পিতার লাশ মর্গে রেখেই এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন শরমিন
- আপডেটের সময় : ০১:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
- / ৯৬৯ টাইম ভিউ
দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ হতভাগ্য কন্যা শারমিনের পিতা সিএনজি অটোরিক্সা চালক আবদুল মোনাফ (৩৮)। ৮ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার পদুয়া পদ্মবিল এলাকা থেকে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়।
আজ শনিবার এসএসসি পরিক্ষার্থী দের অঙ্ক পরীক্ষা ছিল,শরমিন পিতার লাশ মর্গে তখন অন্য শিক্ষার্থীর মতো পরিক্ষা দিতে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে। এমনই এক হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ধলিবিলা সাইর পাড়া এলাকায়।
শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যায় পাবিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে নিহত মোনাফের লাশ।
এ ঘটনায় আজ লোহাগাড়া থানায় নিহতের স্ত্রী খতিজা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান লোহাগাড়া থানার ওসি সাইফুল ইসলাম।
তিনি জানান, হত্যাকারী যেই হোক তদন্তপূর্বক আইনের আওতায় আনা হবে।
অভিযোগে প্রকাশ, ৭ ফেব্রুয়ারী তার স্বামী যথানিয়মে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। পরে পদুয়া থেকে এলাকাবাসীর দেয়া তথ্য মতে লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত আবদুল মোনাফ কন্যা পদুয়া এসআই চৌধুরী বালিকা বিদ্যালয় হতে এসএসসি পরীক্ষার্থী হিসেবে দক্ষিণ সাতকানিয়া গোলামবারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অংক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
পরীক্ষা কেন্দ্রে শরমিন বাবার কথা মনে করে বার বার শিউরে উঠেন বলে তার একাদিক সহপাঠি জানান। লাশ দাফনের সময় কন্যা ও পরিবারের লোকজনের আহাজারিতে এলাকার আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠে।
আগামী দিনে এ কন্যার ভবিষ্যত কি হবে? শংকা প্রকাশ করছেন জানাজা পড়তে আসা লোকজন। নিতান্ত সহায়-সম্বলহীন সিএনজি চালক আবদুল মোনাফ তিল তিল করে কন্যা করে গড়ে তুলছিলেন। নিয়তি তার স্বপ্ন চুরমার করে দিল। কন্যার ভবিষ্যৎ সুন্দর করতে তারা দানশীল ব্যক্তিবর্গের দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করেছেন।