ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : ০৬:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ১০৪৯ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: টানা চতুর্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন শেখ হাসিনা। সোমবার বিকেলে সাড়ে ৩টায় এ শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়। বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে শপথ পড়ান। এই শপথের মধ্যে দিয়েই টানা তৃতীয়বারের মত রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিল আওয়ামী লীগ। আর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা চতুর্থ মেয়াদে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিয়ে গড়লেন ইতিহাস। ঐতিহাসিক এ নবযাত্রায় নতুনদের প্রতি আস্থা রাখলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের ৪৭ জনের মন্ত্রিসভায় ২৭ জনই নতুন মুখ। গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের মধ্যে ২৫৬টিতেই জয় পায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মহাজোট পায় ২৮৮টি। যার মধ্যে জাতীয় পার্টি ২২টি, জাসদ তিনটি, ওয়ার্কার্স পার্টি তিনটি, বিকল্পধারা দুটি, তরীকত ফেডারেশন একটি ও বাংলাদেশ জাসদের একটি আসন রয়েছে। অন্যদিকে, বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মাত্র সাতটি আসন পায়। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছেন তিনটি আসনে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এমপিরা ছাড়া নবনির্বাচিত সব এমপিই শপথ নেন। বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের বৈঠকে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা সংসদ নেতা নির্বাচিত হন। পরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে শেখ হাসিনাকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানান।  এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপি জোটের বর্জনের মধ্যেই দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচন হয়। ১২ জানুয়ারি গঠিত হয় নতুন মন্ত্রিসভা। ওই সময় শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করে ৪৮ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। ওই সরকারে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৯ জন মন্ত্রী, ১৭ প্রতিমন্ত্রী এবং দু’জন উপমন্ত্রী ছিলেন। পরে কয়েক দফা মন্ত্রিসভায় রদবদল আনা হলে শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিসভার আকার দাঁড়ায় ৫২ সদস্যের। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে টেকনোক্র্যাট তিন মন্ত্রীকে বাদ দেওয়া হয়।

পোস্ট শেয়ার করুন

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা

আপডেটের সময় : ০৬:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জানুয়ারী ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: টানা চতুর্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন শেখ হাসিনা। সোমবার বিকেলে সাড়ে ৩টায় এ শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়। বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে শপথ পড়ান। এই শপথের মধ্যে দিয়েই টানা তৃতীয়বারের মত রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিল আওয়ামী লীগ। আর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা চতুর্থ মেয়াদে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিয়ে গড়লেন ইতিহাস। ঐতিহাসিক এ নবযাত্রায় নতুনদের প্রতি আস্থা রাখলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের ৪৭ জনের মন্ত্রিসভায় ২৭ জনই নতুন মুখ। গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের মধ্যে ২৫৬টিতেই জয় পায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মহাজোট পায় ২৮৮টি। যার মধ্যে জাতীয় পার্টি ২২টি, জাসদ তিনটি, ওয়ার্কার্স পার্টি তিনটি, বিকল্পধারা দুটি, তরীকত ফেডারেশন একটি ও বাংলাদেশ জাসদের একটি আসন রয়েছে। অন্যদিকে, বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মাত্র সাতটি আসন পায়। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছেন তিনটি আসনে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এমপিরা ছাড়া নবনির্বাচিত সব এমপিই শপথ নেন। বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের বৈঠকে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা সংসদ নেতা নির্বাচিত হন। পরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে শেখ হাসিনাকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানান।  এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপি জোটের বর্জনের মধ্যেই দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচন হয়। ১২ জানুয়ারি গঠিত হয় নতুন মন্ত্রিসভা। ওই সময় শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করে ৪৮ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। ওই সরকারে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৯ জন মন্ত্রী, ১৭ প্রতিমন্ত্রী এবং দু’জন উপমন্ত্রী ছিলেন। পরে কয়েক দফা মন্ত্রিসভায় রদবদল আনা হলে শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিসভার আকার দাঁড়ায় ৫২ সদস্যের। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে টেকনোক্র্যাট তিন মন্ত্রীকে বাদ দেওয়া হয়।