ঢাকা , শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার আবু জাহেলদের ব্যার্থ গুপ্ত হত্যা পরিকল্পনার মধ্যে দিয়েই যেভাবে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হিজরত জীবনের শুরু হয় তারেক রহমানের উপস্থাপিত ৩১ দফা’র লিফলেট বিতরন করলো পর্তুগাল সেচ্চাসেবক দল ইতালির তরিনোতে জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ব্রাম্মণবাড়ীয়া জেলা সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন আমাদের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হলে আমরা সারা দুনিয়া জ্বালিয়ে দেব,মিলানের সেমিনারে বললেন পিনাকী ভট্রাচার্য পর্তুগাল জাসাস’র নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতেবিভিন্ন চক্রান্তে লিপ্ত আ’লীগ গ্রিন সিলেট ট্রাভেলসের আয়োজনে বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস/কনসুলেট চেয়ে খোলা চিঠি স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা

নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টায় প্রতিবন্ধি আলীমের জীবনযুদ্ধ

দেশদিগন্ত ডেক্স
  • আপডেটের সময় : ০৫:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭
  • / ১৩৪৯ টাইম ভিউ

আমার ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য একটি সরকারি চাকুরী খুবই প্রয়োজন ছিল। কারণ, প্রতিবন্ধিত্বের সাথে আমি প্রতিদ্বন্ধিতা করতে চাই না !  কারো হাতের দিকে না  তাকিয়ে নিজে পায়ে দাঁড়াতে চাই। শিক্ষকদের পরামর্শে একাধিকবার চেষ্টা করেও কোনো চাকুরী হয়নি। এখনও চাকুরীর জন্য বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা সার্কুলার দেখে সিভি পাঠাচ্ছি। চাকুরী নামের সোনার হরিণের জন্য অপেক্ষা করি। কিন্তু আমার জীবনে কি সত্যি চাকুরী-টাকুরী হবে ? আমাদের মতো প্রতিবন্ধিদের তো শুধু কোটা আছে ? চাকুরী নেই! জেনে শুনে কে দেবে চাকুরী ? তবুও অপেক্ষা করে নিজেকে সান্তনা দেই, এ কথাগুলো বলছিলেন, গোয়ালবাড়ি বাজারের  প্রতিবন্ধি মোদি দোকানি হাফেজ আব্দুল আলীম।

জন্ম থেকেই তিনি প্রতিবন্ধি। তাঁর দু’টো পা ও দু’টো হাত বাঁকা, চলাফেরা করতে অনেক কষ্ট হয়। বেশি দূরে যেতে হলে হুইল চেয়ারে করে প্রায়ই তাকে যাতায়াত করতে দেখা যায়। এরপরও থেমে নেই আলীমের জীবন। তিনি জানেন, প্রতিবন্ধিরাও সমাজের একটি অংশ। বাঁচতে হলে কিছু একটা করতে হবে।

জানা যায়, গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের গোয়ালবাড়ি গ্রামের মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকের ৫ সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে আব্দুল আলীম। তিনি ২০০০ সালে গোয়ালবাড়ি হাফিজী মাদ্রাসা থেকে হিফজ ও অষ্টম শ্রেণী পাশ করেন। ২০১২সালে জুড়ী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩.৭৫ পয়েন্ট পেয়ে এসএসসি এবং ২০১৫ সালে টি এন খানম কলেজ থেকে কৃতিত্বের এইচএসসি পাস করেন। শিক্ষা জীবনে অনেকের মতো তিনি নিয়মিত অধ্যয়ন করতে পারেননি। শিক্ষক, শুভাকাঙ্খি ও বন্ধু-বান্ধবদের পরামর্শ উৎসাহে হাফিজী শেষ করে আলিয়া মাদ্রাসায় অধ্যয়ন না করে মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে লেখাপড়া করেছেন। যাতে অতি সহজে সরকারি চাকুরী পাওয়া যায়। কিন্তু এক এক করে জীবনের ৩০টি বসন্ত পেরোলেও আলীমের জীবনে আসেনি নিম্ন চাকুরীও।

তিনি বলেন, যে প্রতিষ্ঠান থেকে হাফিজী শেষ করেছি, সেখানেও পদ শূন্য হলে পাইনি সেই সোনার হরিণ! হাফেজ হয়েছি কিন্তু প্রতিবন্ধি হওয়ায় কোন মসজিদ বা মক্তবে নেই কোন সুযোগ। তাই অবসর সময়টা কাটাতে গোয়ালবাড়ি বাজারে একটি টং দোকান খুলে বসেছি। এই দোকানে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াইশ টাকা বেচা-বিক্রি হয়। তা দিয়ে কোনমতে জীবন চলছে…

পোস্ট শেয়ার করুন

নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টায় প্রতিবন্ধি আলীমের জীবনযুদ্ধ

আপডেটের সময় : ০৫:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭

আমার ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য একটি সরকারি চাকুরী খুবই প্রয়োজন ছিল। কারণ, প্রতিবন্ধিত্বের সাথে আমি প্রতিদ্বন্ধিতা করতে চাই না !  কারো হাতের দিকে না  তাকিয়ে নিজে পায়ে দাঁড়াতে চাই। শিক্ষকদের পরামর্শে একাধিকবার চেষ্টা করেও কোনো চাকুরী হয়নি। এখনও চাকুরীর জন্য বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা সার্কুলার দেখে সিভি পাঠাচ্ছি। চাকুরী নামের সোনার হরিণের জন্য অপেক্ষা করি। কিন্তু আমার জীবনে কি সত্যি চাকুরী-টাকুরী হবে ? আমাদের মতো প্রতিবন্ধিদের তো শুধু কোটা আছে ? চাকুরী নেই! জেনে শুনে কে দেবে চাকুরী ? তবুও অপেক্ষা করে নিজেকে সান্তনা দেই, এ কথাগুলো বলছিলেন, গোয়ালবাড়ি বাজারের  প্রতিবন্ধি মোদি দোকানি হাফেজ আব্দুল আলীম।

জন্ম থেকেই তিনি প্রতিবন্ধি। তাঁর দু’টো পা ও দু’টো হাত বাঁকা, চলাফেরা করতে অনেক কষ্ট হয়। বেশি দূরে যেতে হলে হুইল চেয়ারে করে প্রায়ই তাকে যাতায়াত করতে দেখা যায়। এরপরও থেমে নেই আলীমের জীবন। তিনি জানেন, প্রতিবন্ধিরাও সমাজের একটি অংশ। বাঁচতে হলে কিছু একটা করতে হবে।

জানা যায়, গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের গোয়ালবাড়ি গ্রামের মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকের ৫ সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে আব্দুল আলীম। তিনি ২০০০ সালে গোয়ালবাড়ি হাফিজী মাদ্রাসা থেকে হিফজ ও অষ্টম শ্রেণী পাশ করেন। ২০১২সালে জুড়ী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩.৭৫ পয়েন্ট পেয়ে এসএসসি এবং ২০১৫ সালে টি এন খানম কলেজ থেকে কৃতিত্বের এইচএসসি পাস করেন। শিক্ষা জীবনে অনেকের মতো তিনি নিয়মিত অধ্যয়ন করতে পারেননি। শিক্ষক, শুভাকাঙ্খি ও বন্ধু-বান্ধবদের পরামর্শ উৎসাহে হাফিজী শেষ করে আলিয়া মাদ্রাসায় অধ্যয়ন না করে মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে লেখাপড়া করেছেন। যাতে অতি সহজে সরকারি চাকুরী পাওয়া যায়। কিন্তু এক এক করে জীবনের ৩০টি বসন্ত পেরোলেও আলীমের জীবনে আসেনি নিম্ন চাকুরীও।

তিনি বলেন, যে প্রতিষ্ঠান থেকে হাফিজী শেষ করেছি, সেখানেও পদ শূন্য হলে পাইনি সেই সোনার হরিণ! হাফেজ হয়েছি কিন্তু প্রতিবন্ধি হওয়ায় কোন মসজিদ বা মক্তবে নেই কোন সুযোগ। তাই অবসর সময়টা কাটাতে গোয়ালবাড়ি বাজারে একটি টং দোকান খুলে বসেছি। এই দোকানে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াইশ টাকা বেচা-বিক্রি হয়। তা দিয়ে কোনমতে জীবন চলছে…