ঢাকা , বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
পর্তুগালে মানবিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন “সদিচ্ছা ফাউন্ডেশন” এর লোগো সম্বলিত টি শার্ট উন্মোচন যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুন ২০২০
  • / ৭৭০ টাইম ভিউ

দেশ দিগন্ত ডেক্স: গত ৫ই জুন কালের কন্ঠ নামে একটি অনলাইন পোর্টাল ও আরেকটি অনলাইনে প্রকাশিত ” ইউ পি সদস্য আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ ” শিরোনামে সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোঁচর হয়েছে। সেই অনলাইন গুলোতে লিখা হয়েছে আমি নাকি চা বিক্রেতা থেকে মেম্বারি করে এখন কোটিপতি। এছাড়াও আমার নাকি ২০ ভাই গ্রুপ রয়েছে, এবং এলাকায় বয়স্ক,প্রতিবন্ধী ভাতা বই ও নলকূপ নিতে আগে উৎকোচ দিতে হয় ও কর্মসূজন কর্মসূচী প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ সহ প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার নগদ ২৫০০ টাকার তালিকায় স্বজনপ্রীতি করেছি। যা সম্পূর্ণরুপে মিথ্যা- বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ, আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এলাকায় আমার কিছু রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী দুষ্কৃতকারী লোক আছে যারা সব-সময়ই আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা বিভিন্ন মিডিয়াকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে বলে আমি মনে করি। প্রকৃত পক্ষে আমি ছাত্র জীবনে লেখাপড়া শেষ করে জীবিকার তাগিদে সৌদিআরব এ চলে যাই, সেখানে দীর্ঘ ১৪ বছর চাকুরী শেষ করে দেশে চলে আসি। এলাকায় আসার পর স্থানীয় জনগন আমাকে ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদে প্রাথী হতে অনুরোধ জানান, সবার চাপাচাপি ও অনুরোধে ২০১১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হাজিপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হয়েই বিপুল ভোটে জনগন আমাকে নির্বাচিত করে।

২০১৬ সালে ২য় বারের মতো ওয়ার্ডের জনগন আবারো আমাকে বিপুল ভোটে মেম্বার পদে জয়লাভ করায়। সবার দেওয়া ভোট ও সমর্থনে আমি সততা ও সুনামের সহিত এলাকার সবার মতামত নিয়ে মিলেমিশে কাজ করে যাচ্ছি। এখানে উল্লেখ্য যে, অনেকে হয়তো জানেন না যে, আমার দাদা ডাঃ শরাফত আলী পাকিস্তান আমল থেকে ডাক্তারি পেশা চালিয়ে একজন ধনাট্য ব্যাক্তি হিসেবে এলাকায় সুপরিচিত। তিনি এলাকার দরিদ্র অসহায়দের কথা চিন্তা করে নিজ উদোগ্যে প্রায় ৫২ কিয়ার জায়গার উপর হাসপাতাল, মাদ্রাসা, মসজিদ ও ঢাকায় ৩টি বিল্ডিং ফজল ভাগ ষ্টেট নামে ওয়াকফ করে দিয়েছেন। আমার বাবা মৃত আব্দুর রহমান মনু গাজিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি ও মনু ওয়ারল্যাস অফিসের জমি দান করেছেন।

এছাড়াও আমার দুই চাচা আশরাফ আলী ও আছদ্দর আলী মনু উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য ৩০ শতক জায়গা, ঈসমাইলপুর পূর্ব পাঞ্জেগানা মসজিদে ৪ কিয়ার, ঈসমাইলপুর জামে মসজিদে ২২ শতক ও পূূূূর্ব গাজিপুর পাঞ্জেগানা মসজিদের জন্য ১৫ শতক জায়গা দান করেছেন। এছাড়াও এলাকার অসহায় ও বিপদগ্রস্ত মানুষের যেকোনো সমস্যায় আমাদের পরিবারের সদস্যরা সবসমই পাশে থাকার চেষ্টা করেন।

সম্প্রতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ফেসবুক মাধ্যমে দেখতে পেলাম আমার ওয়ার্ডের বাঘমারা গ্রামের সচিন্দ্র মালাকার অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি নাকি কোনো কিছু পাননি সত্য ঘটনা হলো উনার দুই ছেলে বিদেশে রয়েছেন তাই উনার পরির্বতে তাহার ভাইয়ের পরিবার সহ বাড়ির অন্যদের সরকারী নানা সুযোগে সুবিধা দেওয়া হয়েছে। আমি কোনো দিন আমার ওয়ার্ডের জনগনের কাছ থেকে একটি টাকাও নেইনি বা নেওয়ার প্রয়োজন ও মনে করিনা। আল্লাহ আমাকে যা দিয়েছেন সেই সব নিয়েই আমি মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার জনপ্রিয়তা দেখে একটি গ্রুপ হিংসার বশবর্তী হয়ে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে মিডিয়ায় ভূল তথ্য দিয়ে আমার বিরোদ্বে এসব মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে। অনলাইনে প্রকাশিত এসব মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

শেখ আব্দুর রউফ
ইউপি সদস্য, ৪ নং ওয়ার্ড, হাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদ, কুলাউড়া, মৌলভীবাজার।

পোস্ট শেয়ার করুন

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

আপডেটের সময় : ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুন ২০২০

দেশ দিগন্ত ডেক্স: গত ৫ই জুন কালের কন্ঠ নামে একটি অনলাইন পোর্টাল ও আরেকটি অনলাইনে প্রকাশিত ” ইউ পি সদস্য আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ ” শিরোনামে সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোঁচর হয়েছে। সেই অনলাইন গুলোতে লিখা হয়েছে আমি নাকি চা বিক্রেতা থেকে মেম্বারি করে এখন কোটিপতি। এছাড়াও আমার নাকি ২০ ভাই গ্রুপ রয়েছে, এবং এলাকায় বয়স্ক,প্রতিবন্ধী ভাতা বই ও নলকূপ নিতে আগে উৎকোচ দিতে হয় ও কর্মসূজন কর্মসূচী প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ সহ প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার নগদ ২৫০০ টাকার তালিকায় স্বজনপ্রীতি করেছি। যা সম্পূর্ণরুপে মিথ্যা- বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ, আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এলাকায় আমার কিছু রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী দুষ্কৃতকারী লোক আছে যারা সব-সময়ই আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা বিভিন্ন মিডিয়াকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে বলে আমি মনে করি। প্রকৃত পক্ষে আমি ছাত্র জীবনে লেখাপড়া শেষ করে জীবিকার তাগিদে সৌদিআরব এ চলে যাই, সেখানে দীর্ঘ ১৪ বছর চাকুরী শেষ করে দেশে চলে আসি। এলাকায় আসার পর স্থানীয় জনগন আমাকে ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদে প্রাথী হতে অনুরোধ জানান, সবার চাপাচাপি ও অনুরোধে ২০১১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হাজিপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হয়েই বিপুল ভোটে জনগন আমাকে নির্বাচিত করে।

২০১৬ সালে ২য় বারের মতো ওয়ার্ডের জনগন আবারো আমাকে বিপুল ভোটে মেম্বার পদে জয়লাভ করায়। সবার দেওয়া ভোট ও সমর্থনে আমি সততা ও সুনামের সহিত এলাকার সবার মতামত নিয়ে মিলেমিশে কাজ করে যাচ্ছি। এখানে উল্লেখ্য যে, অনেকে হয়তো জানেন না যে, আমার দাদা ডাঃ শরাফত আলী পাকিস্তান আমল থেকে ডাক্তারি পেশা চালিয়ে একজন ধনাট্য ব্যাক্তি হিসেবে এলাকায় সুপরিচিত। তিনি এলাকার দরিদ্র অসহায়দের কথা চিন্তা করে নিজ উদোগ্যে প্রায় ৫২ কিয়ার জায়গার উপর হাসপাতাল, মাদ্রাসা, মসজিদ ও ঢাকায় ৩টি বিল্ডিং ফজল ভাগ ষ্টেট নামে ওয়াকফ করে দিয়েছেন। আমার বাবা মৃত আব্দুর রহমান মনু গাজিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি ও মনু ওয়ারল্যাস অফিসের জমি দান করেছেন।

এছাড়াও আমার দুই চাচা আশরাফ আলী ও আছদ্দর আলী মনু উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য ৩০ শতক জায়গা, ঈসমাইলপুর পূর্ব পাঞ্জেগানা মসজিদে ৪ কিয়ার, ঈসমাইলপুর জামে মসজিদে ২২ শতক ও পূূূূর্ব গাজিপুর পাঞ্জেগানা মসজিদের জন্য ১৫ শতক জায়গা দান করেছেন। এছাড়াও এলাকার অসহায় ও বিপদগ্রস্ত মানুষের যেকোনো সমস্যায় আমাদের পরিবারের সদস্যরা সবসমই পাশে থাকার চেষ্টা করেন।

সম্প্রতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ফেসবুক মাধ্যমে দেখতে পেলাম আমার ওয়ার্ডের বাঘমারা গ্রামের সচিন্দ্র মালাকার অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি নাকি কোনো কিছু পাননি সত্য ঘটনা হলো উনার দুই ছেলে বিদেশে রয়েছেন তাই উনার পরির্বতে তাহার ভাইয়ের পরিবার সহ বাড়ির অন্যদের সরকারী নানা সুযোগে সুবিধা দেওয়া হয়েছে। আমি কোনো দিন আমার ওয়ার্ডের জনগনের কাছ থেকে একটি টাকাও নেইনি বা নেওয়ার প্রয়োজন ও মনে করিনা। আল্লাহ আমাকে যা দিয়েছেন সেই সব নিয়েই আমি মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার জনপ্রিয়তা দেখে একটি গ্রুপ হিংসার বশবর্তী হয়ে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে মিডিয়ায় ভূল তথ্য দিয়ে আমার বিরোদ্বে এসব মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে। অনলাইনে প্রকাশিত এসব মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

শেখ আব্দুর রউফ
ইউপি সদস্য, ৪ নং ওয়ার্ড, হাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদ, কুলাউড়া, মৌলভীবাজার।