্রশিক্ষণ নিয়ে আসুক।’

মন্ত্রী নিজের বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, ‘উনার (প্রধানমন্ত্রী) একটা আশঙ্কা রয়েছে। অনেক জায়গায় সরকারের স্থাপনা নির্মাণ করার পর দেখা যায়, লোক নাই, চেয়ার নাই, বেঞ্চ নাই, যন্ত্র নাই। এটা পরিহার করতেই হবে। এখানে (নতুন টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ প্রকল্পে) যেন এটা না হয়। ৩২৯ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ নির্মাণ করছি। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) চাচ্ছেন, এটা নির্মাণ হতে হতে যেন যন্ত্রপাতি, চেয়ার-টেবিল, শিক্ষক যেন প্রস্তুত থাকে।’

আজকের একনেক সভায় ‘উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) স্থাপন (দ্বিতীয় পর্যায়)’ নামে প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এতে সরকার খরচ করবে ২০ হাজার ৫২৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে এই কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।

একনেকে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর অন্য নির্দেশনাগুলো তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আজকে বলেছেন, শিল্পে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করতে হবে। সিইটিপি (কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার) স্থাপন প্রয়োজন হলে করতে হবে। আর জলাধার রাখো কাছে, যাতে আগুন লাগলে পানি দেয়া যায়। আগুন লাগলে অনেক সময় পানি পাওয়া যায় না। উন্নয়ন কাজের জন্য মাটি তো কাটতেই হয়। কাটা মাটিতেই একটা জলাধার হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, স্থপতিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হলো যে, আমাদের জলবায়ু, আবহাওয়ার যে বৈশিষ্ট্য, সেখানে আবদ্ধ ঘরে থাকা ঠিক নয়। একটু হাওয়া-টাওয়া চললে ভালো হবে।

পোস্ট শেয়ার করুন

প্রয়োজনে শিক্ষকদের বিদেশে পাঠান

আপডেটের সময় : ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২০

কারিগরি শিক্ষার প্রসারে উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৫২৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি একটি করে কারিগরি বিষয় অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয় সুবিধা সৃষ্টি হবে।

উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দিতে প্রয়োজনে তাদেরকে বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন একনেক সভার চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) একনেক সভায় এই নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘উপজেলা পর্যায়ে যে নতুন টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) স্থাপনের প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হলো, তাতে তো শিক্ষক দিতে হবে। শিক্ষকের প্রকট অভাব আছে। এজন্য শিক্ষকদেরকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যে মানের আমরা প্রশিক্ষণ দেব…সুতরাং ক্র্যাশ প্রোগ্রাম করে শিক্ষকদের ট্রেনিং দাও। প্রয়োজন হলে শিক্ষকদের বিদেশে পাঠাও। কয়েকশ হলেও আমার আপত্তি নাই। যাক, তাড়াতাড়ি প্রশিক্ষণ নিয়ে আসুক।’

মন্ত্রী নিজের বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, ‘উনার (প্রধানমন্ত্রী) একটা আশঙ্কা রয়েছে। অনেক জায়গায় সরকারের স্থাপনা নির্মাণ করার পর দেখা যায়, লোক নাই, চেয়ার নাই, বেঞ্চ নাই, যন্ত্র নাই। এটা পরিহার করতেই হবে। এখানে (নতুন টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ প্রকল্পে) যেন এটা না হয়। ৩২৯ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ নির্মাণ করছি। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) চাচ্ছেন, এটা নির্মাণ হতে হতে যেন যন্ত্রপাতি, চেয়ার-টেবিল, শিক্ষক যেন প্রস্তুত থাকে।’

আজকের একনেক সভায় ‘উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) স্থাপন (দ্বিতীয় পর্যায়)’ নামে প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এতে সরকার খরচ করবে ২০ হাজার ৫২৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে এই কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।

একনেকে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর অন্য নির্দেশনাগুলো তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আজকে বলেছেন, শিল্পে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করতে হবে। সিইটিপি (কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার) স্থাপন প্রয়োজন হলে করতে হবে। আর জলাধার রাখো কাছে, যাতে আগুন লাগলে পানি দেয়া যায়। আগুন লাগলে অনেক সময় পানি পাওয়া যায় না। উন্নয়ন কাজের জন্য মাটি তো কাটতেই হয়। কাটা মাটিতেই একটা জলাধার হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, স্থপতিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হলো যে, আমাদের জলবায়ু, আবহাওয়ার যে বৈশিষ্ট্য, সেখানে আবদ্ধ ঘরে থাকা ঠিক নয়। একটু হাওয়া-টাওয়া চললে ভালো হবে।