নির্বাচনী এলাকায় শক্তিশালী টিম গঠন করতে ছাত্রলীগকে কাদেরের নির্দেশ
- আপডেটের সময় : ০৯:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০১৭
- / ১২৬৭ টাইম ভিউ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় একটি করে শক্তিশালী টিম গঠন করতে ছাত্রলীগের নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এসময় ছাত্রলীগকে মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে মাদক নির্মূলসহ প্রয়োজনীয় সব কিছু করারও পরামর্শ দেন তিনি। বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই দিন ব্যাপি বর্ধিত সভার দ্বিতীয় দিনে আজ এসব কথা বলেন তিনি। বর্ধিত সভায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নেতৃবৃন্দসহ দেশের ১০৯টি জেলা ইউনিটের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা বর্ধিত সভা ও প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নিচ্ছেন। কাদের বলেন, স্থানীয় রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের অর্ন্তকোন্দলে ছাত্রলীগ কারো স্বার্থের পাহারাদার হিসেবে থাকবে না। ছাত্রলীগ কারো লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার হবে না। নিজ স্বার্থে ছাত্রলীগকে অনেকেই ব্যবহার করে কিন্তু যখন নেতা-কর্মীদের বিপদ আসে তখন কেউই ছাত্রলীগকে দেখে না। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী-ই তাদের দেখাশোনা করে থাকেন। দলের ১২০ এমপি মনোনয়ন বঞ্চিত হচ্ছেন, বাদ পড়ছেন হেভিওয়েটরাও সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সারাদেশে ৩০০ আসনের বিপরীতে আওয়ামী লীগের অনেক প্রার্থী আছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে প্রতি ৬ মাস পর পর জরিপ করে থাকেন। যারা জনপ্রিয় তাদেরকেই আগামী জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হবে।
বিএনপিকে ছাড়াই নির্বাচনের আয়োজন করছে সরকার বিএনপির মহাসচিবের এমন মন্তব্যের বিষয়ে কাদের বলেন, বিএনপি নিজেরা নিজেদের নির্বাচনে না আসার বাঁধ দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগ খালি মাঠে গোল দেবে না। সংবিধান মেনেই আমরা নির্বাচনে অংশ নেব।
এখন থেকে মোটরসাইকেলে ৩ জন না ওঠার নির্দেশনা দিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিজের ও মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে এখন থেকে মোটরসাইকেলে দুই জনের বেশি ওঠা যাবে না। চলন্ত অবস্থায় চালক ও আরোহী ২ জনক অবশ্যই হেলমেট ব্যবহার করতে হবে। এতে বড় ধরণের দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। মাদক থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ইয়াবা, ফেন্সিডিল, গাঁজাসহ যাবতীয় নেশাদ্রব্য তরুণ সমাজকে ধ্বংস করছে। এ থেকে আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে। ছাত্রলীগের নেতারা মাদক শুধু নিজেরাই ধ্বংস করবে না এর উৎস সম্পর্কে পুলিশকে খবর দিবে। তাদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে, মাদকের ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। ছাত্রলীগ নেতাদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়ারও পরামর্শ দেন তিনি। ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সুজিত রায় নন্দী, ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া, র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, এস এম কামাল, মারুফা আক্তার পপি, গোলাম রব্বানী চিনুসহ সংগঠনিটর সাবেক নেতারা। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের সঞ্চালণায় বর্ধিতসভা ও কর্মশালায় ১০৯টি সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাসহ জেলার নেতারা নিজ নিজ সাংগঠনিক ইউনিটের রিপোর্ট পেশ করেছেন। তারা তুলে ধরছেন, স্থানীয় রাজনীতির বিভিন্ন সমস্যা। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা, মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয়, উপজেলা, কলেজ, থানা, পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নতুন কমিটি গঠন এবং সম্মেলণের নতুন তারিখ তাৎক্ষনিক ঘোষণা করা হচ্ছে। সংগঠনের দুই নেতার মতবিরোধ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের রাজনৈতিক দ্বন্দের ফলে যেসব ইউনিটে দীর্ঘদিন কমিটি দেয়া সম্ভব হয়নি সেসব ওয়ার্ডে তাৎক্ষণিকভাবে নতুন কমিটি দেয়া হচ্ছে।