ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুন ২০২০
  • / ৭২৮ টাইম ভিউ

দেশ দিগন্ত ডেক্স: গত ৫ই জুন কালের কন্ঠ নামে একটি অনলাইন পোর্টাল ও আরেকটি অনলাইনে প্রকাশিত ” ইউ পি সদস্য আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ ” শিরোনামে সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোঁচর হয়েছে। সেই অনলাইন গুলোতে লিখা হয়েছে আমি নাকি চা বিক্রেতা থেকে মেম্বারি করে এখন কোটিপতি। এছাড়াও আমার নাকি ২০ ভাই গ্রুপ রয়েছে, এবং এলাকায় বয়স্ক,প্রতিবন্ধী ভাতা বই ও নলকূপ নিতে আগে উৎকোচ দিতে হয় ও কর্মসূজন কর্মসূচী প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ সহ প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার নগদ ২৫০০ টাকার তালিকায় স্বজনপ্রীতি করেছি। যা সম্পূর্ণরুপে মিথ্যা- বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ, আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এলাকায় আমার কিছু রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী দুষ্কৃতকারী লোক আছে যারা সব-সময়ই আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা বিভিন্ন মিডিয়াকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে বলে আমি মনে করি। প্রকৃত পক্ষে আমি ছাত্র জীবনে লেখাপড়া শেষ করে জীবিকার তাগিদে সৌদিআরব এ চলে যাই, সেখানে দীর্ঘ ১৪ বছর চাকুরী শেষ করে দেশে চলে আসি। এলাকায় আসার পর স্থানীয় জনগন আমাকে ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদে প্রাথী হতে অনুরোধ জানান, সবার চাপাচাপি ও অনুরোধে ২০১১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হাজিপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হয়েই বিপুল ভোটে জনগন আমাকে নির্বাচিত করে।

২০১৬ সালে ২য় বারের মতো ওয়ার্ডের জনগন আবারো আমাকে বিপুল ভোটে মেম্বার পদে জয়লাভ করায়। সবার দেওয়া ভোট ও সমর্থনে আমি সততা ও সুনামের সহিত এলাকার সবার মতামত নিয়ে মিলেমিশে কাজ করে যাচ্ছি। এখানে উল্লেখ্য যে, অনেকে হয়তো জানেন না যে, আমার দাদা ডাঃ শরাফত আলী পাকিস্তান আমল থেকে ডাক্তারি পেশা চালিয়ে একজন ধনাট্য ব্যাক্তি হিসেবে এলাকায় সুপরিচিত। তিনি এলাকার দরিদ্র অসহায়দের কথা চিন্তা করে নিজ উদোগ্যে প্রায় ৫২ কিয়ার জায়গার উপর হাসপাতাল, মাদ্রাসা, মসজিদ ও ঢাকায় ৩টি বিল্ডিং ফজল ভাগ ষ্টেট নামে ওয়াকফ করে দিয়েছেন। আমার বাবা মৃত আব্দুর রহমান মনু গাজিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি ও মনু ওয়ারল্যাস অফিসের জমি দান করেছেন।

এছাড়াও আমার দুই চাচা আশরাফ আলী ও আছদ্দর আলী মনু উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য ৩০ শতক জায়গা, ঈসমাইলপুর পূর্ব পাঞ্জেগানা মসজিদে ৪ কিয়ার, ঈসমাইলপুর জামে মসজিদে ২২ শতক ও পূূূূর্ব গাজিপুর পাঞ্জেগানা মসজিদের জন্য ১৫ শতক জায়গা দান করেছেন। এছাড়াও এলাকার অসহায় ও বিপদগ্রস্ত মানুষের যেকোনো সমস্যায় আমাদের পরিবারের সদস্যরা সবসমই পাশে থাকার চেষ্টা করেন।

সম্প্রতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ফেসবুক মাধ্যমে দেখতে পেলাম আমার ওয়ার্ডের বাঘমারা গ্রামের সচিন্দ্র মালাকার অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি নাকি কোনো কিছু পাননি সত্য ঘটনা হলো উনার দুই ছেলে বিদেশে রয়েছেন তাই উনার পরির্বতে তাহার ভাইয়ের পরিবার সহ বাড়ির অন্যদের সরকারী নানা সুযোগে সুবিধা দেওয়া হয়েছে। আমি কোনো দিন আমার ওয়ার্ডের জনগনের কাছ থেকে একটি টাকাও নেইনি বা নেওয়ার প্রয়োজন ও মনে করিনা। আল্লাহ আমাকে যা দিয়েছেন সেই সব নিয়েই আমি মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার জনপ্রিয়তা দেখে একটি গ্রুপ হিংসার বশবর্তী হয়ে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে মিডিয়ায় ভূল তথ্য দিয়ে আমার বিরোদ্বে এসব মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে। অনলাইনে প্রকাশিত এসব মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

শেখ আব্দুর রউফ
ইউপি সদস্য, ৪ নং ওয়ার্ড, হাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদ, কুলাউড়া, মৌলভীবাজার।

পোস্ট শেয়ার করুন

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

আপডেটের সময় : ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুন ২০২০

দেশ দিগন্ত ডেক্স: গত ৫ই জুন কালের কন্ঠ নামে একটি অনলাইন পোর্টাল ও আরেকটি অনলাইনে প্রকাশিত ” ইউ পি সদস্য আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ ” শিরোনামে সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোঁচর হয়েছে। সেই অনলাইন গুলোতে লিখা হয়েছে আমি নাকি চা বিক্রেতা থেকে মেম্বারি করে এখন কোটিপতি। এছাড়াও আমার নাকি ২০ ভাই গ্রুপ রয়েছে, এবং এলাকায় বয়স্ক,প্রতিবন্ধী ভাতা বই ও নলকূপ নিতে আগে উৎকোচ দিতে হয় ও কর্মসূজন কর্মসূচী প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ সহ প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার নগদ ২৫০০ টাকার তালিকায় স্বজনপ্রীতি করেছি। যা সম্পূর্ণরুপে মিথ্যা- বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ, আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এলাকায় আমার কিছু রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী দুষ্কৃতকারী লোক আছে যারা সব-সময়ই আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা বিভিন্ন মিডিয়াকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে বলে আমি মনে করি। প্রকৃত পক্ষে আমি ছাত্র জীবনে লেখাপড়া শেষ করে জীবিকার তাগিদে সৌদিআরব এ চলে যাই, সেখানে দীর্ঘ ১৪ বছর চাকুরী শেষ করে দেশে চলে আসি। এলাকায় আসার পর স্থানীয় জনগন আমাকে ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদে প্রাথী হতে অনুরোধ জানান, সবার চাপাচাপি ও অনুরোধে ২০১১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হাজিপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হয়েই বিপুল ভোটে জনগন আমাকে নির্বাচিত করে।

২০১৬ সালে ২য় বারের মতো ওয়ার্ডের জনগন আবারো আমাকে বিপুল ভোটে মেম্বার পদে জয়লাভ করায়। সবার দেওয়া ভোট ও সমর্থনে আমি সততা ও সুনামের সহিত এলাকার সবার মতামত নিয়ে মিলেমিশে কাজ করে যাচ্ছি। এখানে উল্লেখ্য যে, অনেকে হয়তো জানেন না যে, আমার দাদা ডাঃ শরাফত আলী পাকিস্তান আমল থেকে ডাক্তারি পেশা চালিয়ে একজন ধনাট্য ব্যাক্তি হিসেবে এলাকায় সুপরিচিত। তিনি এলাকার দরিদ্র অসহায়দের কথা চিন্তা করে নিজ উদোগ্যে প্রায় ৫২ কিয়ার জায়গার উপর হাসপাতাল, মাদ্রাসা, মসজিদ ও ঢাকায় ৩টি বিল্ডিং ফজল ভাগ ষ্টেট নামে ওয়াকফ করে দিয়েছেন। আমার বাবা মৃত আব্দুর রহমান মনু গাজিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি ও মনু ওয়ারল্যাস অফিসের জমি দান করেছেন।

এছাড়াও আমার দুই চাচা আশরাফ আলী ও আছদ্দর আলী মনু উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য ৩০ শতক জায়গা, ঈসমাইলপুর পূর্ব পাঞ্জেগানা মসজিদে ৪ কিয়ার, ঈসমাইলপুর জামে মসজিদে ২২ শতক ও পূূূূর্ব গাজিপুর পাঞ্জেগানা মসজিদের জন্য ১৫ শতক জায়গা দান করেছেন। এছাড়াও এলাকার অসহায় ও বিপদগ্রস্ত মানুষের যেকোনো সমস্যায় আমাদের পরিবারের সদস্যরা সবসমই পাশে থাকার চেষ্টা করেন।

সম্প্রতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ফেসবুক মাধ্যমে দেখতে পেলাম আমার ওয়ার্ডের বাঘমারা গ্রামের সচিন্দ্র মালাকার অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি নাকি কোনো কিছু পাননি সত্য ঘটনা হলো উনার দুই ছেলে বিদেশে রয়েছেন তাই উনার পরির্বতে তাহার ভাইয়ের পরিবার সহ বাড়ির অন্যদের সরকারী নানা সুযোগে সুবিধা দেওয়া হয়েছে। আমি কোনো দিন আমার ওয়ার্ডের জনগনের কাছ থেকে একটি টাকাও নেইনি বা নেওয়ার প্রয়োজন ও মনে করিনা। আল্লাহ আমাকে যা দিয়েছেন সেই সব নিয়েই আমি মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার জনপ্রিয়তা দেখে একটি গ্রুপ হিংসার বশবর্তী হয়ে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে মিডিয়ায় ভূল তথ্য দিয়ে আমার বিরোদ্বে এসব মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে। অনলাইনে প্রকাশিত এসব মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

শেখ আব্দুর রউফ
ইউপি সদস্য, ৪ নং ওয়ার্ড, হাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদ, কুলাউড়া, মৌলভীবাজার।