ঢাকা , বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার আবু জাহেলদের ব্যার্থ গুপ্ত হত্যা পরিকল্পনার মধ্যে দিয়েই যেভাবে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হিজরত জীবনের শুরু হয় তারেক রহমানের উপস্থাপিত ৩১ দফা’র লিফলেট বিতরন করলো পর্তুগাল সেচ্চাসেবক দল ইতালির তরিনোতে জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ব্রাম্মণবাড়ীয়া জেলা সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন আমাদের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হলে আমরা সারা দুনিয়া জ্বালিয়ে দেব,মিলানের সেমিনারে বললেন পিনাকী ভট্রাচার্য পর্তুগাল জাসাস’র নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতেবিভিন্ন চক্রান্তে লিপ্ত আ’লীগ গ্রিন সিলেট ট্রাভেলসের আয়োজনে বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস/কনসুলেট চেয়ে খোলা চিঠি স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা

পল্লীবিদ্যুতের মামলায় শারিরিক প্রতিবন্ধি অতি দরিদ্র হান্নান কারাগারে

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০৬:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৯
  • / ৯১৪ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ  মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মনুমুখ ইউনিয়নের পশ্চিম সাধুহাটি এলাকায় শারিরিক প্রতিবন্ধি ও অতি দরিদ্র হান্নান মিয়া বিদ্যুৎ বিলের টাকা বকেয়া থাকার অপরাধে কারাগারে রয়েছেন।

২৩ মার্চ মৌলভীবাজার মডেল থানার এস আই আবু সাইদ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করলে ১নং আমলী আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে তাকে প্রেরণ করেন।

প্রতিবন্ধী হান্নান মিয়ার বোন জানান, ১৯ মাস (মার্চ ২০১৪-সেপ্টেম্বর ২০১৫) বিল বকেয়া থাকার অপরাধে কারা বরণ করছেন। তবে কত টাকার জন্য কারাগারে যেতে হয়েছে তা জানা যায়নি।  বিগত সময় প্রতিবন্ধী হান্নান মিয়া এবং প্রতিবেশী কুসুম বেগম উভয়েই বিদ্যুতের একই মিটার ব্যাবহার করার শর্তে হান্নান মিয়ার নামে মিটার আনেন। মাস শেষে হান্নান বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার জন্য কুসুম বেগমের কাছে ১০০ টাকা জমা দিলেও কুসুম বেগম বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেননি।

কুসুম বেগম বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছেন কী না সেই বিষয়ে তিনি অবগত ছিলেন না কিংবা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে তাঁর কাছে কোনো নোটিশ আসেনি। নোটিশ না দিয়েই কখন কিভাবে মামলা হয়েছে তারা সে বিষয়ে কিছুই জানেন না।

তিনি আরো বলেন আমার নিরপরাধ প্রতিবন্ধী ভাই কোন রকম ভিক্ষা করে জীবন যাপন করেন। কেন অন্যায় ভাবে কারাভোগ করতে হচ্ছে আমরা এর সঠিক বিচার চাই। কুসুম বেগম প্রবাসে থাকায় উনার বোন শিল্পী বেগমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি এই বিষয়ে কিছু জানিনা।

মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুত সমিতি ডিজিএম মোঃ মোখলেছুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি নতুন এসেছি বিষয়টি অনেক আগের তাই এব্যাপারে সঠিক কিছু বলতে পারব না, তবে বিষয়টি দুঃখ্যজনক ও খুবই অমানবিক।

পোস্ট শেয়ার করুন

পল্লীবিদ্যুতের মামলায় শারিরিক প্রতিবন্ধি অতি দরিদ্র হান্নান কারাগারে

আপডেটের সময় : ০৬:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ  মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মনুমুখ ইউনিয়নের পশ্চিম সাধুহাটি এলাকায় শারিরিক প্রতিবন্ধি ও অতি দরিদ্র হান্নান মিয়া বিদ্যুৎ বিলের টাকা বকেয়া থাকার অপরাধে কারাগারে রয়েছেন।

২৩ মার্চ মৌলভীবাজার মডেল থানার এস আই আবু সাইদ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করলে ১নং আমলী আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে তাকে প্রেরণ করেন।

প্রতিবন্ধী হান্নান মিয়ার বোন জানান, ১৯ মাস (মার্চ ২০১৪-সেপ্টেম্বর ২০১৫) বিল বকেয়া থাকার অপরাধে কারা বরণ করছেন। তবে কত টাকার জন্য কারাগারে যেতে হয়েছে তা জানা যায়নি।  বিগত সময় প্রতিবন্ধী হান্নান মিয়া এবং প্রতিবেশী কুসুম বেগম উভয়েই বিদ্যুতের একই মিটার ব্যাবহার করার শর্তে হান্নান মিয়ার নামে মিটার আনেন। মাস শেষে হান্নান বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার জন্য কুসুম বেগমের কাছে ১০০ টাকা জমা দিলেও কুসুম বেগম বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেননি।

কুসুম বেগম বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছেন কী না সেই বিষয়ে তিনি অবগত ছিলেন না কিংবা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে তাঁর কাছে কোনো নোটিশ আসেনি। নোটিশ না দিয়েই কখন কিভাবে মামলা হয়েছে তারা সে বিষয়ে কিছুই জানেন না।

তিনি আরো বলেন আমার নিরপরাধ প্রতিবন্ধী ভাই কোন রকম ভিক্ষা করে জীবন যাপন করেন। কেন অন্যায় ভাবে কারাভোগ করতে হচ্ছে আমরা এর সঠিক বিচার চাই। কুসুম বেগম প্রবাসে থাকায় উনার বোন শিল্পী বেগমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি এই বিষয়ে কিছু জানিনা।

মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুত সমিতি ডিজিএম মোঃ মোখলেছুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি নতুন এসেছি বিষয়টি অনেক আগের তাই এব্যাপারে সঠিক কিছু বলতে পারব না, তবে বিষয়টি দুঃখ্যজনক ও খুবই অমানবিক।