নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা
- আপডেটের সময় : ১২:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০১৭
- / ১৫৪০ টাইম ভিউ
অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার। প্রতি বছর রমজানের এক/দেড় মাস আগে থেকে দাম বেড়ে রমজানে স্থিতিশীল থাকলেও এবার রমজানেও দাম বাড়ছে নিত্যপণ্যের। সরকারের বিপনন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশনের (টিসিবি) হিসেবে রমজান শুরুর পর গত ৭ দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি আমদানিকৃত রসুনে দাম বেড়েছে ৮০ টাকা। প্রতি কেজি চিনিতে বেড়েছে ৫ টাকা। এছাড়া গত এক মাসে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে চাল, ছোলা, মুগ ডাল, খেজুর ও সয়াবিন তেল। এরমধ্যে চালের দাম বেড়েছে লাগামহীন।
গত শুক্রবার রাজধানীতে বাজেটোত্তর এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছেন, পাহাড়ি ঢল ও আগাম বন্যায় হাওরের ফসলহানির কারণে চালের দাম বেড়েছে। আমদানি করা চাল দেশে এলে বাজারে দাম কমবে। চালের দাম কিছুটা বাড়লেও ‘তা বাড়িয়ে বলার প্রবণতা’ রয়েছে মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় চাল আমদানির দরপত্র ডেকেছে। ‘জিটুজি ভিত্তিতেও’ কিছু চাল আসবে, তাতে বাজার মোটামুটি স্বাভাবিক থাকবে।
রবিবার বাজারে প্রতি কেজি মোটা স্বর্ণা চাল ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা, নাজিরশাইল/মিনিকেট ৫২ থেকে ৫৮ টাকা, পাইজাম/লতা ৪৮ থেকে ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। টিসিবির হিসেবে গত এক মাসের ব্যবধানে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ, মাঝারিমানের চালের দাম বেড়েছে ৪ দমমিক ১৭ শতাংশ। আর এক বছরের ব্যবধানে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৪২ দশমিক ১৯ শতাংশ, মাঝারিমানের চালের দাম বেড়েছে ১৯ দমমিক ০৫ শতাংশ। সংশ্লিষ্টরা জানান, আগামী অর্থবছরের বাজেটে সরকার চাল আমদানির ওপর শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করবে, এমন আশা ছিল। কিন্তু ঘোষিত অর্থবছরের (২০১৭-১৮) বাজেটে চাল আমদানিতে শুল্ক কমানোর কোনো প্রস্তাব নেই। অর্থাত্ চাল আমদানির ক্ষেত্রে চলতি অর্থবছরের ২৫ শতাংশ শুল্কই বহাল থাকছে। এজন্য খুব শিগগিরই চালের দাম কমবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।