প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিরাপত্তায় ৭শ’ এসপিবিএন সদস্য
- আপডেটের সময় : ০২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০১৭
- / ১০০৯ টাইম ভিউ
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনের পর এবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নিরাপত্তায় মাঠে নামছে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট এসপিবিএন (স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন)। এর আগে এই ইউনিটটি সোয়া চার বছর ধরে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে আসছে।
আজ সকাল ৯টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এসপিবিএনের প্রায় সাতশ’ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন শুরু করবে। স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সঙ্গে সমন্বয় করে এ বাহিনী কাজ করবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ দেশি-বিদেশি অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিভিআইপি) নিরাপত্তা দিতে পুলিশের নতুন বিশেষায়িত ব্যাটালিয়ন এসপিবিএন এর যাত্রা শুরু হয় ২০১৩ সালের ৫ জুলাই। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে এসপিবিএন-১ এর প্রায় দুই শত সদস্য মোতায়েন করা হয়। শুরু থেকে এসপিবিএন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করতে থাকে। এসপিবিএনের জন্য যানবাহন বৃদ্ধি করে সরকার। তাদের জন্য বিদেশে বিশেষ প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হয়। গণভবনের চারদিকের সীমানা প্রাচীর ও এর চৌকিতে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে এসপিবিএন। গণভবনে প্রবেশ করা গাড়িও তল্লাশি চালায় তারা।
এসপিবিএনের একটি সূত্র জানায়, গণভবনের মত একইভাবে তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চারদিকের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন চৌকিগুলোতে নজরদারি করার জন্য তাদের মোতায়েন করা হবে। এছাড়া কার্যালয়ের প্রবেশ গেটে পুলিশের বিশেষ শাখার সদস্যদের সঙ্গে তারা কাজ করবে।
একজন এডিশনাল ডিআইজির নেতৃত্বে প্রায় সাতশ’ সদস্য আজ থেকে মোতায়েন করা হবে। দায়িত্ব পালন করার সময় তাদের হাতে থাকবে ৭.৬২ ক্যালিবারের চাইনিজ রাইফেল। গাঢ় নীল রঙের প্যান্ট ও ধূসর রঙের শার্ট পরিহিত এসপিবিএন সদস্যদের এই নিরাপত্তায় নিয়োজিত হওয়া সম্পর্কে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘এটির কারণে পুলিশের সেবামূলক কার্যক্রম আরো একধাপ এগিয়ে গেলো।’