ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেট আকস্মিক বন্যা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০
  • / ৩৩৮ টাইম ভিউ

প্রবল বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নদনদীর পানি। প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। পানিবন্দি হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।
শনিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ শহর পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ তথ্য জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান। তিনি জানান, সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে শহরের কাজিরপয়েন্ট, রিভারভিউ, উকিলপাড়া এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
সিলেটে পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল। এ ছাড়াও জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, বিশ্বনাথ ও বালাগঞ্জ উপজেলায় নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট উপজেলায় বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি জানান, পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের নিম্নাঞ্চল। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। গোয়াইনঘাট উপজেলার পানিবন্দি ৫০ হাজার মানুষকে আশ্রয় দিতে একটি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও ৬০টি স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব। তিনি বলেন, ‘পানিবন্দি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়াসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। তবে, করোনাভাইরাসজনিত সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়টা বিবেচনায় নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নদনদীর পানি। প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। পানিবন্দি হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।
শনিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ শহর পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ তথ্য জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান। তিনি জানান, সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে শহরের কাজিরপয়েন্ট, রিভারভিউ, উকিলপাড়া এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
সিলেটে পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল। এ ছাড়াও জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, বিশ্বনাথ ও বালাগঞ্জ উপজেলায় নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট উপজেলায় বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি জানান, পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের নিম্নাঞ্চল। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। গোয়াইনঘাট উপজেলার পানিবন্দি ৫০ হাজার মানুষকে আশ্রয় দিতে একটি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও ৬০টি স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব। তিনি বলেন, ‘পানিবন্দি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়াসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। তবে, করোনাভাইরাসজনিত সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়টা বিবেচনায় নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।

পোস্ট শেয়ার করুন

পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেট আকস্মিক বন্যা

আপডেটের সময় : ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০

প্রবল বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নদনদীর পানি। প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। পানিবন্দি হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।
শনিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ শহর পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ তথ্য জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান। তিনি জানান, সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে শহরের কাজিরপয়েন্ট, রিভারভিউ, উকিলপাড়া এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
সিলেটে পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল। এ ছাড়াও জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, বিশ্বনাথ ও বালাগঞ্জ উপজেলায় নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট উপজেলায় বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি জানান, পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের নিম্নাঞ্চল। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। গোয়াইনঘাট উপজেলার পানিবন্দি ৫০ হাজার মানুষকে আশ্রয় দিতে একটি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও ৬০টি স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব। তিনি বলেন, ‘পানিবন্দি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়াসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। তবে, করোনাভাইরাসজনিত সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়টা বিবেচনায় নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নদনদীর পানি। প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। পানিবন্দি হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।
শনিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ শহর পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ তথ্য জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান। তিনি জানান, সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে শহরের কাজিরপয়েন্ট, রিভারভিউ, উকিলপাড়া এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
সিলেটে পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল। এ ছাড়াও জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, বিশ্বনাথ ও বালাগঞ্জ উপজেলায় নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট উপজেলায় বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি জানান, পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের নিম্নাঞ্চল। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। গোয়াইনঘাট উপজেলার পানিবন্দি ৫০ হাজার মানুষকে আশ্রয় দিতে একটি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও ৬০টি স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব। তিনি বলেন, ‘পানিবন্দি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়াসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। তবে, করোনাভাইরাসজনিত সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়টা বিবেচনায় নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।