ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

পারিবারিক কবরস্থানে শেষ জায়গা হলো না কলেজ শিক্ষকের

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৫:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০
  • / ৪৯৫ টাইম ভিউ

নিউজ ডেস্ক: শ্বাসকষ্টে এক কলেজশিক্ষকের মৃত্যুর পর চট্টগ্রামের রাউজানে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর ঠাঁইটুকুও হলো না। বাড়ি এবং গ্রামের লোকজনের বাধার মুখে তাঁকে পার্শ্ববর্তী উপজেলা রাঙ্গুনিয়ার পূর্ব সৈয়দ বাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হয়।

মৃত কলেজশিক্ষকেরে নাম মো. আনোয়ারুল ইসলাম (৫৮)। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া আটটার দিকে তিনি রাঙ্গুনিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান। তিনি রাঙ্গুনিয়ার সৈয়দা সেলিমা কাদের চৌধুরী ডিগ্রি কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। কয়েক দিন ধরে তিনি জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাঁয়। এরপর গুরুতর অবস্থায় তাঁকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেই তিনি মারা যান।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে আনোয়ারুল ইসলামের লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে পরিবারের সদস্যরা গ্রামের বাড়ি রাউজানের নোয়াপাড়ায় নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকে বাড়ি ও গ্রামের লোকজন জড়ো হয়। লাশ পৌঁছলে বাধা হয়ে দাঁড়ায় গ্রামের মানুষ। কোনো অবস্থায় এই কলেজ শিক্ষকের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতে দেবে না বলে জানিয়ে দেয় গ্রামের লোকজন। সেখানে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিলেন ওই শিক্ষকের স্ত্রী, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একমাত্র মেয়ে এবং কলেজ পড়ুয়া দুই ছেলে। বাড়ি ও গ্রামের মানুষের বাধা পেয়ে একই অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ রাঙ্গুনিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে আনোয়ারুল ইসলামকে পূর্ব সৈয়দ বাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হয়।

পোস্ট শেয়ার করুন

পারিবারিক কবরস্থানে শেষ জায়গা হলো না কলেজ শিক্ষকের

আপডেটের সময় : ০৫:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০

নিউজ ডেস্ক: শ্বাসকষ্টে এক কলেজশিক্ষকের মৃত্যুর পর চট্টগ্রামের রাউজানে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর ঠাঁইটুকুও হলো না। বাড়ি এবং গ্রামের লোকজনের বাধার মুখে তাঁকে পার্শ্ববর্তী উপজেলা রাঙ্গুনিয়ার পূর্ব সৈয়দ বাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হয়।

মৃত কলেজশিক্ষকেরে নাম মো. আনোয়ারুল ইসলাম (৫৮)। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া আটটার দিকে তিনি রাঙ্গুনিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান। তিনি রাঙ্গুনিয়ার সৈয়দা সেলিমা কাদের চৌধুরী ডিগ্রি কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। কয়েক দিন ধরে তিনি জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাঁয়। এরপর গুরুতর অবস্থায় তাঁকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেই তিনি মারা যান।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে আনোয়ারুল ইসলামের লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে পরিবারের সদস্যরা গ্রামের বাড়ি রাউজানের নোয়াপাড়ায় নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকে বাড়ি ও গ্রামের লোকজন জড়ো হয়। লাশ পৌঁছলে বাধা হয়ে দাঁড়ায় গ্রামের মানুষ। কোনো অবস্থায় এই কলেজ শিক্ষকের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতে দেবে না বলে জানিয়ে দেয় গ্রামের লোকজন। সেখানে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিলেন ওই শিক্ষকের স্ত্রী, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একমাত্র মেয়ে এবং কলেজ পড়ুয়া দুই ছেলে। বাড়ি ও গ্রামের মানুষের বাধা পেয়ে একই অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ রাঙ্গুনিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে আনোয়ারুল ইসলামকে পূর্ব সৈয়দ বাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হয়।