ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

পাসপোর্ট করার নিয়মাবলী (নতুন/রি-ইস্যু/তথ্য পরিবর্তন)

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ১২৩৮ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: নিজের পাসপোর্ট থাকা জরুরি। ব্যবসা, চাকরি, ভ্রমণ, লেখাপড়া যে কারণেই হোক না কেন প্রতিদিনের অনেক প্রয়োজনীয় কাজকর্মে ব্যবহার হয় এ পাসপোর্ট। আজকে পাসপোর্ট করার নিয়ম, কিভাবে অনলাইনে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট করবেন কোন ঝমেলা ছাড়া সেই ধাপগুলো আলোচনা করবো।

নতুন পাসপোর্ট করবেন কিভাবে:
প্রথমে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে জমা স্লিপ গ্রহন করুন। স্লিপে আপনার নামটি সেভাবেই লিখুন যেভাবে পাসপোর্টে দেখতে চান । এখন (www.passport.gov.bd /Application-1.a…) এই লিংকে যান এবং সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরন করুন। পূরন করে সেভ ও নেক্সট অপশন সিলেক্ট করে পরের পাতায় গিয়ে পরের পাতাটিও পূরন করুন। পেমেন্ট অপশনে আপনি যে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে তার বিবরণ নির্ভুলভাবে লিখবেন- ব্যাংকের নাম, শাখার নাম, টাকার পরিমান ও রশিদ নম্বর।

পূরণ করা শেষ হলে আবার একটু মিলিয়ে দেখুন সকল তথ্য সঠিক আছে কিনা বা কোনো ভুল আছে কিনা, থেকে থাকলে সংশোধন করে নিন। তারপর ফাইলটি ডাইনলোড করে প্রিন্ট দিন। আপনার ডাটা এন্ট্রি হয়ে গেলো। সাধারনত এই তথ্য সার্ভারে ১৫ দিন থাকে। তাই ১৫ দিনের মধ্যেই আপনাকে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে না হলে আবার নতুন করে ফরম ফিলাপ করতে হবে।

দুই সেট ফরমের (মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে ১ কপি (নিচে বিস্তারিত রয়েছে) প্রিন্ট বের করে এখন দুটোতেই যথা স্থানে আঠা দিয়ে ছবি সংযুক্ত করুন, নিজে স্বাক্ষর দিন এবং সাথে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি/জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি, আপনার পেশার প্রমাণপত্রের ফটোকপি সংযুক্ত করুন।

এখন আপনাকে ফাইল দুটো সত্যায়ন করাতে হবে। তো কাকে দিয়ে করাবেন সত্যায়ন। কোনো পরিচিত বড়সড় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা অথবা নোটারী পাবলিকের অ্যাডভোকেট দ্বারা সত্যায়ন করতে পারবেন। এখন আপনার পাসপোর্ট ফাইল তৈরি, এখন জমা দেওয়ার পালা।

একদিন চলে যান নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে। আপনি যেহেতু অনলাইনে আগে থেকেই পূরন করেছেন তাই আপনাকে ডাটা এন্ট্রি করতে হবে না। পাসপোর্ট অফিসে কষ্ট অর্ধেক কমে গেল। আপনি শুধু ছবি তোলা, বায়োমেট্রিক করা ও স্বাক্ষর দেয়ার জন্য লাইনে দাঁড়াবেন এবং ফাইল জমা দিবেন। মনে রাখবেন সাদা শার্ট বা সাদা কাপড় পরে যাবেন না, সাদা কাপড়ে ছবি তুলবে না। সাদা ব্যাতীত অন্য যেকোনো রঙিন কাপড় পড়ে ছবি তুলতে পারবেন।

কাজ হয়ে গেলে আপনাকে একটি স্লিপ দেয়া হবে সেটাতে পাসপোর্ট ডেলিভারি তারিখ উল্লেখ্য থাকবে। তবে সেটা মূখ্য নয়; পাসপোর্টে দেয়া আপনার নাম্বারে কনফারমেশন মেসেজ আসার পরেই পাসপোর্ট আনতে যেতে পারবেন।

ম্যানুয়ালি পূরন করতে চাইলে হার্ড কপি এই লিন্ক থেকে নামিয়ে নিন:
http://passport.gov.bd /Reports/MRP_Application_Form [Hard%20Copy].pdf

বি:দ্র: অবশ্যই ফর্ম য্খন প্রিন্ট করবেন, তখন কাগজের উভয় পাশ প্রিন্ট করাবেন। এক পাশ প্রিন্টে অনেক সময় ঝামেলা করে।

নতুন আবেদনের ক্ষেত্রে
একটি ফরম যাদের জন্য প্রযোজ্য:
সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার স্থায়ী কর্মকর্তা/ কর্মচারী ও তাদের নির্ভরশীল স্বামী/স্ত্রী এবং সরকারি চাকুরীজীবীর (১৫) বৎসরের কম বয়সী সন্তান।

সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাষিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার স্থায়ী কর্মকর্তা/ কর্মচারী, যাদের প্রাসঙ্গিক জিও (GO) আছে।

অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরীজীবী ও তাদের নির্ভরশীল স্বামী/স্ত্রী। এক্ষেত্রে অবসর গ্রহণের সনদ দাখিল করতে হবে।

এছাড়া রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে শুধু মাত্র রি-ইস্যু ফরম (একটি) ব্যাবহার করতে হবে।

দুইটি ফরম যাদের জন্য প্রযোজ্য
নতুন পাসপোর্টের জন্য।
১২ বছর উত্তীর্ণ হাতে লেখা পাসপোর্টের ক্ষেত্রে।
পূর্ববর্তী পাসপোর্টের স্হায়ী ঠিকানা পরিবর্তন হলে।

যে সকল ব্যক্তিরা পাসপোর্টের আবেদনপত্র ও ছবি প্রত্যায়ন ও সত্যায়ন করতে পারবেন:
সংসদ সদস্য, সিটি করপোরেশনের মেয়র, ডেপুটি মেয়র ও কাউন্সিলরগণ, কাউন্সিলরগণ, গেজেটেডড কর্মকর্তা, পাবলিক বিশ্বিদ্যালয়ের শিক্ষক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও পৌর কাউন্সিলরগণ, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, বেসরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক, নোটারী পাবলিক ও আধা সরকারি/ স্বায়ত্বশাসিত/রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার জাতীয় বেতন স্কেলের ৭ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের কর্মকর্তাগণ।

রি-ইস্যু
মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি.) এর রি-ইস্যু, তথ্য পরিবর্তন ও সংশোধন করার জন্য শুধুমাত্র রি-ইস্যু ফরমটি ব্যবহার করতে হবে। নিচে ডাউনলোড লিংক দেয়া আছে। যাদের আগেও এমআরপি. আছে তারা (মেয়াদ থাকা অবস্থায় বা সদ্য মেয়াদ শেষ অবস্থায় পুনরায় আবেদনের জন্য/কোন ধরনের সংশোধনের জন্য/তথ্য পরিবর্তনের জন্য) পাসপোর্ট নতুনভাবে করতে গেলে শুধু এই ফরমটি পূরন করবেন।

তাদের জন্য এমআরপি এর সম্পূর্ন ফরমটি পূরণ করার কোনো প্রয়োজন নেই। আর যাদের পাসপোর্ট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে তাদেরকে এমআরপি এর ফরমটিও এক কপি পূরণ করতে হবে।

মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে প্রতিবছরের জন্য ৩৪৫ টাকা (৩০০+১৫% ভ্যাট) অতিরিক্ত জমা দিতে হবে। সেটা পাসপোর্ট এর ফি জমা দেয়ার সময় একসাথে দিবেন।

মেয়াদ উত্তীর্ণ পাসপোর্ট রি-ইস্যু করতে কি কি লাগবে:
যাদের পাসপোর্টের এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাদেরকে এমআরপি এর ফরমটিও এক কপি পূরন করতে হবে। তবে রি-ইস্যুর সময় পুলিশ ভেরিফিকেশন হয় না। সাথে নিম্নোক্ত রি-ইস্যু ফর্মের সাথে পুরাতন পাসেপোর্টর ফটোকপি জমা দিতে হবে। যারা কোনো তথ্য পরিবর্তন করতে চান তারা সেই পরিবর্তিত তথ্যের প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিও সাথে সংযুক্ত করে দিতে পারেন (যদিও এটা লাগে না, আগের এমআরপিতে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর থাকলে।

রি-ইস্যু করতে কি কি লাগবে
যারা শুধু রি-ইস্যু করতে চান তারা এই ফরমের সাথে শুধু পুরাতন পাসেপোর্টর ফটোকপি জমা দিলেই হবে। যারা কোন তথ্য পরিবর্তন করতে চান তারা সেই পরিবর্তিত তথ্যের প্রমানপত্র জমা দিতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিও সাথে সংযুক্ত করে দিতে পারেন (যদিও এটা লাগে না, আগের এম.আর.পি. তে জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর থাকলে)।

বি:দ্র: যাদের স্থান পরিবর্তন করতে হবে, তাদেরকে নতুন পাসপোর্ট করার ন্যায় এমআরপি ফর্মের দুই কপি পূরণ করতে হবে। কারণ পুলিশ ভেরিফিকেশন হবে। আর বাদ বাকিগুলো একই রকম থাকবে।

ডাউনলোড লিংক: রি-ইস্যু, তথ্য পরিবর্তন ও সংসোধন ফরম ডাউনলোড করার
http://passport.gov.bd /Reports/MRP_Information_Alteration_Correction.pdf
অথবা:
http://www.facebook.com /groups/travelers.dhaka/1750815125150702

খরচ:
পাসপোর্ট করতে সরকারি ফি: নতুন পাসপোর্ট / নবায়ন / তথ্য পরিবর্তন সকল ক্ষেত্রেই ফি একই সমান
সাধারণ (৩০০০+১৫% ভ্যাট) = ৩৪৫০ টাকা,
জরুরি (৬০০০+১৫% ভ্যাট) = ৬৯০০ টাকা

মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে প্রতিবছরের জন্য ৩৪৫ টাকা ( ৩০০+১৫% ভ্যাট) অতিরিক্ত জমা দিতে হবে। সেটা পাসপোর্ট এর ফি জমা দেয়ার সময় একসাথে দিবেন।

যে সকল ব্যাংকে টাকা জমা দিতে পারবেন- ১) সোনালী ব্যাংক ২) ট্রাস্ট ব্যাংক ৩) ব্যাংক এশিয়া ৪) প্রিমিয়ার ব্যাংক ৫) ঢাকা ব্যাংক ৬) ওয়ান ব্যাংক।

বাংলাদেশ পাসপোর্ট এর ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানতে : http://www.dip.gov.bd / পাসপোর্ট সংক্রান্ত যেকোনো জিজ্ঞাসা থাকলে : ০২-৮১২৩৭৮৮ >>> ইমেইল – [email protected]

পাসপোর্ট অফিস
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসসমূহ ঠিকানা ও যোগাযোগ : http: // www.dip.gov.bd /site/page/608..

পোস্ট শেয়ার করুন

পাসপোর্ট করার নিয়মাবলী (নতুন/রি-ইস্যু/তথ্য পরিবর্তন)

আপডেটের সময় : ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জানুয়ারী ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: নিজের পাসপোর্ট থাকা জরুরি। ব্যবসা, চাকরি, ভ্রমণ, লেখাপড়া যে কারণেই হোক না কেন প্রতিদিনের অনেক প্রয়োজনীয় কাজকর্মে ব্যবহার হয় এ পাসপোর্ট। আজকে পাসপোর্ট করার নিয়ম, কিভাবে অনলাইনে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট করবেন কোন ঝমেলা ছাড়া সেই ধাপগুলো আলোচনা করবো।

নতুন পাসপোর্ট করবেন কিভাবে:
প্রথমে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে জমা স্লিপ গ্রহন করুন। স্লিপে আপনার নামটি সেভাবেই লিখুন যেভাবে পাসপোর্টে দেখতে চান । এখন (www.passport.gov.bd /Application-1.a…) এই লিংকে যান এবং সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরন করুন। পূরন করে সেভ ও নেক্সট অপশন সিলেক্ট করে পরের পাতায় গিয়ে পরের পাতাটিও পূরন করুন। পেমেন্ট অপশনে আপনি যে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে তার বিবরণ নির্ভুলভাবে লিখবেন- ব্যাংকের নাম, শাখার নাম, টাকার পরিমান ও রশিদ নম্বর।

পূরণ করা শেষ হলে আবার একটু মিলিয়ে দেখুন সকল তথ্য সঠিক আছে কিনা বা কোনো ভুল আছে কিনা, থেকে থাকলে সংশোধন করে নিন। তারপর ফাইলটি ডাইনলোড করে প্রিন্ট দিন। আপনার ডাটা এন্ট্রি হয়ে গেলো। সাধারনত এই তথ্য সার্ভারে ১৫ দিন থাকে। তাই ১৫ দিনের মধ্যেই আপনাকে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে না হলে আবার নতুন করে ফরম ফিলাপ করতে হবে।

দুই সেট ফরমের (মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে ১ কপি (নিচে বিস্তারিত রয়েছে) প্রিন্ট বের করে এখন দুটোতেই যথা স্থানে আঠা দিয়ে ছবি সংযুক্ত করুন, নিজে স্বাক্ষর দিন এবং সাথে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি/জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি, আপনার পেশার প্রমাণপত্রের ফটোকপি সংযুক্ত করুন।

এখন আপনাকে ফাইল দুটো সত্যায়ন করাতে হবে। তো কাকে দিয়ে করাবেন সত্যায়ন। কোনো পরিচিত বড়সড় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা অথবা নোটারী পাবলিকের অ্যাডভোকেট দ্বারা সত্যায়ন করতে পারবেন। এখন আপনার পাসপোর্ট ফাইল তৈরি, এখন জমা দেওয়ার পালা।

একদিন চলে যান নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে। আপনি যেহেতু অনলাইনে আগে থেকেই পূরন করেছেন তাই আপনাকে ডাটা এন্ট্রি করতে হবে না। পাসপোর্ট অফিসে কষ্ট অর্ধেক কমে গেল। আপনি শুধু ছবি তোলা, বায়োমেট্রিক করা ও স্বাক্ষর দেয়ার জন্য লাইনে দাঁড়াবেন এবং ফাইল জমা দিবেন। মনে রাখবেন সাদা শার্ট বা সাদা কাপড় পরে যাবেন না, সাদা কাপড়ে ছবি তুলবে না। সাদা ব্যাতীত অন্য যেকোনো রঙিন কাপড় পড়ে ছবি তুলতে পারবেন।

কাজ হয়ে গেলে আপনাকে একটি স্লিপ দেয়া হবে সেটাতে পাসপোর্ট ডেলিভারি তারিখ উল্লেখ্য থাকবে। তবে সেটা মূখ্য নয়; পাসপোর্টে দেয়া আপনার নাম্বারে কনফারমেশন মেসেজ আসার পরেই পাসপোর্ট আনতে যেতে পারবেন।

ম্যানুয়ালি পূরন করতে চাইলে হার্ড কপি এই লিন্ক থেকে নামিয়ে নিন:
http://passport.gov.bd /Reports/MRP_Application_Form [Hard%20Copy].pdf

বি:দ্র: অবশ্যই ফর্ম য্খন প্রিন্ট করবেন, তখন কাগজের উভয় পাশ প্রিন্ট করাবেন। এক পাশ প্রিন্টে অনেক সময় ঝামেলা করে।

নতুন আবেদনের ক্ষেত্রে
একটি ফরম যাদের জন্য প্রযোজ্য:
সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার স্থায়ী কর্মকর্তা/ কর্মচারী ও তাদের নির্ভরশীল স্বামী/স্ত্রী এবং সরকারি চাকুরীজীবীর (১৫) বৎসরের কম বয়সী সন্তান।

সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাষিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার স্থায়ী কর্মকর্তা/ কর্মচারী, যাদের প্রাসঙ্গিক জিও (GO) আছে।

অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরীজীবী ও তাদের নির্ভরশীল স্বামী/স্ত্রী। এক্ষেত্রে অবসর গ্রহণের সনদ দাখিল করতে হবে।

এছাড়া রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে শুধু মাত্র রি-ইস্যু ফরম (একটি) ব্যাবহার করতে হবে।

দুইটি ফরম যাদের জন্য প্রযোজ্য
নতুন পাসপোর্টের জন্য।
১২ বছর উত্তীর্ণ হাতে লেখা পাসপোর্টের ক্ষেত্রে।
পূর্ববর্তী পাসপোর্টের স্হায়ী ঠিকানা পরিবর্তন হলে।

যে সকল ব্যক্তিরা পাসপোর্টের আবেদনপত্র ও ছবি প্রত্যায়ন ও সত্যায়ন করতে পারবেন:
সংসদ সদস্য, সিটি করপোরেশনের মেয়র, ডেপুটি মেয়র ও কাউন্সিলরগণ, কাউন্সিলরগণ, গেজেটেডড কর্মকর্তা, পাবলিক বিশ্বিদ্যালয়ের শিক্ষক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও পৌর কাউন্সিলরগণ, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, বেসরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক, নোটারী পাবলিক ও আধা সরকারি/ স্বায়ত্বশাসিত/রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার জাতীয় বেতন স্কেলের ৭ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের কর্মকর্তাগণ।

রি-ইস্যু
মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি.) এর রি-ইস্যু, তথ্য পরিবর্তন ও সংশোধন করার জন্য শুধুমাত্র রি-ইস্যু ফরমটি ব্যবহার করতে হবে। নিচে ডাউনলোড লিংক দেয়া আছে। যাদের আগেও এমআরপি. আছে তারা (মেয়াদ থাকা অবস্থায় বা সদ্য মেয়াদ শেষ অবস্থায় পুনরায় আবেদনের জন্য/কোন ধরনের সংশোধনের জন্য/তথ্য পরিবর্তনের জন্য) পাসপোর্ট নতুনভাবে করতে গেলে শুধু এই ফরমটি পূরন করবেন।

তাদের জন্য এমআরপি এর সম্পূর্ন ফরমটি পূরণ করার কোনো প্রয়োজন নেই। আর যাদের পাসপোর্ট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে তাদেরকে এমআরপি এর ফরমটিও এক কপি পূরণ করতে হবে।

মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে প্রতিবছরের জন্য ৩৪৫ টাকা (৩০০+১৫% ভ্যাট) অতিরিক্ত জমা দিতে হবে। সেটা পাসপোর্ট এর ফি জমা দেয়ার সময় একসাথে দিবেন।

মেয়াদ উত্তীর্ণ পাসপোর্ট রি-ইস্যু করতে কি কি লাগবে:
যাদের পাসপোর্টের এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাদেরকে এমআরপি এর ফরমটিও এক কপি পূরন করতে হবে। তবে রি-ইস্যুর সময় পুলিশ ভেরিফিকেশন হয় না। সাথে নিম্নোক্ত রি-ইস্যু ফর্মের সাথে পুরাতন পাসেপোর্টর ফটোকপি জমা দিতে হবে। যারা কোনো তথ্য পরিবর্তন করতে চান তারা সেই পরিবর্তিত তথ্যের প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিও সাথে সংযুক্ত করে দিতে পারেন (যদিও এটা লাগে না, আগের এমআরপিতে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর থাকলে।

রি-ইস্যু করতে কি কি লাগবে
যারা শুধু রি-ইস্যু করতে চান তারা এই ফরমের সাথে শুধু পুরাতন পাসেপোর্টর ফটোকপি জমা দিলেই হবে। যারা কোন তথ্য পরিবর্তন করতে চান তারা সেই পরিবর্তিত তথ্যের প্রমানপত্র জমা দিতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিও সাথে সংযুক্ত করে দিতে পারেন (যদিও এটা লাগে না, আগের এম.আর.পি. তে জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর থাকলে)।

বি:দ্র: যাদের স্থান পরিবর্তন করতে হবে, তাদেরকে নতুন পাসপোর্ট করার ন্যায় এমআরপি ফর্মের দুই কপি পূরণ করতে হবে। কারণ পুলিশ ভেরিফিকেশন হবে। আর বাদ বাকিগুলো একই রকম থাকবে।

ডাউনলোড লিংক: রি-ইস্যু, তথ্য পরিবর্তন ও সংসোধন ফরম ডাউনলোড করার
http://passport.gov.bd /Reports/MRP_Information_Alteration_Correction.pdf
অথবা:
http://www.facebook.com /groups/travelers.dhaka/1750815125150702

খরচ:
পাসপোর্ট করতে সরকারি ফি: নতুন পাসপোর্ট / নবায়ন / তথ্য পরিবর্তন সকল ক্ষেত্রেই ফি একই সমান
সাধারণ (৩০০০+১৫% ভ্যাট) = ৩৪৫০ টাকা,
জরুরি (৬০০০+১৫% ভ্যাট) = ৬৯০০ টাকা

মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে প্রতিবছরের জন্য ৩৪৫ টাকা ( ৩০০+১৫% ভ্যাট) অতিরিক্ত জমা দিতে হবে। সেটা পাসপোর্ট এর ফি জমা দেয়ার সময় একসাথে দিবেন।

যে সকল ব্যাংকে টাকা জমা দিতে পারবেন- ১) সোনালী ব্যাংক ২) ট্রাস্ট ব্যাংক ৩) ব্যাংক এশিয়া ৪) প্রিমিয়ার ব্যাংক ৫) ঢাকা ব্যাংক ৬) ওয়ান ব্যাংক।

বাংলাদেশ পাসপোর্ট এর ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানতে : http://www.dip.gov.bd / পাসপোর্ট সংক্রান্ত যেকোনো জিজ্ঞাসা থাকলে : ০২-৮১২৩৭৮৮ >>> ইমেইল – [email protected]

পাসপোর্ট অফিস
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসসমূহ ঠিকানা ও যোগাযোগ : http: // www.dip.gov.bd /site/page/608..